|
|
|
|
সচিন উন্নীত করলেন ক্রিকেটকে, দ্রাবিড় জীবনযুদ্ধকে |
গৌতম ভট্টাচার্য • মেলবোর্ন |
বিদায়ী অভিবাদনে গোটা এমসিজি মাঠ যতই স্বতঃস্ফূর্ত দাঁড়িয়ে পড়ুক, সচিন রমেশ তেন্ডুলকর যে প্রত্যুত্তর সৌজন্য দেখাবেন না জানা কথা! গত ক’মাসের মধ্যে আজ নিয়ে শততম সেঞ্চুরির সিংহাসনের সামনে পাঁচ বার পা পিছলে গেল। মোহালি। ওভাল। কোটলা। ওয়াংখেড়ে। মাঠগুলোর কোথাও প্যাভিলিয়নে ফেরার সময় প্রবল হতাশায় মুহ্যমান তিনি স্বাভাবিক নিয়মেই ব্যাট তোলেননি।
এবং মঙ্গলবার শেষ বিকেলে মেলবোর্ন চেঞ্জিংরুমের দিকে অদৃশ্য হওয়ার সময় দেখা গেল তেন্ডুলকর ব্যাটটা উঁচু করে ধরে আছেন। তাঁকে না জিজ্ঞেস করেই লিখছি, ব্যাখ্যাটা খুব সহজ। গড়পড়তা দিনে মানুষ নিজের জন্য খেলে। নিজের কীর্তির জন্য খেলে। নিজের দলের জন্য খেলে। আর বিরল কিছু দিন থাকে, যে দিন নিজের খেলার মাধ্যমে স্বকীয় খেলাটাকে সে নতুন অলঙ্কারে সম্মানিত করে। এ দিন তেন্ডুলকরের ৭৩ তেমনই ব্র্যাডম্যানোচিত স্ফুলিঙ্গে সিরিজের শোভাবর্ধন করে গিয়েছে। ক্রিকেটেরও। আজ ব্যাট তোলারই কথা। কীর্তিতে অসম্পূর্ণ থেকে মননে জিতেছেন যে!
মহাকাল অদ্ভুত ভাবে দুটো জোড়কে মেলানোর অঙ্কেও পৌঁছে যাওয়ার উপক্রম করছিল! ১৯৪৭-এর ব্র্যাডম্যান। ২০১১-র তেন্ডুলকর। চৌষট্টি বছর পর বক্সিং ডে টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে মানে প্রথম অ-ছুটির দিনে এত ভিড় হল। সেখানে ব্র্যাডম্যান দু’ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এটায় শেষবেলার ছোট একটা ভুলে সেঞ্চুরির জোড় অসমাপ্ত থাকল। কিন্তু রোমান্সে দুটোই এক। একটা পাওয়ার সুখে। একটা গভীর না পাওয়ার স্তব্ধতায়! |
|
এমসিজিতে অবিচল রাহুল। |
তেন্ডুলকর-জাতীয় ক্রিকেটবীরের মহাকীর্তির জন্য মেলবোর্ন অবশ্যই সর্বোত্তম। ইতিহাসের প্রথম টেস্ট এখানে। প্রথম ওয়ান ডে এখানে। প্রথম দিন-রাতের ম্যাচ এখানে। ব্র্যাডম্যানের শেষ বারের মতো মাঠে নামা? সে-ও এখানে। সমস্যা হল, কংক্রিটে কংক্রিটে এমন ছাদ অবধি ঢেকে দেওয়া হয়েছে আধুনিক এমসিজি-কে যে, প্রাচীনত্বের যে একটা গ্রামীণ আত্মা থাকে। আড়ম্বরহীন অথচ গমগমে ব্যাপার থাকে, সেটা নিরুদ্দেশ। প্রাচীন ঐতিহ্যের বহতি হিসেবে যে সামুদ্রিক পাখিগুলো মাঠের এ দিক-ও দিক এসে বসত, সেগুলো অবধি আর কংক্রিটের জঙ্গল ভেদ করে পৌঁছয় না। অথচ সচিনের মঙ্গলবারের ইনিংস এমসিজি-কে আবার তার প্রাচীনত্বের জাঁকজমকে পুনঃস্থাপিত করে গেল। আড়াই ঘণ্টার ইনিংসে যে আটটা বাউন্ডারি আর একটা ছক্কা তাতে ক্রিকেট বল আসলে মাঠের বাইরে গিয়ে পড়েনি, আধুনিক লারেলাপ্পা ক্রিকেট, কংক্রিট সংস্কৃতি সব নিক্ষিপ্ত হয়েছে। সচিন সমর্থকের যদি শূন্যতার ভাঙা স্বপ্ন হয়, সনাতনী ক্রিকেটের স্বপ্নপূরণের বিকেল!
