চোরাগোপ্তা বিক্রি হচ্ছে ‘বিরল’ প্রজাতির পাখির মাংস। উলুবেড়িয়া, আমতার বিভিন্ন এলাকায় চলছে এই কারবার।
বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রেললাইনের ধার ঘেঁষে ঝিলের পাড়ে এসে বসে পাখিরা। মূলত শীত পড়ার আগে থেকেই শুরু হয় পাখিদের আনাগোনা। সেই পাখিদেরই ফাঁদ পেতে কিংবা বিষ প্রয়োগ করে ধরে শিকারিরা। ১০০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় এই সব পাখির মাংস। মাংসের লোভে পাখি শিকারিদের কাছে আসেন কোলাঘাট, মহিষরেখা, গড়চুমুক প্রভৃতি এলাকায় চড়ুইভাতি করতে আসা লোকজন। মুম্বই রোডের ধারে গড়ে ওঠা হোটেলগুলিতেও এই সব পাখির মাংস বিক্রি হয় বলে অভিযোগ। গোটা পাখিও কিনে নিয়ে যান অনেকে। খোলা বাজারে অবশ্য বিক্রি হয় না পাখির মাংস। |
চোরা শিকারিরা চোরাগোপ্তা নানা ঠেক থেকে বিক্রি করে পাখির মাংস।
মঙ্গলবার উলুবেড়িয়ার রাজাপুরে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হানা দেন বন দফতরের কর্তারা। তবে দু’একটি বক এবং কয়েকটি ফাঁদ ছাড়া কিছুই মেলেনি। হাওড়ার জেলা বনাধিকারিক গৌতম চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, “পাখি বিক্রির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের নাম-ঠিকানা জোগাড় করা হয়েছে। তাদের ধরতে তল্লাশি চালানো হবে।” এই সব পাখি পরিযায়ী নয় বলেই দাবি বন দফতরের। গৌতমবাবু বলেন, “বিরল প্রজাতির এই পাখি দেশীয় বক-জাতীয়। বিভিন্ন জেলা থেকে উড়ে এসে ঝিলের ধারে বসে।” তাঁর কথায়, “এক সময়ে এই সব পাখি প্রচুর দেখতে পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে এগুলির সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। পাখি শিকারিরাই এ জন্য দায়ী।” পাখি বিক্রি বন্ধ করতে এইসব গ্রামগুলিতে নিয়মিত হানা দেওয়া হবে বলে বন দফতর জানিয়েছে। দফতরের কর্তারা জানান, বিষ মিশিয়ে মেরে ফেলা পাখির মাংস খেয়ে মানবশরীরে ক্ষতির আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। পাখি বিক্রির বেআইনি ব্যবসা রুখতে সাধারণ মানুষের ‘সচেতনতা’ জরুরি বলে মনে করেন আধিকারিকেরা। |