|
|
|
|
বড়দিনের ধূম গেঁওখালিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
গির্জায় প্রার্থনার পাশাপাশি বাঙালিয়ানায় যাত্রাপালা, মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান‘ক্রিসমাস উইক’ এই ভাবেই পালন করছে পূর্ব মেদিনীপুরের গেঁওখালির মীরপুরের লবু, রথা, তেসরা, ডিক্রুশ, টমাস পদবীর ১৩০টি ওলন্দাজ পরিবার। হুগলি নদীর এক পাড়ে কলকাতা যখন পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে কেক-পুডিং কেটে বড়দিন পালন করছে, তখন নদীর অন্য পাড়েও গ্রাম্য মেজাজে দিনটি পালিত হল যথেষ্ট ধূমধাম সহকারেই।
১৭৪২ সালে বাংলায় বর্গী আক্রমণের প্রাক্কালে নিজেদের সুরক্ষার স্বার্থে গোয়া সরকারের অধীন বন্দিদের থেকে ১২ জন ওলন্দাজ দস্যু এনেছিলেন মহিষাদলের রাজা আনন্দলাল উপাধ্যায়। রাজার মৃত্যুর পরে রানি জানকী তাঁদের গেঁওখালির নদীর ধারে কোনও রকম কর ছাড়াই জমি দেন ও থাকার বন্দোবস্ত করেন। পরবর্তীকালে বাংলার জল-মাটি-হাওয়ায় পুরোদমে বাঙালি হয়ে উঠেছে ওই সব পরিবার। উনবিংশ শতকের এলাকায় দু’টি গির্জা গড়ে ওঠেএকটি রোমান ক্যাথলিক ও একটি প্রোটেস্ট্যান্ট সম্প্রদায়ের জন্য চার্চ অফ নর্থ ইন্ডিয়া। সেই গির্জায় প্রার্থনার পাশাপাশি মেলা, যাত্রা, গান-বাজনাবাঙালিয়ানায় মিলেমিশে একাকার বড়দিনের উৎসব। এমনকী খোল-করতাল নিয়ে গ্রাম পরিক্রমাও হয়েছে। ওলন্দাজ বংশধরদের তরফে স্বপন তেসরা বলেন, “ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ মুছে গিয়েছে কবে। ওলন্দাজ বংশোদ্ভূত হলেও বাঙানিয়ানার ছোঁয়া আমাদের মনে। উৎসবেও তারই ছায়া পড়ে।” শনিবার মধ্য রাত থেকেই অনুষ্ঠান চলছে। সাজানো হয়েছে ‘ক্রিসমাস ট্রি’। রোমান ক্যথলিক চার্চের ফাদার মাইকেল অ্যাডেসার বলেন, “রাতভর ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান হয়েছে।” শুধুমাত্র গেঁওখালি নয়, হলদিয়ার মঞ্জুশ্রী, শ্রীকৃষ্ণপুর, টাউনশিপের গির্জাও সেজে উঠেছে বড়দিনে। |
|
|
|
|
|