বড়দিন সাড়ম্বরেই পালিত হল শিলচর, করিমগঞ্জ-সহ সমগ্র বরাক উপত্যকায়। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা তো বটেই, অন্য সম্প্রদায়ের মানুষজনও সামিল হন এই উৎসবে।
প্রার্থনা ও খ্রিস্টবন্দনাগীতে বড়দিনের প্রাক্-সন্ধ্যায় প্রভু যিশুকে শ্রদ্ধা জানানো হয় শিলচর রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রমে। প্রাত্যহিক সন্ধ্যারতির পর শুরু হয় বিশেষ পূজাচর্না। ফল-মিষ্টির সঙ্গে কেকও নিবেদিত হয় প্রভু যিশুর উদ্দেশে। মিশনের সন্ন্যাসী ও ভক্তরা আজও ক্যারল পরিবেশন করেন। সেবাশ্রমের সচিব স্বামী সত্যস্থানন্দ বলেন, প্রতি বছরই এখানে বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ পূজার্চনা করেন তাঁরা।
বড়দিনের অনুষ্ঠান পালিত হয় করিমগঞ্জের মাইজডিহিতে থাকা বিএসএফ-এর ১১৫ ব্যাটেলিয়নের সদর দফতরেও। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী অধিকাংশ জওয়ান অবশ্য ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছেন। তবু রয়ে গিয়েছেন ৮-৯ জন। তাদের নিয়েই বড়দিনের অনুষ্ঠান মেতে ওঠেন অন্য ধর্মাবলম্বীরা। সান্তাক্লজবেশীরা উপস্থিতদের মধ্যে চকোলেট বিতরণ করেন। খ্রিস্টান জওয়ানদের দেওয়া হয় উপহারসামগ্রীও। ভারপ্রাপ্ত কমাড্যান্ট রাকেশ কুমার বলেন, সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে সব ধর্মের মানুষ রয়েছেন। তাই সব ধর্মীয় অনুষ্ঠানই পালন করেন তাঁরা।
করমিগঞ্জ শহরে কাল সন্ধ্যায় খ্রিস্টানরা মোমবাতি হাতে শোভাযাত্রায় বেরিয়েছিলেন। শিলচরে অবশ্য এক সপ্তাহ ধরেই বড়দিন উপলক্ষে শোভাযাত্রা চলছে। গির্জাগুলি আলোকমালায় সজ্জিত। বাড়িঘরেও শোভিত হচ্ছে ক্রিশমাস ট্রি। এ অবশ্য এখন আর শুধু খ্রিস্টানদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। অন্য ধর্মাবলম্বীরাও বড়দিন উপলক্ষে নানা সামগ্রী কেনাকাটা করছেন।
বরাক উফত্যকায় খ্রিস্টানদের ঘনবসতি লক্ষ্মীপুর মহকুমার মারকুলিনে। সেখানে ক’দিন থেকেই বড়দিন উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠান চলছে। বড়দিনের প্রার্থনা হয় ১৮৮০ সালে নির্মিত উত্তরপূর্বের প্রথম ক্যাথলিক গির্জা বদরপুরের সেন্ট জোশেফ গির্জাতেও। ডিমা, হাসাও জেলায় প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহ উপেক্ষা করেই বড়দিনের উৎসবে মেতে উঠেছেন সেখানকার খ্রিস্টানরা। |