করিমগঞ্জের ব্যবসায়ীপুত্র আহরার আহমদ ওরফে নাজ হত্যাকাণ্ড ঘিরে ফের উত্তপ্ত বদরপুর এলাকা। অপহরণ ও খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ধৃত আবদুল মুনিম ওরফে রকির বাড়িতে কাল আগুন ধরিয়ে দেয় এলাকার উত্তেজিত মানুষজন। দমকল বাহিনী খবর পেয়ে বদরপুর থানার মাছলিতে ছুটে গেলেও, জনরোষ দেখে পিছিয়ে যায়। উত্তেজিত জনতা কাল পরে মহাকলে কৃষি দফতরের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ শাখার হোসেন আহমদের আবাসনেও ভাঙচুর চালায়। নাজ-হত্যায় অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে হোসেনের নামও। পুলিশের বক্তব্য, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ, অফিসের হাজিরা খাতায় দেখা যাচ্ছে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হোসেন ‘উপস্থিত’। |
জ্বলছে আব্দুল মুনিমের বাড়ি। মহতাবুর রহমানের তোলা ছবি। |
অভিযুক্তদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ সকালে তাদের মুক্তির দাবিতে এলাকাবাসী থানায় গেলে পুলিশ লাঠি চালায় বলে অ্ভিযোগ। আব্দুল জলিল নামে একজন লাঠির ঘায়ে জখম হন। তাঁকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনার জেরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়।
স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগ, বদরপুরে গত ক’বছরে বেশ কয়েকজন গাড়িচালক খুন হয়েছেন। সেলিম-রকি-হোসেনরা সব ক’টি ঘটনার সঙ্গেই জড়িত। এদের কঠোর শাস্তির দাবি উঠেছে এলাকায়। ১৯ নভেম্বর রাতে ব্যবসায়ী তোফায়েল আহমদের কলেজপড়ুয়া পুত্রকে নাজকে অপহরণ করে ১২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ আদায় ও পরে খুনের ঘটনা যে এই চক্রটিরই কাজ, সে ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত পুলিশ।
ডিআইজি বিনোদ কুমার জানান, এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত পুলিশ যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে চালাচ্ছে। নৃশংস খুনের ঘটনায় মানুষের ক্ষোভ হতেই পারে। কিন্তু এ ঘটনায় জড়িত প্রায় সকলকেই পুলিশ জালে তুলেছে। যে দু’একজন পালিয়ে বেড়াচ্ছে তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এই অবস্থায় অগ্নিসংযোগ, হামলা বা ভাঙচুর একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়। আইন কেউ নিজের হাতে নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতেই হবে। |