অথচ প্রথম বলটাই প্লেড-অন হতে হতে বাঁচলেন। তাঁকে চাপে-প্রত্যাশায় সামান্য ধ্বস্ত দেখাচ্ছে বুঝে চায়ের আগের ওভারে মাইকেল ক্লার্ক নিয়ে এলেন হাসিকে। চরম অনিয়মিত বোলার। টিমে আগুনে পেস বোলার থাকতে স্পিনার কিনা সচিন তেন্ডুলকরকে ইনিংসের শুরুতে বল করবে? কিছু পরে আরও অনিয়মিত ওয়ার্নারকেও নিয়ে এলেন ক্লার্ক। প্রেসবক্স আলোড়িত। হচ্ছেটা কী? ইতিহাসমনস্ক কারও কারও মনে হল, আজ বোধহয় এমনটাই হওয়ার কথা। আজ তো চৌষট্টি বছর প্রাচীন সব ব্যাপারের পুনরাবৃত্তি ঘটবে এখানে। সে বার সিডনি টেস্টে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে শততম সেঞ্চুরির মুখে থাকা ডনকে ঘাবড়ে দিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক লালা অমরনাথ। অনিয়মিত বোলার কিষেণচাঁদকে বল করতে ডেকে। ব্র্যাডম্যান যেমন ঘাবড়ে গিয়েছিলেন, সচিনকেও তেমন মনুষ্য পদবাচ্য দেখাল হাসি-ওয়ার্নারের সামনে। কিন্তু চা-বিরতি শেষ হতেই তিনি আবার সচিন। মঙ্গলবারের অতিমানব। পিটার সিডল-কে দুর্ধর্ষ আপার-কাট মারলেন। থার্ডম্যানের ওপর দিয়ে ছক্কা। ২ থেকে তাঁর রান হল ৮। আর কে বলবে জীবন্ত উইকেটে টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় দিন!
সহবাগ এই স্ট্রোকটা নিয়মিত খেলেন বলে অস্ট্রেলিয়া তাঁর বেলা ক্রমাগত ফ্লাই স্লিপ রেখেছিল। কিন্তু সচিন তো কালেভদ্রে খেলেন। আজ হঠাৎ উইকেটের বাউন্স দেখে অস্ত্রাগার থেকে বার করলেন। থার্ডম্যান অঞ্চল দিয়ে এর পরেও নিলেন চারটে বাউন্ডারি। স্লিপ দিয়ে যত জায়গা ভরাচ্ছেন ক্লার্ক যে পরের বার ক্যাচ আসবে, তত নতুন জায়গা দিয়ে আপার-কাট মারছেন সচিন। আর তেমনই অনবদ্য সব ড্রাইভ! চ্যানেল নাইন কমেন্ট্রিতে মার্ক টেলর তখন উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছেন, “কী ড্রাইভ মারছে। আহা! এ তো আগে যত ব্যাটসম্যান ব্যাট করে গেছে তাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া তোরা কী করছিলি মনে করে যা। আর এইটা দ্যাখ পারফেক্ট বলতে কী বোঝায়।” অস্ট্রেলীয় পেসারদের নিয়ে তখন এমন খেলছেন সচিন যে, মেলবোর্নের ছুটন্ত পিচে এই প্রথম তাজা ফাস্ট বোলার না এনে দু’দিক থেকে স্পিনার করানো হচ্ছে। মিলার-লিন্ডওয়ালের দেশের ইতিহাসে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে কি না এ জিনিস ঘটছে। লক্ষ্য, রান ওঠার গতিটা সঙ্কুচিত করা।
রিচি বেনো হলেন ক্রিকেটীয় সৌরজগতের পিতামহ ভীষ্ম। শেষ কথা তাঁরই শোনা হয়। তাঁকেই মানা হয়। বেনো-কে কমেন্ট্রিতে জিজ্ঞেস করলেন মাইকেল স্লেটার। “এই যে স্পিন আনছে বারবার সচিনের জন্য, ঠিক হচ্ছে?” মিতভাষী বেনো বললেন, “কিছু করার নেই। স্বাভাবিক রাস্তায় মনে হচ্ছে না আজ ওকে কিছু করা যাবে। নতুন কিছু করলে ক্ষতি কী!”
