এক দিকে ম্যাড়ম্যাড়ে শেয়ার বাজারে সেনসেক্সের ৯৭ পয়েন্ট পতন। অন্য দিকে ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম ফের ৩১ পয়সা কমে যাওয়া। সদ্য কাটানো বড়দিনের উৎসবের রেশ কিংবা হাজারো শুভকামনা নিয়ে বর্ষবরণের হুল্লোড়ের প্রস্তুতি, মঙ্গলবার কোনও কিছুই রঙ ধরাতে পারল না লগ্নির বাজারে।
এ দিন ৩১ পয়সা পড়ে এক ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৫৩.০২/০৩ টাকা। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, প্রধানত অপরিশোধিত তেল আমদানির জন্য অর্থের সংস্থান করতে গিয়েই বেড়েছে ডলারের চাহিদা। ফলে কমেছে টাকার দাম।
সেনসেক্সও এ দিন প্রায় ৯৭ পয়েন্ট পড়ে থেমেছে ১৫,৮৭৩.৯৫ অঙ্কে। এর আগে গত ছ’দিনের লেনদেনে তা নিট হিসাবে ৪৪১ পয়েন্ট ওঠার পর বাজার বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলেছিলেন, সূচক এ বার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে। কিন্তু এ দিন সূচক এবং টাকার দাম ফের পড়ায় ওই সম্ভাবনা ঘিরে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞ অজিত দে বলেন, “আর্থিক অবস্থা উন্নতির লক্ষণ নেই। এখন সূচকের বৃদ্ধি দেখেই বাজারের হাল ফিরেছে বলে ভাবা ঠিক নয়। কারণ কৃত্রিম ভাবে সূচককে তোলার বহু কৌশল রয়েছে বাজারে।” তবে বহু ভাল সংস্থার শেয়ার এখন কম দামে মিলছে। তাই বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই মত, এটাই ভাল শেয়ারে লগ্নির উপযুক্ত সময়। যেমন, অ্যাসোচ্যামের সেক্রেটারি জেনারেল ডি এস রাওয়াত। তিনি জানান, “সাধারণ ভাবে শেয়ারের দাম যা থাকা উচিত, এখন তার থেকে অনেক কম। আশা করব, এই সময়ে লগ্নিকারীরা বাজারমুখো হয়ে পতন রুখবেন।” অবশ্য বড়দিনের ছুটির মরসুমে আন্তর্জাতিক বহু বাজারে লেনদেন বন্ধ। বহু বিশেষজ্ঞের আশঙ্কা, ছুটির পর আমেরিকার বাজার ফের চালু হলে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির অনেকেই ভারতের বাজারে শেয়ার বেচে আমেরিকার বাজারে লগ্নি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভারতের শেয়ার বাজার আরও পড়ার আশঙ্কা থাকছেই।
এ দিকে, সম্প্রতি শেয়ার বাজার নিয়ে এক সমীক্ষা করেছে অ্যাসোচ্যাম। বর্তমান পরিস্থিতিতে শিল্প সংস্থাগুলির আর্থিক সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে সেখানে বলা হয়েছে, শেয়ার বাজারের হাল খারাপ হওয়ায় সংস্থাগুলির বাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করার রাস্তা প্রায় বন্ধ। ফলে এই মুহূর্তে প্রবল সমস্যায় পড়েছে তারা।
|