সময় লাগলেও রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নতিতে রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করা হবে বলে ঘোষণা করলেন তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার আরামবাগের জুবিলি পার্ক মাঠে ফুরফুরা শরিফের একটি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত একটি জনসভায় আসেন ওই তৃণমূল সাংসদ। ফুরফুরা শরিফের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বাংলার সংখ্যালঘুদের জন্য রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করতে হয়তো সময় লাগবে। কিন্তু তা রূপায়ণ করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।” ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য পদে কেমন সুযোগ দেওয়া হয়েছে সেই তথ্য দিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, “আপনাদের বঞ্চনা, অবহেলার কোনও কারণ নেই। আপনাদের দাবি মিটবে।” সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বললেও এ দিন শুভেন্দুবাবু অবশ্য বক্তব্যের শুরুতেই জানিয়ে দেন, রাজনৈতিক দলের কর্মী বা সাংসদ হিসাবে তিনি এখানে আসেননি। তাঁর কথায়, “ত্বহা সিদ্দিকির নির্দেশ ও আমন্ত্রণে এসেছি।” প্রসঙ্গত, এই সভার আহ্বায়ক ছিলেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি। শুভেন্দুবাবু ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুলতান আহমেদ, দলের হুগলি জেলা নেতা দিলীপ যাদব প্রমুখ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও বলেন, “পিছিয়ে পড়া মানুষের দাবিগুলি এই সরকার মেটাতে বদ্ধপরিকর। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের দাবি পূরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।”
|
বড়দিনে চড়ুইভাতিতে এসে দামোদরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেলেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পুড়শুড়ায় কাঁড়ারিয়া সেতুর কাছে। সুমন জানা নামে বছর তেইশের ওই যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সুমনের বাড়ি রিষড়ার দাসপাড়া এলাকায়। এ দিন বন্ধুদের সঙ্গে তিনি চড়ুইভাতিতে গিয়েছিলেন। দুপুর আড়াইটে নাগাদ দুই বন্ধুর সঙ্গে স্নান করতে নামেন। সুমন জল থেকে না ওঠায় হইচই শুরু হয়। পুড়শুড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। খবর পেয়ে সুমনের বাড়ির লোকজনও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এ দিনই, বলাগড় থানার সবুজদ্বীপে চড়ুইভাতি করে নৌকায় ফেরার পথে মাঝগঙ্গায় নৌকা উল্টে একজন নিখোঁজ হন। নৌকায় ১২ জন ছিলেন। বাকি ১১ জন সাঁতরে পাড়ে আসেন। বিশ্বরিৎ মল্লিক নামে বছর ছাব্বিশের ওই যুবকের খোঁজে তল্লাশি চলছে। দলের ১২ জনই উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত এলাকার বাসিন্দা।
|
প্রবেশমূল্যের সঙ্গে অতিরিক্ত টাকা না-দিলে রবিবার, বড়দিনে শিবপুর বটানিক্যাল গার্ডেনে স্টিল ক্যামেরা এবং ক্যামেরার সুবিধাযুক্ত মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। দর্শকেরা জানান, স্টিল এবং ক্যামেরা-মোবাইল নিয়ে ঢোকার জন্য প্রবেশমূল্যের অতিরিক্ত দশ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। বটানিক্যালে ভিডিও ফোটোগ্রাফি নিষিদ্ধ হলেও স্টিল ক্যামেরার জন্য এত দিন পর্যন্ত কোনও টাকা নেওয়া হত না বলে দর্শকদের দাবি। তাঁদের অভিযোগ, এ দিনই হঠাৎ সাধারণ ক্যামেরা এবং
ক্যামেরা-মোবাইলের জন্য বাড়তি টাকা দাবি করা হতে থাকে। বটানিক্যালের অধিকর্তা হিমাদ্রিশেখর দেবনাথ অবশ্য জানিয়েছেন, “স্টিল ক্যামেরার জন্য অনেক দিন ধরেই দশ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। ছোট আকারে লেখা এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও রয়েছে বটানিক্যালে। ক্যামেরা-যুক্ত নতুন মোবাইল ফোনগুলিও অনেকটা স্টিল ক্যামেরার মতোই কাজ করে।”
|
মোটরবাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে হুগলির শিয়াখালার চক তাজপুর গ্রামের কাছে ৩১ নম্বর রুটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সেখ আব্দুল করিম (৬০)। তাঁর বাড়ি চক তাজপুর গ্রামেই। এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ তিনি জমিতে চাষ করতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় উল্টোদিক থেকে আসা একটি বাইক প্রচণ্ড গতিতে তাঁকে ধাক্কা মারে। রাস্তায় ছিটকে পড়েন ওই বৃদ্ধ। বেগতিক বুঝে বাইক ফেলে চালক পালিয়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে আব্দুল করিমের মৃত্যু হয়। বাইকটি আটক করেছে পুলিশ। |