দু’দল সমাজবিরোধীর বোমাবাজিতে তিন জন গুরুতর আহত হয়েছে। রবিবার ঘটনাটি ঘটে খড়দহে ফেরিঘাটের কাছে। সিপিএমের অভিযোগ, ওটা তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর এলাকা দখলের লড়াই। তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ স্থানীয় দুষ্কৃতী মণীশ শুক্লের গোষ্ঠীর সঙ্গে রাজু খান ও সন্তোষের দলের সংঘর্ষ বাধে। বোমা পড়ে। এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। সংঘর্ষে মণীশের তিন শাগরেদ জখম হয়। প্রথমে তিন জনকেই খড়দহের বলরাম হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের পাঠানো হয় আর জি কর হাসপাতালে। সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক অমিতাভ বসু বলেন, “জেলা তৃণমূলের দুই ক্ষমতাশালী গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের জেরেই সংঘর্ষ বাধে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি নির্মল ঘোষ অবশ্য বলেন, “এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। দু’দল সমাজবিরোধীর মধ্যে গণ্ডগোল। দু’টি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই পুলিশের খাতায় নানান দুষ্কর্মের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” এলাকায় পুলিশ পিকেট বসেছে।
|
বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল তিন যুবকের। রবিবার রাতে ওই দুর্ঘটনা ঘটে শিয়ালদহ মেন শাখার সোদপুর ও আগরপাড়া স্টেশনের মাঝখানে। পুলিশ জানায়, মৃত তিন জনের নাম সমীর বিশ্বাস (৪০), স্বপন রাজবংশী (৪২) এবং সুজন ভাওয়াল (২২)। তিন জনেই সোদপুর এলাকার রামচন্দ্রপুরের বাসিন্দা। পুলিশি সূত্রের খবর, রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ওই তিন জন বাড়ি ফিরছিলেন। সোদপুর ও আগরপাড়ার মাঝখানে ছ’নম্বর রেলগেটের কাছে তিন নম্বর লাইন পেরোনোর সময়েই শিয়ালদহ থেকে আসা একটি ট্রেন তাঁদের ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তিন জনের মৃত্যু হয়।
|
চায়ের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক যুবককে কুপিয়ে এবং গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তির উত্তর বামনা গ্রামে। নিহতের নাম বাবলু মোল্লা (৩৫)। তিনি ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। তৃণমূল সমর্থক হিসাবে পরিচিত। ঠিকাদারি কাজ করতেন। কিন্তু কেন তাঁকে খুন করা হল, সে ব্যাপারে তাঁর পরিবারের লোকজন অন্ধকারে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ঠিকাদারি নিয়ে গোলমালে তিনি খুন হতে পারেন। রাত পর্যন্ত পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে, প্রত্যক্ষদর্শীরা খুনের অভিযোগ দায়ের করায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। |