জারদারির নৈশভোজে গরহাজির কিয়ানি
মেমো-বিতর্কের জেরে পাক সরকার এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে ফাটল ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সম্প্রতি চিনা দূত দাই বিঙ্গগুয়োর সৌজন্যে নৈশভোজের আয়োজন করেন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। দাইয়ের সৌজন্যে শনিবার ফের একটি নৈশভোজের আয়োজন করেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। কিন্তু দু’টি ক্ষেত্রেই আমন্ত্রিত হওয়া সত্ত্বেও অনুপস্থিত ছিলেন পাক সেনাপ্রধান আশফাক পারভেজ কিয়ানি। এই ঘটনার পাশাপাশি পাক সরকার এবং সেনার বিভেদকে আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে রবিবার গিলানি এবং জারদারির কয়েকটি মন্তব্য।
রবিবার মহম্মদ আলি জিন্নার ১৩৬তম জন্মদিন উপলক্ষে বক্তৃতা দিতে গিয়ে জারদারি বলেন, “জিন্না গণতন্ত্রের সমর্থক ছিলেন। তিনি নিজে কখনওই সশস্ত্র অভ্যুত্থানকে সমর্থন করেননি। পাকিস্তানের নাগরিকদেরও বুলেটকে সমর্থন না করে ব্যালটকে সমর্থন করা উচিত।” জিন্না কতটা গণতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন, সে উদাহরণ টেনেই সেনাকে সমর্থন না করে পাক নাগরিকদের গণতন্ত্র এবং নির্বাচিত সরকারের উপর আস্থা রাখার আবেদন জানান জারদারি।
মেমো কেলেঙ্কারির পরই গিলানি ও জারদারি বলে সছেন, পাক সরকার সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা করে মার্কিন সাহায্য চেয়ে কোনও ধরনের মেমো পাঠায়নি। পাশাপাশি অ্যাবটাবাদে লাদেন লুকিয়ে থাকা সত্ত্বেও সেনা তাঁকে ধরতে পারেনি, সেটাকে সেনাবাহিনীর ব্যর্থতা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রবিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে গিলানি বলেন, “আইনসভা, বিচারবিভাগ ও সেনা তিনটি প্রতিষ্ঠানকেই আমরা সম্মান করি। প্রত্যেকেরই নিজস্ব এক্তিয়ারের মধ্যে থেকে কাজ করা উচিত। নির্বাচিত করে পাকিস্তানের জনগণ আমাদের ক্ষমতায় এনেছে। পাঁচ বছরের মেয়াদ আমরা
পূর্ণ করবই। আমাদের উপর বিশ্বাস রাখুন।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.