অসুস্থ সদ্যোজাত শিশুদের বিশেষ চিকিৎসা দিতে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে চালু হল সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট। রবিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিক ভাবে নবনির্মিত ওই ওয়ার্ডের উদ্বোধন করেন কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী। অত্যাধুনিক ওই ইউনিট চালুর ফলে সীমান্তবর্তী ওই জেলায় সদ্যোজাত শিশুদের চিকিৎসা পরিষেবা আরও আধুনিক হল। নয়া পরিষেবায় জেলায় শিশু মৃত্যুর হারও অনেক কমে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কারামন্ত্রী। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগের এটা প্রথম ধাপ। ওই জেলার গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে উন্নীত করার পাশাপাশি বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে এমআরআই, সিটি স্ক্যান, ডায়ালিসিস বিভাগ-সহ অত্যাধুনিক চিকিৎসা ইউনিট গড়ে তুলতে ইতিমধ্যে জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে ১০ কোটি টাকা দিয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রক।” |
এসএনসিইউ-র উদ্বোধনে কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী। ছবি: অমিত মোহান্ত। |
এদিন শিশুদের ওই কেয়ার ইউনিট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাধিপতি মাগদালিনা মুর্মু, পুরসভার চেয়ারপার্সন সুচেতা বিশ্বাস, তৃণমূলের দুই বিধায়ক মাহমুদা বেগম, সত্যেন রায়-সহ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। হাসপাতাল ভবনের দোতালায় ১৪ টি শয্যা বিশিষ্ট ওই কেয়ার ইউনিটে রয়েছে বেবি ওয়ার্মার, ওয়াল মাউন্ট বেবি ওয়ার্মার, ফটো থেরাপি-সহ ২ কোটি টাকার অত্যাধুনিক চিকিৎসার যন্ত্রপাতি। ওয়ার্ড তৈরিতে পূর্ত দফতর আরও ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করেছে বলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত মন্ডল জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “কম ওজনের অসুস্থ শিশুদের উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার সুবিধাযুক্ত ওই ইউনিট চালুর ফলে জেলাবাসী বড়দিনে বড় উপহার পেলেন।”
তিনি জানান, রাজ্যে শিশু মৃত্যুর হার গড়ে ৩৬ শতাংশ। তুলনায় দক্ষিণ দিনাজপুরে ২২ শতাংশ। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে ৪৮২ জন সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাচক্রে এদিন বালুরঘাট হাসপাতালে সদ্যোজাত তিন শিশুর মৃত্যু হয়। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, “ওজন কমের পাশাপাশি ওই শিশুদের অন্য উপসর্গ ছিল।” এই কেয়ার ইউনিটটি জীবাণুমুক্ত করে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন। ৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়াও এই ইউনিটে ৮ জন প্রশিক্ষিত নার্স সব সময় থাকবেন।” |