নিরাপত্তা এবং নজরদারি কাজে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই কাজে আর্থিক অনুদান পেতে বিষয়টি প্রস্তাব আকারে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরেও পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি রোগী কল্যাণ সমিতি বা জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে আলাদা করে অর্থ মঞ্জুর করে ওই কাজ করার চেষ্টা হচ্ছে।
দার্জিলিং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবীর ভৌমিক বলেন, “নিরাপত্তার কারণে হাসপাতালে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালের কোথায় কী হচ্ছে তা নজরদারিরও প্রয়োজন। হাসপাতালে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসাতে আর্থিক সংস্থানের বিষয়টি দেখা হচ্ছে।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওয়ার্ডগুলিতে নজরদারির জন্য ওই ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা প্রয়োজন। হাসপাতাল সুপার প্রদীপ সরকার জানান, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে। হাসপাতালের কোন কোন জায়গায় তা বসানো হবে সে সব বিস্তারিত খতিয়ে দেখেই ওই কাজ করা হবে। ওই কাজে পুলিশ প্রশাসনের সাহায্যও নেওয়া হবে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগী কল্যাণ সমিতি থেকে ওই কাজের টাকা খরচ করার বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে ভাবা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সমস্যা হলেও কাজে যাতে বিঘ্ন না ঘটে সে জন্য অন্য জায়গা থেকে আর্থিক সংস্থানের বিষয়েও চিন্তা ভাবনা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে ওই কাজে সাহায্য করবে। তবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ওই কাজের জন্য আলাদা অর্থ বরাদ্দ করলে সবচেয়ে ভাল হয়। তাই নির্দিষ্ট করে প্রকল্প তৈরি করে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরে তা পাঠনো হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়ার্ডে চিকিৎসক সময় মতো না থাকা, চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে রোগী ও তাঁর পরিবারের লোকদের সঙ্গে অভব্য আচরণের মতো গুরুতর অভিযোগ মাঝে মধ্যেই ওঠে। সম্প্রতি ওয়ার্ডে শয্যা থেকে রোগিণী পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ওই সমস্ত অভিযোগ যথাযথ খতিয়ে দেখার কাজে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। বহির্বিভাগে চিকিৎসকদের একাংশ সময় মতো যান না বলেও অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে ওই ঘটনা নজরে পড়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবেরও। সে কারণে প্রতিটি ওয়ার্ডেই ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানোর কথা ভাবা হয়েছে। তা ছাড়া, করিডরগুলিতে বা হাসপাতাল চত্বরে অবাঞ্ছিত লোকদের ঘোরাফেরা নজরদারি করতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার সাহায্য নেওয়া হবে। হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তাতে জোরদার হবে বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। |