কিন্তু সচিন যদি এ দিনের ব্র্যাডম্যান হন, তাঁর প্রিয় পার্টনার বিল পন্সফোর্ড কে? কে আবার রাহুল দ্রাবিড়! আজকের ১১৭ রানের পার্টনারশিপ নিয়ে সচিন-রাহুল ২০ সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ হল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যা বিশ্বরেকর্ড। কোনও জুড়ির এতগুলো নেই। আর মোট সেঞ্চুরি পার্টনারশিপে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে সচিনেরও আগে রাহুল। ৮৪-র আগে যে ৮৬। বুধবার মেলবোর্নের হোগান আর্ট গ্যালারিতে যাঁর মেমোরিয়াল সার্ভিস রয়েছে সেই পিটার রোবাক বেঁচে থাকলে বলতেন, “অসাধারণ টিমম্যান বলেই এতগুলো বড় পার্টনারশিপে থাকতে পেরেছে রাহুল।” |
|
আশা জাগিয়েও সচিনকে নিয়ে ফের স্বপ্নভঙ্গ। |
টিমম্যান শুধু নন। দলের প্রয়োজনে যখন যা দরকার, তাই করবেন। এত বড় ক্রিকেটার হয়েও কোনও ইগো-টিগোর তোয়াক্কা করেন না। এ দিন সহবাগ আউট হওয়ার পর অনন্ত চাপের মুখে যখন সচিন নামছেন, রাহুল নিজে হেঁটে গেলেন প্যাভিলিয়নের দিকে। উত্তপ্ত তখন মাঠ। রান নিতে গিয়ে সহবাগের সঙ্গে ধাক্কা এবং উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে প্যাটিনসন-সহবাগে। সিডল বারবার কটূক্তি করছেন। বল যাচ্ছে সাঁ-সাঁ গতিতে। লাফাচ্ছে। সিম করছে। গোটা মাঠ চেঁচাচ্ছে। এ সময় নতুন ব্যাটসম্যান তেন্ডুলকর হলেও তাকে নির্ভরতা দেওয়া উচিত। দ্রাবিড় তাই করলেন। এ বার খেলা যত এগোচ্ছে তত বোঝা যাচ্ছে, সচিন মূর্তিমান রোমান্স হতে পারেন কিন্তু তাঁর একক কাহিনি আজ নয়। দ্রাবিড় তিনিও সমানে বহন করছেন ক্রিকেট-প্যাশনের রোমান্স। মেলবোর্নেরই প্লেয়ার পন্সফোর্ড সম্পর্কে কার্ডাস লিখেছিলেন, ‘তোমার যদি পাথর কোঁদা কাজ হয়, সেটাও মনের হরষে করো। আবেগ দিয়ে করো। পন্সফোর্ড যেমন করে।’
সচিনের আপার-কাট দেখে মুগ্ধ অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক তখন রবি শাস্ত্রীকে বলতে গিয়েছিলেন, “আজ শটগুলো ভাল পড়ছে।” শাস্ত্রী উত্তেজিত হয়ে পড়লেন, “আজ ভাল পড়ছে মানে? জানেন এই শটটা খেলতে কী পরিমাণ কন্ট্রোল লাগে? ইন্ডিয়ান প্র্যাক্টিসে এসেছেন কখনও? জানেন এক-একটা স্লিপ দিয়ে মারা এক-একটা