|
|
|
|
সেনার এক্তিয়ার নিয়ে বার্তা বেনজির-পুত্র বিলাবলেরও |
সংবাদসংস্থা • ইসলামাবাদ |
নাম না করে সেনাবাহিনীর এক্তিয়ার নিয়ে প্রায় রোজই সতর্ক করছেন প্রেসিডেন্ট জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী গিলানি। এ বার মুখ খুললেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান এবং জারদারি-বেনজির পুত্র বিলাবল ভুট্টোও। মা বেনজিরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে একটি লেখায় সেনার এক্তিয়ার নির্দিষ্ট করতে চেয়েছেন বিলাবল। সেনা-সরকার তীব্র বিরোধের মধ্যেই তিনি লিখেছেন, শক্তিশালী সেনার দায়িত্ব দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। কিন্তু একনায়কদের জমানায় সেনাবাহিনীর রাজনীতিকরণ এমন ভাবে হয়েছে, যে সেনা এক্তিয়ার-বহির্ভূত বিষয়ে মাথা গলায়। দেশে শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য মায়ের স্বপ্ন সফল করার শপথও নিয়েছেন বিলাবল। মনে করা হচ্ছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর মৃত্যুবার্ষিকীতে নবীন নেতা বিলাবলের মুখ দিয়ে গণতন্ত্রপন্থী বার্তা ফের বলাল গিলানি সরকার। এক মাস আগেই বিদেশ থেকে ফিরেছেন বিলাবল। বাবার অসুস্থতা এবং পদত্যাগের জল্পনার মধ্যে তাঁকে নেতা হিসেবে তুলে ধরারও একটা চেষ্টা হচ্ছে। |
|
বেনজির ভুট্টোর মৃত্যুবার্ষিকীতে নেত্রীকে স্মরণ। ইসলামাবাদে। ছবি:এপি |
প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিও এ দিন সেনাকে নরমে-গরমে বার্তা দিয়েছেন। এক দিকে যেমন বলেছেন, সেনা প্রধান বা আইএসআই প্রধানকে সরানোর খবর নেহাতই গুজব, তেমনই মনে করিয়ে দিয়েছেন, সংবিধানের মধ্যে থেকে কাজ করলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিরোধও বাধবে না। বিলাবল আবার লিখেছেন, বেনজিরের মৃত্যুর পরে পাকিস্তান যদি গণতন্ত্রের পথে না হাঁটত, পিপিপি বা সেনা কারওই অস্তিত্ব থাকত না। দেশ জুড়ে দাপিয়ে বেড়াত জঙ্গিরা।
শুধু সেনাই নয়, তারা যে দলের পিছনে শক্তি জোগাচ্ছে বলে পাকিস্তানে চর্চা শুরু হয়েছে, সেই তেহরিক-ই-ইনসাফকেও এ দিন আক্রমণ করেছেন গিলানি। গত রবিবার, মহম্মদ আলি জিন্নার ১৩৬-তম জন্মদিনে কায়েদ-ই-আজম ময়দানে ইমরান খানের এই দলের সমাবেশে প্রচুর ভিড় হয়েছিল। এ দিন তেহরিক-ই-ইনসাফকে ‘সুবিধাবাদীদের দল’ বলে কটাক্ষ করেন গিলানি। যাঁরা পিপিপি ছেড়ে ইমরানের দলে নাম লিখিয়েছেন, তাঁদের ‘অযোগ্য’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ‘‘যাঁরা অন্য দলে নাম লিখিয়েছেন তাঁরা পিপিপিতে থাকার যোগ্যই নন।” |
|
|
|
|
|