|
|
|
|
‘মাওবাদী’ মেয়ে গ্রেফতার, হৃদরোগে মৃত্যু মায়ের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
মাওবাদী স্কোয়াড সদস্য সন্দেহে গ্রেফতার হয়েছেন এক যুবতী। ‘সেই শোকে’ তাঁর মা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে দাবি করলেন আত্মীয়েরা।
|
রবিবার ঝাড়গ্রাম আদালতে
রাইমণি সরেন। নিজস্ব চিত্র |
শনিবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরের লালগড়ের শালবনি গ্রাম থেকে বছর কুড়ির রাইমণি সরেনকে ধরে পুলিশ। রাইমণির দাদা মধুসূদন সরেন জানান, এর পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁদের মা, বছর পঞ্চান্নর চাঁদমণিদেবী। রাতে তাঁর অসুস্থতা বাড়ে। রবিবার ভোরে স্থানীয় এক চিকিৎসককে ডাকা হয়। ওই চিকিৎসক মধুসূদনবাবুদের জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চাঁদমণি মারা গিয়েছেন। মধুসূদনের দাবি, “মিথ্যা মামলায় বোন ধরা পড়ায় মা ভেঙে পড়েন। ওঁর মৃত্যু হয় সেই শোকেই।”
পুলিশের দাবি, ‘ফেরার’ মাওবাদী স্কোয়াড সদস্য রাইমণিকে দীর্ঘদিন খোঁজা হচ্ছিল। ২০০৯-এর জুলাইয়ে একই দিনে লালগড়ের ভাউদির জঙ্গলে যৌথ বাহিনীর উপরে গুলি চালানো এবং ধরমপুর ক্যাম্প লক্ষ করে গুলি চালানোর ঘটনায় ওই যুবতী জড়িত। ২০০৯-এর ডিসেম্বরে লালগড়ের তলবামালে মাওবাদী হামলায় সিপিএম সমর্থক মদন পাত্র খুনেও রাইমণি ‘অভিযুক্ত’।
রবিবার ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে রাইমণিকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন এসিজেএম রোহন সিংহ। অভিযুক্তের আইনজীবী কৌশিক সিংহ আদালতে দাবি করেন, ‘মিথ্যা’ অভিযোগে
|
রাইমণির মা চাঁদমণি
সরেন। ফাইল চিত্র |
রাইমণিকে ফাঁসানো হয়েছে। রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় থেকে আগামী বছর মাধ্যমিকে বসার কথা ওই যুবতীর। পুলিশ যে দু’টি মামলার কথা বলছে, সেগুলির এফআইআর-এ রাইমণির নাম নেই বলেও দাবি করেন কৌশিকবাবু। তিনি বলেন, “মেয়ে গ্রেফতার হওয়ার পরে মৃত্যু হয়েছে শোকার্ত মায়ের।”
মা-কে ‘শেষ-শ্রদ্ধা’ জানানোর জন্য রাইমণিকে গ্রামে যেতে দেওয়ার আবেদন করেন কৌশিকবাবু। ওই আবেদনের বিরোধিতা করেননি সরকারি কৌঁসুলি মুরারিকৃষ্ণ মাহাতো। তবে আদালতে তিনি দাবি করেন, এফআইআর-এ নাম না থাকলেও, তদন্তে দু’টি মামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে রাইমণির বিরুদ্ধে।
কৌশিকবাবুর আবেদনের প্রেক্ষিতে এ দিন রাইমণিকে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেন বিচারক। আদালত চত্বর থেকেই কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় শালবনি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় রাইমণিকে। সন্ধ্যায় তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয় ঝাড়গ্রাম উপ-সংশোধনাগারে। |
|
|
|
|
|