ভোটে কালো টাকা, সতর্ক করল কমিশন |
পাঁচ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা ভোটে কালো টাকার ব্যবহার রুখতে সব রাজনৈতিক দলকে লিখিত নির্দেশিকা পাঠাল নির্বাচন কমিশন। তাতে বলা হয়েছে, কোনও দল যেন টাকার লেনদেন না করে। একই সঙ্গে তারা যেন দলীয় কর্মীদের বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়ে যাতায়াত করতে নিষেধ করে।
এই মর্মে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, গোয়া এবং মণিপুরের সব ক’টি দলকে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন। বলা হয়েছে, ভোটের সময়ে টাকার জোর খাটানো বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ। ২৬ ডিসেম্বর পাঠানো চিঠিতে কমিশন লিখেছে, “ভোটে স্বচ্ছতা আনতে দলগুলিকে বলা হচ্ছে, তারা যেন টাকার লেনদেন না করে এবং নির্বাচনের সময়ে দলীয় কর্মী, প্রার্থীদের বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়ে যাতায়াত করতে বারণ করে।”প্রার্থীদের উদ্দেশে কমিশনের পরামর্শ, তাঁরা যেন নির্বাচনে ব্যয়ের জন্য আলাদা একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলেন এবং নির্বাচনী খরচের হিসাবে স্বচ্ছতা রাখতে সেখান থেকেই টাকা লেনদেন করেন। কমিশন আয়কর দফতরের কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে, ওই পাঁচ রাজ্যে বড় অঙ্কের টাকা লেনদেনে যেন কড়া নজর রাখা হয়। কোনও দালাল মারফত হিসাব বহির্ভূত টাকা রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে ঢুকছে কিনা তাও নজর রাখতে বলা হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, অনেক সময় টাকা ছড়িয়ে, মদ বিলিয়ে বা অন্য কোনও উপায়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়। এ সব থেকে বিরত থাকতে প্রার্থীদের কড়া ভাষায় সতর্ক করে দিয়েছে কমিশন। বলা হয়েছে, মদ, টাকা বা উপহার দিয়ে ভোট কেনা ফৌজদারি মামলায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সব দলকে কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, কোনও প্রার্থীকে ভোটে যে টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেটার প্রত্যেক দিনের খরচ যেন নথিভুক্ত রাখা হয়।
|
নিয়ম ভেঙে জমি দেওয়া নিয়ে জেরা অচ্যুতানন্দনকে |
মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে নিয়ম ভেঙে আত্মীয়কে সরকারি জমি দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে আজ সিপিএম নেতা ভি এস অচ্যুতানন্দনকে জেরা করলেন ভিজিল্যান্সের কর্তারা। আগেও দু’বার তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল ভিজিল্যান্স পুলিস। কিন্তু আলাদা আলাদা কারণ দেখিয়ে দু’বারই জেরার মুখোমুখি হতে অস্বীকার করেন কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। শেষে অভিযোগটি নিয়ে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেয় ভিজিল্যান্স দফতর। এর পরে আর না করেননি অচ্যুতানন্দন। কাসারগোড়-এর পুলিস সুপার ও ডেপুটি পুলিস সুপার আজ অচ্যুতানন্দনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করেন। মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়, প্রাক্তন সেনাকমী টি কে সোমানকে কাসারগোড়-এর ২.৩৩ একর সরকারি জমি দিয়েছিলেন অচ্যুতানন্দন। ওই জমি বিক্রির সত্ত্বও দেওয়া হয়েছিল সোমানকে, নিয়ম অনুযায়ী যা করা যায় না। আত্মীয় সোমানকে জমি দেওয়ার নথিতে সই করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী অচ্যুতানন্দনই। জেরার সময় সেই নথি আজ তাঁকে দেখানো হয়। বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন রাজস্বমন্ত্রী কে পি রাজেন্দ্রনকেও এর আগে জেরা করেছে ভিজিল্যান্স দফতর।
|
গাড়ি চালিয়ে, চেকগেট ভেঙে বাংলাদেশে, ধৃত ৩ |