স্ট্রোক সচিন দৈনিক আড়াইশো বার করে অনুশীলন করে! তা-ও দেশে ওটা বার করে না। দক্ষিণ আফ্রিকা বা অস্ট্রেলিয়া হলে সঙ্গে নিয়ে আসে।” সাংবাদিক বেগতিক বুঝে দ্রুত সটকে গেলেন। ও দিকে মাঠে তখন সচিন না, প্রকৃত বীররসের কাব্য ফুটে উঠছে দ্রাবিড়ের মাধ্যমে। প্রচণ্ড খিঁচুনি ধরেছে তাঁর পায়ে। ফিজিও মাঠে ঢুকলেন। তরল পানীয় খাচ্ছেন বারবার। একে স্ট্রোকে টাইম হচ্ছে না ঠিকমতো। বারবার পরাস্ত হচ্ছেন, তার ওপর পায়ের অসহ্য ব্যথা। আইসিসি-র নতুন নিয়মে রানার নেওয়ারও উপায় নেই। হয় মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে হবে সাময়িক, নয়তো যন্ত্রণা আর চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে লড়তে হবে। দ্রাবিড় বেছে নিলেন পরেরটা। সচিন যদি ক্রিকেটকে উন্নীত করে থাকেন মঙ্গলবার, দ্রাবিড় করলেন জীবনযুদ্ধকে। নিজের পঞ্চাশ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় যে কেউ ড্রেসিংরুমের ছায়ায় চলে যেত। শুশ্রূষা-টুশ্রূষা করিয়ে থার্ড ডে-তে আবার নামত। শখ করে কেউ জোয়ারে নামে কি? যদি ভাঁটার সুযোগও সঙ্গে থাকে?
আর সে জন্যই সচিন যদি মরসুমের ক্রিকেটীয় অলঙ্কার হন, তিনি দ্রাবিড় ছিলেন পুরষকারে টেনে আনা এমসিজি দর্শকের চোখের জল। তাঁর সেঞ্চুরিটা যদি হয়ও, কুশ্রী সেঞ্চুরি হবে। এই ক্যালেন্ডার বর্ষের অন্য ইনিংসগুলোর মতো একেবারেই হবে না। কিন্তু অতীতে দ্রাবিড়ের সঙ্গে কথা বলে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে লিখছি, যদি না-ও হয়, আপাত কুৎসিত ইনিংসটাই তাঁর ব্যক্তিগত ক্রমপর্যায়ে আগে থাকবে। তাঁর দর্শন হল: যে দিন ভাল খেলছি। বল ঠিকঠাক লাগছে, সে দিন আর চ্যালেঞ্জ কী। সে দিন তো ক্রিকেটারের স্কিলটাই জিতিয়ে দিচ্ছে। আপনাদের চোখে ইনিংসটা ভাল। আমার চোখে স্বাভাবিক। এটাই হওয়ার কথা। কিন্তু যে দিন আপনারা লেখেন কুশ্রী, সে দিন সেঞ্চুরি হলে আমি সবচেয়ে খুশি হই। কারণ, সে দিন ব্যাটসম্যান টানতে পারেনি। আমার প্রতিজ্ঞা লড়ে লড়ে কোনও রকমে জিতিয়েছে। সেই কঠিন চ্যালেঞ্জে জেতার মজাটাই আলাদা।
