ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে খুন করা হল এক যুবকককে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমার গোপালনগর থানার সাতবেড়িয়া রেল স্টেশনে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত জুব্বর সর্দারের (৩৯) বিরুদ্ধে খুন-সহ নানা অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তার বাড়ি গোপালনগরের জানিপুর এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই খুন। একটি খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বনগাঁ জিআরপি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবছর পৌষ মাসের ৮ তারিখে বনগাঁ-রানাঘাট শাখার সাতবেড়িয়া রেল স্টেশন সংলগ্ন সাতবেড়িয়া হাইস্কুলের মাঠে মেলা বসে। শনিবার ওই মেলায় বিচিত্রা অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠান দেখার জন্য সেখানে ছিল জুব্বর সর্দার ও তার দলবল। জুব্বরের দলের এক সঙ্গী জানান, রাত সওয়া ১১টা নাগাদ জুব্বরের মোবাইলে একটা ফোন আসে। ফোনে কথা বলার পরেই সে অনুষ্ঠান ছেড়ে উঠে পড়ে। তাঁরা তাকে যেতে বারণ করেছিলেন। কিন্তু জুব্বর শোনেনি। ও বলেছিল ‘গুরুত্বপূর্ণ ফোন। যেতে হবে’। একটু পরে প্ল্যাটফর্মে গুলির শব্দ শুনে তাঁরা ও অন্য লোকজন ছুটে যান। গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় জুব্বর পড়ে আছে। কিন্তু আর কাউকে তাঁরা দেখতে পাননি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকজন দুষ্কৃতী খুব কাছ থেকে তিনটি গুলি করে জুব্বরকে। তখন লোডশেডিং চলছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় পাঠানো হয়। কিন্তু রাস্তাতেই মারা যায় জুব্বর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে জানিপুরে নিজের বাড়িতে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা মুকুল গাজি। ওইদিনই এলাকায় খুন হন আয়ুব আলি মণ্ডল নামে এক সিপিএম সমর্থক। মুকুল খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিল জুব্বর। বর্তমানে সে জামিনে মুক্ত ছিল। এলাকায় গরু পাচার-সহ নানা অসামাজিক কাজকর্মেও সে জড়িত ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। |