|
|
|
|
কিসান কার্ড দ্রুত বিলির জন্য উদ্যোগী হতে আবেদন মন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাজ্যের প্রতিটি কৃষকই যাতে কিসান ক্রেডিট কার্ড পান সে জন্য কৃষি দফতর ও ব্যাঙ্কগুলিকে আরও উদ্যোগী হওয়ার আবেদন জানালেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী তথা ক্ষুদ্র শিল্প দফতরের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। রবিবার মেদিনীপুর শহরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ঋণ দান শিবিরে তিনি বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রুত সমস্ত কৃষকের হাতে কিসান ক্রেডিট কার্ড তুলে দিতে চাইছেন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীও ব্যাঙ্কগুলিকে সেই নির্দেশ দিয়েছেন। তারই সঙ্গে রাজ্যের সাড়ে ১২ লক্ষ ক্ষুদ্র ও হস্তশিল্পীকে আমরা পরিচয়পত্র প্রদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিমা কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড দেব।”
এ দিনের অনুষ্ঠানে ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ভাস্কর সেন, মেদিনীপুরের জেলা সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে ৪ হাজার ১৫৯ জনকে ২৫ কোটি ৯০ লক্ষ ঋণ দেওয়া হয়। দেওয়া হয় কিসান ক্রেডিট কার্ডও। অনেকের হাতেই তুলে দেওয়া হয়, ট্রাক্টরের চাবিও। তখনই একটি পরিসংখ্যানও উঠে আসে। তাতে দেখা যায়, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রায় ৪৮ লক্ষ কৃষক রয়েছেন। গত ৫ বছরে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক মিলিয়ে ২ লক্ষ ৯ হাজার কৃষককে কিসান ক্রেডিট কার্ড দিয়েছে। নতুন সরকার বিগত ৬ মাসে মাত্র ১৭০০ জনকে কিসান ক্রেডিট দিতে পেরেছে! পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা মাওবাদী উপদ্রুত। বেশিরভাগ মানুষই কৃষির উপরে নিভর্রশীল। তা সত্ত্বেও কিসান ক্রেডিট কার্ড বিলির এই হাল কেন?
মানসবাবু বলেন, “যাতে দ্রুত এই কাজ করা যায় সে জন্য কৃষি মন্ত্রী ও কৃষি সচিবের সঙ্গে কথা বলব।” কৃষকদের মতোই তাঁত শিল্প ও হস্ত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকেরা নানা সমস্যায় জর্জরিত। এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতেই তাঁদের কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান। ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর, বর্ধমান, হাওড়া ও নদিয়ার অনেক শিল্পীকেই এই কার্ড দেওয়া হয়েছে। ৫ জানুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঝাড়গ্রাম ও সবংয়ের শিল্পীদের পরিচয়পত্র, স্বাস্থ্য বিমা ও ক্রেডিট দেওয়া হবে। তার পরদিন অর্থাৎ ৬ জানুয়ারি পুরুলিয়া ও বাঁকুড়াতেও কার্ড বিতরণ করা হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। মন্ত্রীর কথায়, “এ ভাবেই রাজ্যের সাড়ে ১২ লক্ষ মানুষকে কার্ড দেওয়া হবে। যাতে তাঁরা ঋণ পান, শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারেন, সে জন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।” তারই পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানা ধরনের ক্ষুদ্র শিল্প। বাঁশের কাজ, পাথরের মূর্তি তৈরি-সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে বহু মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন। সেই সমস্ত শিল্পীদেরও পরবর্তী কালে ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার জন্য উদ্যোগী হবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। |
|
|
|
|
|