ইমরান খানের ডাকা পরিবর্তনের ‘সুনামি’তে গা ভাসালেন করাচির পুরুষ থেকে মহিলা, বাচ্চা থেকে বুড়ো, সকলে।
রবিবার মহম্মদ আলি জিন্নার ১৩৬-তম জন্মবার্ষিকীর দিন করাচির কয়েদ-ই-আজম ময়দানে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের বিরুদ্ধে এককাট্টা হওয়ার আবেদন জানিয়ে এই সমাবেশ ডাকেন তেহরিক-ই-ইনসাফ নেতা ইমরান খান। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে এই সমাবেশে যোগ দেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। পশ্চিমী পোষাক পরা তরুণীদের পাশাপাশি পর্দায় মুখ ঢাকা মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এই ব্যাপক জন সমর্থনকে দলের নীতির সাফল্যের প্রতিফলন বলে মনে করছেন তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতারা।
রবিবার যাঁরা ভিড়ের জন্য ময়দানের ভিতরে ঢুকতে পারেননি, তাঁদের জন্য দু’টি টিভি স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়। ময়দানে ঢুকতে না পারলেও, এই স্ক্রিনে ইমরানের বক্তৃতার সরাসরি সম্প্রচার দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। কয়েদ-ই-আজম ময়দান সংলগ্ন এলাকায় ভিড়ের চোটে ব্যাপক যানজটও তৈরি হয়।
সমাবেশ শুরুর কিছু ক্ষণ আগেই পাশের রাস্তায় পার্ক করা একটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। এই ঘটনায় কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও সাময়িক ভাবে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনা ঘটার প্রায় এক ঘণ্টা আগেই সমাবেশস্থলে পৌঁছে যান ইমরান খান। |
করাচির জনসভায় ইমরান খান। ছবি: এএফপি |
সমাবেশের মঞ্চে একটি ব্যানার লেখা ‘করাচিতে শান্তি এবং পাকিস্তানে স্থায়িত্ব ও উন্নতির লক্ষ্যে।’ গোটা ময়দানে জড়ো জনতা ‘ইমরান খান জিন্দাবাদ’-এর স্লোগান তুলেছে। প্রায় প্রত্যেকেরই হাতে লাল-সবুজ রঙের তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের পতাকা। মাথায় দলের চিহ্ন আঁকা টুপি। সমাবেশে যোগদানকারী জাইনাবের দৃঢ় বিশ্বাস, পাকিস্তানকে একমাত্র ইমরান খানই পাল্টাতে পারেন। একা জাইনাবই নন, এই সমাবেশে অংশগ্রহণকারী তরুণ-তরুণীদের বিশ্বাস, “ইমরানই পাকিস্তানের শেষ ভরসা।” তাঁদের সোজা কথা, “ইমরানকে বিশ্বাস করি। তাই তাঁর ডাকে সাড়া
দিয়ে এসেছি। একমাত্র ইমরানই পারেন পাকিস্তানকে পাল্টাতে।” গত শনিবার ইমরানের দলে যোগ দেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির বর্ষীয়ান নেতা জাভেদ হাসমি। রবিবারের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন তিনিও। |