বিতর্ক পুলিশের সমন্বয় নিয়ে
নতুন করে ‘বাদশা’র ছবি আঁকাতে হল সিআইডি-কে
বিভিন্ন সরকারি দফতরের মধ্যে ‘সমন্বয়’ বজায় রাখায় নিয়মিত জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁরই দফতরের সিআইডি এবং রাজ্য পুলিশের মধ্যে ‘সমন্বয়’ কী পর্যায়ে রয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক উস্কে দিল সংগ্রামপুরের বিষমদ-কাণ্ডের তদন্ত।
১৪ ডিসেম্বর ওই ঘটনার পর থেকেই প্রধান অভিযুক্ত নুর ইসলাম ফকির ওরফে ‘খোঁড়া বাদশা’ নিখোঁজ। ঘটনার দু’দিন বাদেই তদন্তে নেমেছে সিআইডি। কিন্তু সিআইডি সূত্রের খবর, সোমবার ‘বাদশা’র স্ত্রী সাকিলা বিবিকে জেরা করে সিআইডি-কর্তারা জানতে পেরেছেন, ‘বাদশা’র যে ছবি জোগাড় করে তাঁরা তদন্তে নেমেছিলেন, তা সাত-আট বছরের পুরনো। ‘বাদশা’র চেহারা এখন বদলে গিয়েছে। সাকিলার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবারই ‘বাদশা’র সাম্প্রতিক চেহারার ছবি আঁকিয়েছে সিআইডি। সাকিলার বয়ান অনুযায়ী, বছরখানেক হল ‘বাদশা’ দাড়ি রেখেছে। চশমাও ব্যবহার করছে। তাই দাড়ি-সহ ও দাড়ি-বিহীন ‘বাদশা’র ছবি আঁকানো হয়েছে।
এই ঘটনাতেই পালে হাওয়া পেয়েছে সমন্বয়-বিতর্ক। কারণ, বিষমদ-কাণ্ডের আগে সংগ্রামপুর স্টেশন লাগোয়া এলাকায় চোলাই ঠেকের আশেপাশে দিনের বেলাতেই চার চাকার (দু’টি বাড়তি চাকা লাগানো) স্কুটারে ঘুরে বেড়াত ‘বাদশা’। আর ওই এলাকা থেকে পুলিশ ফাঁড়ি ঢিলছোড়া দূরত্বে। এলাকায় ‘চোলাই কারবারি’ হিসেবে পরিচিত ‘বাদশা’র সাম্প্রতিক চেহারা কেমন, তা অজানা থাকার কথা নয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের। তা হলে সিআইডি এত দিন পুরনো ছবি নিয়ে ঘুরল কেন? এই প্রশ্ন নিয়েই বেধেছে চাপান-উতোর। সিআইডি-র এক কর্তা বলেন, “জেলা পুলিশ আমাদের দু’টি ছবি দিয়েছিল। সাকিলা বিবিকে জেরা করার আগে আমরা জানতাম, ‘বাদশা’কে ও রকমই দেখতে। সাকিলা জেরায় বাদশার চেহারা নিয়ে অন্য বিবরণ দেওয়ায় আমাদের নতুন করে ছবি আঁকাতে হল।” ওই সিআইডি-কর্তার ‘উষ্মা’, “জেলা পুলিশ আগেভাগে এ কথা আমাদের জানালে সুবিধা হত।” যদিও দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনার দাবি, “আমাদের জেলা গোয়েন্দা দফতরের কাছে বাদশার যে ছবি ও তথ্য ছিল, তা সিআইডি-কে দেওয়া হয়েছে।”
এই বিতর্কের বাইরেও বিষমদ-কাণ্ডের কিছু তথ্য সিআইডি-র হাতে এসেছে। সিআইডি সূত্রের খবর, জেরায় সাকিলা তাদের কাছে দাবি করেছে, সে ‘বাদশা’র দ্বিতীয় স্ত্রী। আপাতত নিখোঁজ ‘বাদশা’র সঙ্গে রয়েছে তার তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী অঙ্গুরা ওরফে ফিরোজা বিবি। ফিরোজা থাকত বারুইপুরের মদারহাটে। ফিরোজা ছাড়া, ‘বাদশা’র প্রথম পক্ষের স্ত্রী আজমিরা বিবিও চোলাইয়ের কারবারে যুক্ত। ওই মহিলাও মগরাহাটের পশ্চিম-বিলন্দপুরে ‘বাদশা’র বাড়িতেই থাকত। বিষমদ-কাণ্ডের দিন ‘বাদশা’ মদারহাটের বাড়িতে ছিল। সেখান থেকে ফোনে বিলন্দপুরে থাকা সাকিলা, আজমিরাকে বাড়ি ছাড়তে বলে ফিরোজাকে নিয়ে পালায়। সিআইডি-র ডিআইজি (অপারেশনস) কে জয়রামন বলেন, “জেরা-পর্ব চলছে। এখন এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.