বিএসএফ-এর কর্ডন ভেঙে তিন মদ্যপ যুবক সোজা গাড়ি চালিয়ে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ল। বর্ডার গার্ড, বাংলাদেশ(বিজিবি) তাদের গ্রেফতার করে। পরে বাংলাদেশ পুলিশ তাদের বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। কাল রাতে বিমল দেববর্মা, অমরজিৎ দেববর্মা এবং সুশান্ত দেববর্মা নামে তিন যুবক গাড়ি চালিয়ে ত্রিপুরার আখাউড়া সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে যায়। যাওয়ার সময় বিএসএফ-এর দু’টি চেকগেট ভেঙে দেয়। বিএসএফ জানিয়েছে, পশ্চিম ত্রিপুরার সিধাইয়ের বাসিন্দা বিমল দেববর্মা সরকারি কর্মচারী। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। বাকি দু’জন ব্যবসায়ী, আগরতলারই বাসিন্দা। বিএসএফ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। বিজিবি সূত্রে খবর, গাড়িটি সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশের দিকের তিনটি চেকগেট ভেঙে এগিয়ে গিয়ে বিজিবি চৌকির প্রাচীর ভেঙে ঢুকে পড়ে। বিজিবি-র কেউ এই ঘটনায় জখম হয়নি। তারা ওই তিন যুবককে আখাউড়া থানায়, বাংলাদেশ পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
|
কংগ্রেস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে ক্ষুব্ধ ত্রিপুরা কংগ্রেস |
কংগ্রেস সম্পর্কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের ‘মন্তব্যে’র প্রতিবাদে আজ রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ দেখাল ত্রিপুরা যুব কংগ্রেস। সম্প্রতি সিপিএমের দলীয় সমাবেশে মানিকবাবু ‘কংগ্রেস দল ব্রিটিশ গর্ভজাত’ বলে মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ। রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভাপতি সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ‘‘কংগ্রেস দল সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর অশালীন মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে।’’ এ দিন রাজ্য যুব কংগ্রেস রাজ্যব্যাপী ‘ধিক্কার দিবস’ পালন করে। মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ান বিক্ষোভকারীরা। আগামিকালও জেলা ও ব্লক স্তরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে প্রদেশ যুব কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র রতন চক্রবর্তী বলেন, “কংগ্রেসের ইতিহাস ‘সচেতন ভাবে অস্বীকার’ করার ফলেই মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস প্রসঙ্গে এ ধরনের ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য করেছেন। এটা খুবই দুঃখজনক।” প্রদেশ কংগ্রেস ও যুব কংগ্রেসের একাধিক নেতার বক্তব্য, অভিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টি এক সময় বলত, ‘ইয়ে আজাদি ঝুটা হায়’। তাদেরই উত্তরসূরিদের মুখে ভারতের ‘জাতীয় সংহতি’র কথা সাজে না।
|
তিনটি মৃতদেহ নিয়ে ফাঁপরে পুলিশ |
সেনাবাহিনীর হাতে নিহত তিন সন্দেহভাজন আলফার দেহ নিতে অস্বীকার করল তাঁদের পরিবার। ২৫ ডিসেম্বর রাতে অরুণাচলের লোহিত জেলার নামসাই এলাকায় সেনা-পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তিন বাইক আরোহী যুবকের। মৃতদের নাম ধীরাজ দুয়রা, শিবকুমার মরাণ ও জনক মরাণ। ঘটনার পরে সেনাবাহিনী দাবি করে, নিহতরা আলফা জঙ্গি। পরেশপন্থী গোষ্ঠী তা অস্বীকার করে। আলফার বিবৃতির পর মৃতদের পরিবার দেহগুলি নিতে অস্বীকার করে। তাদের দাবি, দোষী নিরাপত্তাবাহিনীর শাস্তি না হলে দেহ ফেরত নেওয়া হবে না। আপাতত তিনটি দেহ মাকুম থানায় রাখা রয়েছে। ‘ভুয়ো সংঘর্ষে’ তিন যুবককে হত্যা করার প্রতিবাদে অল অসম মরাণ ছাত্র সংগঠন মাকুম থানায় অবস্থান বিক্ষোভ করে। দীর্ঘক্ষণ, ৩৭ ও ৩৮ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং রেল লাইন অবরোধ করা হয়। তাদের দাবি, ওই তিন যুবক জঙ্গি ছিলেন না।
|
নদীবাঁধ আন্দোলনে সংঘর্ষ অব্যাহত |
বাঁধ বিরোধীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর সংঘর্ষ আজও অব্যাহত। বৃহৎ নদীবাঁধ বিরোধী সংগঠনগুলির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার বন্ধে অবরোধ তুলতে ফের রাস্তায় নামানো হয় পুলিশ ও আধা-সেনাকে। আজ ৫২ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে অসম ও অরুণাচলের কোনও গাড়ি যেতে দেওয়া হয়নি। প্রশাসন পথ অবরোধ হঠাতে বললেও বিক্ষোভকারীরা কান দেননি। ফলে ফের চাউলধোয়া এলাকায় পুলিশ ও আধা-সেনা অবরোধকারীদের হঠানোর চেষ্টা করে। লাঠি চালানো হয়। শূন্যে গুলিও চলে। লাঠির ঘায়ে জখম হন অন্তত ১৫ জন আন্দোলনকারী। |