কাজ সেই নভেম্বরে
সোয়াদিঘি খাল সংস্কারে বরাদ্দ ৪ কোটি
দীর্ঘ প্রতীক্ষিত একটা কাজ। অনেক গড়িমসির পরে কাজ শুরুর যাও বা সিদ্ধান্ত হল, সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে কি না সেই নভেম্বরে! ‘আঠারো মাসে বছর’ প্রবাদের সাক্ষাৎ নজির বৈকি। অথচ কাজ শুরুর আশু প্রয়োজন।
পূর্ব মেদিনীপুরের সোয়াদিঘি খাল সংস্কারের জন্য গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল থেকে বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। কাজ করবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। ধান চাষে যাতে অসুবিধা না হয়, সে জন্যই আগামী বছর নভেম্বর মাসে ওই কাজ শুরুর লক্ষ্য ঠিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার দিগন্ত মাইতি। তাঁর বক্তব্য, “এখন বোরো চাষ হচ্ছে। ধান উঠতে না উঠতেই আমন চাষ শুরু হয়ে যাবে। ফলে নভেম্বরের আগে কাজ শুরু করা যাবে না। প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত পঞ্চায়েত প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা তাই পরের বছর নভেম্বর মাসে কাজ শুরুর প্রস্তাব দেন।” মাঝের ওই সময়ে অবশ্য টেন্ডার ডাকা-সহ আনুষঙ্গিক কাজগুলো সেরে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন দিগন্তবাবু।
রূপনারায়ণ নদীর সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই খালটি শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের সোয়াদিঘি থেকে রামতারক হয়ে কোলাঘাট ব্লকের নারায়ণপাকুড়িয়ামুরাইল পর্যন্ত বিস্তৃত। বেশ কিছু গ্রামীণ খাল যুক্ত রয়েছে সোয়াদিঘি খালের সঙ্গে। শহিদ মাতঙ্গিনী, তমলুক, কোলাঘাট ও পাঁশকুড়া ব্লক মিলিয়ে মোট ৮১টি মৌজার জলনিকাশি ও সেচের প্রধান ভরসা এই খাল। তমলুক মাস্টার প্ল্যানের অন্তভুর্ক্ত এই খালের রূপনারায়ণের সংযোগমুখে গত আশির দশকে লকগেট নির্মাণ করা হয়। পাশাপাশি খাল সংস্কারও করা হয়। এর পর দীর্ঘ দিন আর কাজ হয়নি। ২০০০ সালে খালের প্রায় সাড়ে ১৫ কিলোমিটার অংশ সংস্কার করে সেচ দফতর। সেই সময়ে সংযুক্ত কামিনা ও জঁফুলি খালও সংস্কার করে সেচ দফতর। গত কয়েক বছরে খালটি ফের মজে গিয়েছে। ফলে চারটি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার বর্ষায় জল নিকাশি ও শীতে বোরো চাষের সেচে সমস্যা হচ্ছে। তাই ওই খাল সংস্কারের দাবিতে সরব হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। সেই দাবি মেনে সোয়াদিঘি খাল সংস্কারের জন্য জেলা সেচ দফতর প্রকল্প তৈরি করে এবং অর্থ বরাদ্দের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠায়। গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দের পর খাল সংস্কার নিয়ে বৃহস্পতিবার তমলুকের মহকুমাশাসকের অফিসে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বিডিও ও বিভিন্ন কৃষক সংগঠন, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত অধিকাংশ ব্যক্তিই এখন কাজ শুরু না করার পরামর্শ দেন। তাই, আগামী বোরো মরসুমের আগে নভেম্বর মাসে খাল সংস্কারের লক্ষ্য স্থির হয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.