টুকরো খবর
এ বার নার্সিংহোম পরিদর্শনে সিএমওএইচ
মহকুমা হাসপাতালের পর এ বার ঘাটাল শহরের বেসরকারি নার্সিংহোমগুলি ঘুরে দেখলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দু পাত্র। শনিবার শহরের প্রায় ৩০টি নার্সিংহোম ঘুরে সরকারি নিয়মকানুন ঠিকঠাক না মেনে চলায় ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। প্রায় বেশিরভাগ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন এক মাসের মধ্যে সরকারি নিয়মকানুন না মানা হলে নার্সিংহোমগুলি বন্ধ করে দেওয়া হবে। অভিযোগ, প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত নার্স ছাড়াও আরএমও-সহ (রেজিস্টার মেডিক্যাল অফিসার) কিছুই নেই শহরের প্রায় বেশিরভাগ নার্সিংহোমগুলিতে। সবিতেন্দ বাবু বলেন, “এক মাসের পর আবার পরিদর্শনে আসব। যদি দেখি কর্তৃপক্ষেরা সরকারি নিয়মকানুন মানছেন না, তা হলে ওই সমস্ত নার্সিংহোম পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে।” আমরি-কাণ্ডের পর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা সরকারি হাসপাতাল, বেসরকারি নার্সিংহোমগুলি ঠিক কী ভাবে চলছে তা পরিদর্শনে বের হয়েছিলেন। গত শনিবার ঘাটাল শহরের বেসরকারি নার্সিংহোমগুলিতে আচমকা পরিদর্শনে গিয়ে সেগুলির মান দেখে বেজায় চটে যান মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। ঘাটাল শহরের অলিতে-গলিতে গজিয়ে উঠেছে একাধিক নার্সিংহোম। সেগুলিতে বেশিরভাগই সরকার অনুমোদিত শয্যা ছাড়াও ৮-১০টি বেড বেশি রয়েছে। বেশিরভাগ নার্সিংহোমে ওটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মাকড়সার জাল। নার্স, চিকিৎসক নেই। নেই দমকলের ছাড়পত্রও। তা সত্ত্বেও রমরমিয়ে চলছে নার্সিংহোমগুলি। এ ছাড়া, বেসমেন্টে তুলো-সহ একাধিক বেড, আসবাব, এমনকী গ্যাসের সিলিন্ডারও রয়েছে। কেন সরকারি নিয়ম মানা হয়নি, তার জন্য প্রায় ৮-১০ টি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে ওই দিন শো-কজও করেন সবিতেন্দুবাবু।

এইমস চেয়ে ধর্মঘটের হুমকি
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির দাবিতে এ বার পরিবহণ ধর্মঘটের হুমকি দিল উত্তর দিনাজপুর বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। রবিবার রায়গঞ্জে এই কথা ঘোষণা করা হয়। তাঁদের বক্তব্য, মার্চে কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণা হওয়ার আগে হাসপাতাল তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু করতে হবে। দাবি মানা না-হলে অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জেলা জুড়ে একদিনের প্রতীকী পরিবহণ ধর্মঘট হবে। তারপরও সরকার জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে উদ্যোগী না নিলে বাস মালিকেরা জেলা জুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহণ ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হবেন বলে এ দিন ঘোষণা হয়। সংগঠনের তরফে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করার আর্জি জানানো হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অশোক চন্দ বলেন, “আন্দোলনের নামে রাজনীতি হচ্ছে। প্রয়োজনে অনির্দিষ্ট কালের জন্য জেলা জুড়ে পরিবহণ ধর্মঘট হবে।” হাসপাতাল নিয়ে বিভিন্ন দল ‘রাজনীতি’ করছে বলে বাস মালিকদের অভিযোগ নিয়ে মন্তব্য করেননি রায়গঞ্জের কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সি। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গবাসীর স্বার্থে যে কেউই আন্দোলনে নামতে পারেন। হাসপাতাল রায়গঞ্জেই করতে হবে। আমাদের আন্দোলন নিয়ে কে কী বলছেন তা নিয়ে ভেবে অযথা সময় নষ্ট করতে চাই না। আন্দোলন জারি থাকবে।” ২০১০-এর অক্টোবরে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রায়গঞ্জের পানিশালায় জেলা প্রশাসনের চিহ্নিত করা জমি পরিদর্শন করে। ফ্রেব্রুয়ারিতে পূর্বতন রাজ্য সরকার অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করে। সরকার বদলের পরে প্রক্রিয়া আটকে গিয়েছে বলে কংগ্রেস ও সিপিএমের পক্ষ থেকে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতাল কল্যাণীতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তুলে জেলা জুড়ে আন্দোলনে নামে কংগ্রেস। দলের জেলা সম্মেলনে হাসপাতালের দাবিতে টানা আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নেয় সিপিএমও। জেলা তৃণমূলের তরফেও মুখ্যমন্ত্রী-সহ রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে অধিগ্রহণের দাবি জানানো হয়। এ বার বাস মালিকদের আন্দোলনের হুমকি নতুন মাত্রা যোগ করল বলে মনে করা হচ্ছে।

