|
|
|
|
দলের বন্দি নেতা-কর্মীদের কম্বল বিলি সিপিএমের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জেলবন্দি দলের নেতা-কর্মীদের কম্বল দিল সিপিএম। শনিবার দলের তিন বিধায়ক মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে গিয়ে বন্দিদের কম্বল দেন। পাশাপাশি তাঁরা সংশোধনাগারের কিছু ‘অব্যবস্থা’ নিয়ে জেল সুপার প্রহ্লাদ সিংহ কুমারের সঙ্গে কথা বলেন। বেশ কিছু অভিযোগও জানান। অভিযোগ অস্বীকার করে কারা দফতরের এআইজি কল্যাণ প্রামাণিক বলেন, “বন্দিদের কম্বল দেওয়া হয়েছে। কম্বলের অভাব নেই।” বিধায়কদের বক্তব্য, জেল হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়ন প্রয়োজন। বেশ কিছু সরঞ্জাম নেই। প্রহ্লাদবাবু অবশ্য আশ্বাস দেন, পরিকাঠামো উন্নয়নের চেষ্টা চলছে।
জাঁকিয়ে বসছে শীত। মেদিনীপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। শীতের সময় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের তরফে এমনিতেই বন্দিদের ৩টি করে কম্বল দেওয়া হয়। কিন্তু অনেক সময় তাতেও শীত আটকায় না। মেদিনীপুর সংশোধনাগারে এখন অন্তত ১১০০ বন্দি আছেন। তাঁদের একাংশ সাজাপ্রাপ্ত। গত কয়েক মাসের কয়েকটি ঘটনায় জড়িয়ে এখন জেলবন্দি সিপিএমের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। এর মধ্যে নেতাই কাণ্ডে অভিযুক্তেরা যেমন আছেন, তেমনই আছেন কঙ্কাল কাণ্ডে অভিযুক্তেরাও।
দলীয় সূত্রে খবর, বন্দি নেতা-কর্মীদের আত্মীয়েরাই দলীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করে জেলের ‘অব্যবস্থা’র কথা জানিয়েছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, সংশোধনাগারে পর্যাপ্ত কম্বল নেই। ফলে শীতের সময় বন্দিদের কষ্টে থাকতে হচ্ছে। এই সময় জেলবন্দিদের কাছে কিছু কম্বল পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন। এরপরই সংশোধনাগারে গিয়ে কম্বল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সিপিএম। সেই মতো কেশপুরের বিধায়ক রামেশ্বর দোলুই, বিনপুরের বিধায়ক দিবাকর হাঁসদা, কেশিয়াড়ির বিধায়ক বিরাম মাণ্ডি সংশোধনাগারে গিয়ে জেলবন্দি নেতা-কর্মীদের ৪০টি কম্বল দেন। পাশাপাশি খাবারের মান, জেল হাসপাতালের পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা নিয়ে জেল সুপারের কাছে অভিযোগ জানান। |
|
|
|
|
|