প্রবাদ প্রতিম ভাওয়াইয়া শিল্পী নায়েব আলির (টেপু) জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে দুই বাংলার শিল্পীদের মিলনমঞ্চ হয়ে উঠছে কোচবিহারের জিরানপুর। আজ। সোমবার থেকে জিরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুমপুর হাই স্কুলে দুই বাংলার খ্যাতনামা ভাওয়াইয়া শিল্পীদের নিয়ে দু’দিন ব্যাপী ওই জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশের সালমা খাতুন লিপি, পারুল রায়, বিভূতি ভূষণ বর্মার সঙ্গে ওই অনুষ্ঠানের শিল্পী তালিকায় রয়েছেন। এপার বাংলার সুখবিলাস বর্মা, তুলসি সরকার, আবদুল লতিফ প্রমুখ এ বার নিয়ে পরপর তিনবার নায়েব আলির (টেপু) জন্মজয়ন্তীর আয়োজন করছে ওই শিল্পীর স্মরণে তৈরি সমিতি। ওই সমিতির অভিযোগ, বাম জমানায় বরাদ্দ টাকা তছরুপ হওয়ায় প্রবাদ প্রতিম ভাওয়াইয়া শিল্পী নায়েব আলির (টেপু) জন্ম শতবর্ষের সরকারি অনুষ্ঠান হয়নি। ২০০৯ সালে প্রথম শিল্পীর জন্ম শতবর্ষের অনুষ্ঠান করে ওই স্মরণ সমিতি। তারপর থেকে ফি বছর শিল্পীর জন্মবার্ষিকী পালন করছেন তাঁরা।
আগামী ২৬-২৭ ডিসেম্বর কোচবিহারের ধুমপুর হাই স্কুলে নায়েব আলির ১০২ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন। ওই স্মরণ সমিতির সভাপতি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “২০০৯ সালে শিল্পীর জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানের জন্য অনগ্রসর দফতর আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ করলেও তা তছরুপ হয়। সেই জন্যই সেবার সরকারি উদ্যোগে কোন অনুষ্ঠান হয়নি। স্মরণ সমিতি গড়ে তখন থেকেই আমরা ফি বছর শিল্পীর জন্মবার্ষিকী উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বার ওই অনুষ্ঠানে দুই বাংলার খ্যাতনামা শিল্পীরা অংশ নেবেন। একই সঙ্গে বিধায়ক রবীন্দ্রনাথবাবু ২০০৯ সালের ঘটনার তদন্ত চেয়ে জেলাশাসককে আর্জিও জানিয়েছেন। স্মরণ সমিতির সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “লক্ষাধিক মানুষের সমাগমের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি চলছে। বাসিন্দারাও সহযোগিতা করছেন ধুমপুর তেপথি থেকে অনুষ্ঠানস্থলে যাতায়াতের প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার পাশের বাসিন্দারা বাড়ির সংযোগ থেকে রাস্তার পাশে একটি করে বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন।” |