সিডলের বলে বোল্ড হলেন শেষ দিকে দ্রাবিড়। অথচ থেকে গেলেন। কারণ, টিভি রিপ্লেতে আবিষ্কৃত হল নো বল। পরের বলটা তাঁর পাঁজরে লাগতেই তুবড়ির মতো গালাগাল নিয়ে ছুটে এলেন সিডল। সোজা ব্যাটসম্যানের নাকের সামনে। দ্রাবিড় কোনও বিকারই দেখালেন না। এক বার মনে হল নিশ্চয়ই নিজেকে নিজে বলছেন মনে রেখো, কুশ্রী ইনিংসে বড় রান করার রোমাঞ্চটাই আলাদা।
সিডল-কে দ্রুত পিটতে শুরু করলেন এ বার সচিন। যা দেখে ইয়ান চ্যাপেল রোমাঞ্চিত হয়ে পড়লেন, “সঙ্গীকে গালাগাল দিল বলে সচিন পাল্টা মারছে। কী হচ্ছে আজ!” টনি গ্রেগ বলতে শুরু করলেন, “কাল বোধহয় মাঠ ভরে যাবে। আর ভারতে অ্যালার্ম ঘড়ির বিক্রি বাড়বে।” বলতে বলতেই একটা পিচ্ড আপ বলের লাইন মিস করে সচিন বোল্ড। অতঃপর খোদ চ্যানেল নাইন বক্সে যা হাহাকার দেখলাম, শ্যামবাজারের পটলা বা যাদবপুরের বিষ্ণুকে দায়ী করে কী হবে।
কিন্তু যত সময় এগোবে তত বোধহয় আজকের দর্শকদের মনে হবে, রোমান্স ট্র্যাজেডি হলেই তো আরও বেশি করে অমর হয়। একটা অঙ্কের হিসেব মিলল না তো কী। বিশ্বের প্রাচীনতম ক্রিকেট মাঠে, অঙ্ক-বিচারে বিশ্বের এক ও দু’নম্বর ব্যাটসম্যান গভীর প্রতিকুলতায় এই যে সংগ্রাম করলেন, এত বড় ক্রিকেট শো এ বছরে আর কোথায় হয়েছে? অঙ্কে অনুত্তীর্ণ, জীবনে উত্তীর্ণ ভাবটাই তো বরঞ্চ অস্ট্রেলীয় বিকেলটাকে কেমন মায়াবী করে দিয়েছে।
এখনই মনে হতে শুরু করেছে, সত্যি দেখেছি তো যে ক্রিকেট হেরে গিয়ে ক্রিকেটের আত্মা জিতে গেল। নাকি স্বপ্নে এল?
|
স্কোর |
অস্ট্রেলিয়া
প্রথম ইনিংস
(আগের দিন ২৭৭-৬) |
হাডিন ক সহবাগ বো জাহির ২৭
সিডল ক ধোনি বো জাহির ৪১
প্যাটিনসন নঃআঃ ১৮
হিলফেনহস ক বিরাট বো অশ্বিন ১৯
লিয়ঁ বো অশ্বিন ৬
অতিরিক্ত ২৪
মোট ১১০ ওভারে ৩৩৩।
পতন: ৪৬, ৪৬, ১৫৯, ২০৫, ২০৫, ২১৪, ২৮৬, ২৯১, ৩১৮।
বোলিং: জাহির ৩১-৬-৭৭-৪, ইশান্ত ২৪-৭-৪৮-০,
উমেশ ২৬-৫-১০৬-৩, অশ্বিন ২৯-৩-৮১-৩। |
ভারত
প্রথম ইনিংস |
গম্ভীর ক হাডিন বো হিলফেনহস ৩
সহবাগ বো প্যাটিনসন ৬৭
দ্রাবিড় ব্যাটিং ৬৮
সচিন বো সিডল ৭৩
ইশান্ত ব্যাটিং ০
অতিরিক্ত ৩, মোট ৬৫ ওভারে ২১৪-৩।
পতন: ২২, ৯৭, ২১৪।
বোলিং: প্যাটিনসন ১৫-৩-৩৫-১, হিলফেনহস ১৪-১-৫০-১, সিডল ১৫-২-৫৩-১,
লিয়ঁ ১৪-২-৫৩-০, হাসি ৫-০-১৫-০, ওয়ার্নার ২-০-৮-০। |
|
|
ছবি: এপি। |
|
|
|
|
|