টুকরো খবর
সবুজায়ন নিয়ে প্রচার
নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলায় প্রকৃতির ভারসাম্য হারিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে ১৭ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার গোসাবা থেকে তিনি যাত্রা শুরু করেছেন সিউড়ির বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা উজ্জ্বল পাল। তাঁর উদ্যোগের জন্য ২৪ ডিসেম্বর সিউড়ির রেস এবং সৃজনী নামে দু’টি সংস্থা যৌথভাবে তাঁকে সম্বর্ধনা জানান।
উজ্জ্বল পাল। নিজস্ব চিত্র।
ওই দিন তাঁর সঙ্গে আরও অনেকে সিউড়ি শহরে সাইকেল র্যালি করেন। উজ্জ্বলবাবুর লক্ষ রয়েছে ৭৩০ দিনে ২৮০০০ কিমি পথ পরিক্রমা করা। যাত্রা শেষ হবে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। তাঁর কথায়, “নগর সভ্যতার জন্য নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। ফলে প্রকৃতির ভারসাম্য হারিয়ে যাচ্ছে। মানুষ যাতে প্রকৃতির ভারসাম্য ফেরাতে সচেতন হয় সে জন্য এই অভিযান।”

আড়াবাড়িতে হাতির তাণ্ডব
হাতির দলকে কিছুতেই দলমায় পাঠাতে পারছে না বন দফতর। সোমবার সারারাত ধরে চেষ্টা করেও হাতির দলকে সরানো যায়নি। বন দফতর জানিয়েছে, আড়াবাড়ি রেঞ্জের মিরগা থেকে অভিযান চালিয়ে হাতির দলকে রঞ্জার জঙ্গল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রঞ্জা থেকে লালগড় হয়ে দলমাতে পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল বন দফতর। কিন্তু হাতির দল রঞ্জার জঙ্গলে পৌঁছনোর পরেই বেশ কয়েকটি ভাগে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে অভিযান শেষ করতে বাধ্য হয় বন দফতর। সকালে জানা যায়, ফের হাতির দল মিরগা বিটের জঙ্গলেই ফিরে এসেছে। মেদিনীপুর বন বিভাগের ডিএফও আশিস সামন্ত বলেন, “এই দলটিতে ৬-৭টি বাচ্চা হাতি রয়েছে। যে কারণে হাতির দলটিকে সহজে জোর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। হাতির দল নিজেদের মর্জি মতোই চলতে চাইছে।” কিন্তু একই জায়গায় হাতির দল বেশি দিন থাকলেই ব্যাপক শস্যহানি হচ্ছে। এখন আবার মাঠে ধান নেই। সকলেই ধান তুলে নিয়ে চলে গিয়েছেন খামারে। ফলে খাদ্যের টানে হাতির দল গ্রামেও হানা দিচ্ছে। ধানের গাদা উল্টে ধান খেয়ে নষ্ট করছে। বাড়ি ভাঙছে। বাড়ির দেওয়াল ভেঙে বস্তায় রাখা ধানও টেনে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যেও ক্ষোভ দেখা দিচ্ছে। বন দফতর জানিয়েছে, হাতির হানায় ক্ষয়ক্ষতি রুখতে হাতির দলকে দলমায় পাঠানোর জন্য চেষ্টা হচ্ছে। গ্রামবাসীদের সাহায্যেই অভিযান চালানো হচ্ছে।

এন্ডোসালফান ছিল: রিপোর্ট
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পরে এ বার মৎস্য দফতরের পরীক্ষাতেও করলা নদীর মৃত মাছের দেহে এন্ডোসালফানের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। অতিমাত্রায় বিষাক্ত কীটনাশক এন্ডোসালফানের ব্যবহার ভারতে নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও কী ভাবে করলার জলে এন্ডোসালফান এল, তার ধোঁয়াশা না কাটলেও মৎস্য দফতরের রিপোর্টে জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া দুটি চা বাগান সংলগ্ন করলা নদীর জলের নমুনা পরীক্ষা করে কীটনাশক পাওয়া গিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মৎস্য দফতরের সহকারী অধিকর্তা সোনম ছেওয়াঙ বলেন, “বিশেষজ্ঞ রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। রিপোর্টে এন্ডোসালফানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।” প্রথমে ২৭ প্রজাতির মৃত মাছের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরে বিশেষঞ্জরা এসে ৩৩ প্রজাতির মৃত মাছের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যান। চিতল, ফলি, শোল, পুঁটি, বোরোলি, বোয়াল, ট্যাংরা, মৃগেলের মতো মাছের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, মাছের দেহে সাধারণত ০.০০১ থেকে ০.০৫ মিলিগ্রাম এন্ডোসালফান মৃত্যর কারণ হলেও করলায় মৃত মাছের নমুনা পরীক্ষা করে প্রতি কেজিতে প্রায় ২.৮ থেকে ১,৪৪৩ মিলিগ্রাম এন্ডোসালফান পাওয়া গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি পরিমাণ এন্ডোসালফান পাওয়া গিয়েছে খলসে মাছের দেহে। সবচেয়ে কম মিলেছে শোল মাছের দেহে। এ ছাড়াও দু’ধরনের কীটনাশকের প্রমাণ পেয়েছে মৎস্য দফতর।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.