কড়া আইন পাশের আর্জি
প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি অণ্ণা-শিবিরের
ণ্ণা হজারের অনশন শুরুর এক দিন আগে কংগ্রেসের সঙ্গে ফের বাগ্যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেন তাঁর অনুগামীরা। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও সাংসদদের পাঠানো একটি চিঠিতে যথা সম্ভব কড়া লোকপাল আইন পাশের অনুরোধ করেছে অণ্ণা শিবির। লোকপালের অধীনে স্বাধীন তদন্তকারী শাখা রাখার দাবি করেছে অণ্ণা শিবির।
পাঁচ রাজ্যে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছে। ওই নির্বাচনে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রচারে নামার কথা অণ্ণা ও তাঁর অনুগামীদের। ফলে ইতিমধ্যেই অণ্ণার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। একটি হিন্দি সংবাদপত্রে আরএসএস নেতা নানাজি দেশমুখের সঙ্গে অণ্ণার ছবি প্রকাশিত হয়েছে। দৈনিকটির দাবি, ১৯৮৩ সালে দেশমুখের নেতৃত্বে আরএসএসের হয়ে কাজ করতেন অণ্ণা।
এর পরেই অণ্ণাকে সরাসরি আরএসএসের ‘চর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ ও রশিদ আলভি। এক ধাপ এগিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেণীপ্রসাদ বর্মা দাবি করেছেন, ১৯৬৫ সালের যুদ্ধে অনুমতি ছাড়াই নিজের দায়িত্ব ত্যাগ করে চলে যান তৎকালীন সেনা জওয়ান অণ্ণা। অণ্ণা শিবিরের সদস্য অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, “যখন কংগ্রেস নেতাদের কিছু বলার থাকে না তখনই তাঁরা এ ধরনের কথা বলেন। যে সব রাজনীতিক লোকপাল বিল আটকানোর চেষ্টা করছেন তাঁদের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসতে লোককে অনুরোধ করব। বাধা দিলে লোকে গ্রেফতার হবেন।”
বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভড়েকর ও আরএসএস মুখপাত্র রাম মাধব বলেন,“কংগ্রেসের অভিযোগ হাস্যকর। নানাজি দেশমুখ নানা সময়ে জয়প্রকাশ নারায়ণ ও আব্দুল কালাম আজাদ সহ অনেকের সঙ্গেই কাজ করেছেন।” মাধবের দাবি, অনেক কংগ্রেস নেতার সঙ্গেও নানাজির ছবি রয়েছে। তাই অণ্ণার সঙ্গেও তাঁর ছবি থাকতে পারে। সে কারণে অণ্ণাকে আরএসএসের ‘চর’ বলা অযৌক্তিক। অণ্ণা নানাজির কাছে ‘দীক্ষা’ নিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। মাধব জানিয়েছেন, নানাজি কাউকে দীক্ষা দিতেন না। অণ্ণা শিবিরের কিরণ বেদী আবার টুইটারে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ, বলরাম জাখরের সঙ্গে নানাজি দেশমুখের ছবি পোস্ট করেছেন।

ছবি-যুদ্ধ
আরএসএস নেতা নানাজি দেশমুখের সঙ্গে
অণ্ণার ছবি দেখিয়ে কটাক্ষ কংগ্রেসের।
কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহের সঙ্গে
নানাজির ছবি টুইটারে দিয়েছেন কিরণ বেদী।

লোকপাল বিল নিয়ে নানা আপত্তি থাকলেও সংসদে যথা সম্ভব কড়া আইন পাশ করতে একটি চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী ও সাংসদদের অনুরোধ করেছে অণ্ণা শিবির। সিবিআইকে লোকপালের অধীনে আনা নিয়ে এখনও সরকারের সঙ্গে অণ্ণা শিবিরের মতপার্থক্য রয়েছে। অণ্ণা শিবিরের দাবি, লোকপাল বা লোকায়ুক্তের হাতে স্বাধীন তদন্তকারী শাখা থাকা দরকার। প্রয়োজনে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখাকে লোকায়ুক্ত এবং রাজ্যের দুর্নীতি দমন ব্যুরো ও ভিজিল্যান্স দফতরকে লোকায়ুক্তের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.