শিশুমৃত্যু, তদন্তে এডিএম
অপুষ্টিজনিত কারণে সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার একথা বলেন জেলা সভাধিপতি অন্নপূর্ণা মুখোপাধ্যায়। চলতি মাসে ৪৮টি সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছেএই খবর জানার পরে রবিবার সিউড়ি সদর হাসপাতালে আসেন অতিরিক্ত জেলাশাসক অমিতাভ সেনগুপ্ত, সিউড়ি সদর মহকুমাশাসক সুজয় আচার্য এবং জেলা সভাধিপতি অন্নপূর্ণা মুখোপাধ্যায়। পরিদর্শনের পরে সভাধিপতি বলেন, “অধিকাংশ শিশুই মারা গিয়েছে অপুষ্টির কারণে। এ ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছি।” জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক আশিস মল্লিক বলেন, “শিশু মৃত্যু রুখতে প্রত্যন্ত এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ মহম্মদ হেরসতুল্লা জানান, এই হাসপাতালে যে সব শিশুর মৃত্যু হয়েছে তাদের বয়স ২৮ দিনের নীচে। অধিকাংশ শিশু এবং মায়েদের ওজন কম। তাঁর দাবি, “যে সব শিশু মারা গিয়েছে, বাড়িতে বা নার্সিংহোমে হয়েছে। সঙ্কটজনক অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।” ওই চিকিৎসক বলেন, “জেলায় দৈনিক যত শিশুর জন্ম হয় তার মধ্যে ১০০ জনের ওজন কম। অধিকাংশ শিশু জন্মের পরে কাঁদে না। মায়ের দুধ খায় না। সিউড়ি হাসপাতালে সদ্যোজাত শিশুদের জন্য এসএনসিইউ থাকলেও সেখানে ১৪টির বেশি শিশুকে রাখা যায় না।” হাসপাতাল সুপার মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, “সমস্ত শিশু যাতে হাসপাতালে জন্ম নেয় তার জন্য এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগী হতে হবে।”

ডাক্তারকে চড়, মহিলা ধৃত আর জি করে
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে ডাক্তার (ইন্টার্ন)-কে চড় মারার অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আর জি করের জরুরি বিভাগে। পুলিশের কাছে মহিলা পাল্টা অভিযোগ করেন, ওই চিকিৎসক তাঁকে ঠেলে দিয়েছিলেন। পুলিশ জানায়, ধৃত মহিলার নাম মিঠু বসু। তাঁর বাড়ি দমদমে। ডাক্তার-নিগ্রহের পরে ইন্টার্নদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তার দাবি তুলে তাঁরা জরুরি বিভাগে কর্মবিরতি শুরু করে দেন। গোটা হাসপাতালে কর্মবিরতিতে নামার হুমকিও দেওয়া হয়। পরে ইন্টার্নদের ডেকে বৈঠক করেন আর জি করের সুপার অজয় রায়। রাতে সাড়ে ১১টা নাগাদ সুপার জানান, ইন্টার্নদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। ওঁরা কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। গভীর রাতে অবশ্য জানা যায়, জরুরি বিভাগের ইন্টার্নেরা কাজ করছেন না। ঠিক কী ঘটেছিল? সুপার বলেন, সন্ধ্যায় ওই মহিলা পেটে ব্যথা নিয়ে জরুরি বিভাগে আসেন। কর্মরত ইন্টার্ন সন্তোষ দুধগানা তাঁকে স্যালাইন দেন। স্যালাইন দেওয়ার পরে মহিলার হাত ফুলে যায়। তখনই তিনি কর্তব্যরত ইন্টার্নকে চড় মারেন বলে অভিযোগ।

মেট্রো স্টেশনই ভরসা রোগীর আত্মীয়দের
দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি কিছু রোগীর আত্মীয়ের ঠিকানা এখন এইমস মেট্রো স্টেশন ও সংলগ্ন ভূগর্ভ পথ। দিল্লির এই প্রচণ্ড শীতে প্রায় তিরিশটি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে হাসপাতালের ১নং গেটের পাশের এই মেট্রো স্টেশনটিতে। ছেলের চিকিৎসার জন্য বিহারের মধুবনী থেকে এসেছেন একান্ন বছর বয়সী রমাকান্ত কুমার। হৃৎপিণ্ডের অস্ত্রোপ্রচারের পর প্রতি কুড়ি দিন অন্তর পরীক্ষার জন্য চিকিৎসক তাঁদের আসতে বলেছিলেন। সেই সামর্থ্য না থাকায়, চিকিৎসা শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুরো পরিবারটিই আপাতত থাকছে এই অস্থায়ী আস্তানায়। প্রায় আট হাজার রোগী প্রতি দিন আসেন এইমস-এ চিকিৎসা করাতে। এঁদের বেশিরভাগই বেশ গরিব। ফলে হাসপাতালের ধর্মশালায় তাঁরা থাকতে পারেন না। কিছুদিন আগে ডিএমআরসি’র অব্যবহৃত শৌচাগারেও কয়েকটি পরিবার থাকতে শুরু করে। সেটি বন্ধ করে দেওয়া হলে মেট্রো স্টেশনে রোগীর আত্মীয়দের ভিড় দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে।

রাজস্থানে ডাক্তার ধর্মঘট, মৃত ৪০
রাজস্থানে চিকিৎসকদের ধর্মঘট আজ পাঁচ দিনে পড়ল। এই পাঁচ দিনে মারা গিয়েছেন ৪০ জনেরও বেশি রোগী। রাজ্য সরকার ৪০ জন ধর্মঘটী চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনশোরও বেশি জনকে। রাজ্য সরকার অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন প্রয়োগ করেছে। রোগীদের আপৎকালীন পরিষেবা দিতে সামরিক চিকিৎসকদের নিয়োগ করার কথা সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.