শহিদ বেদিতে রাখা পতাকা নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ল সিপিএম-তৃণমূল। পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলা ও পাল্টা হামলার অভিযোগ দায়ের করেছে দু’পক্ষই। জামুড়িয়ার বালানপুরে শনিবার থেকেই দু’দলের ঝামেলায় অশান্তি ছড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।
সিপিএমের জামুড়িয়ার জোনাল সম্পাদক মনোজ দত্ত জানান, ষাটের দশক থেকে বালানপুরের দক্ষিণ বাউরিপাড়ায় একটি ক্লাবের পাশে তাঁদের শহিদ বেদিতে লাল পতাকা লাগানো রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, বেশ কিছু দিন ধরে ওই পাড়ার মিঠু বাউড়ি-সহ কয়েক জন তৃণমূল সমর্থক পতাকাটি খুলে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এলাকার সিপিএম নেতা মনোজ বাউরি শনিবার গ্রামের লোকেদের ডেকে এ নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এমন সময়ে মিঠু তাঁর উপরে চড়াও হয়। বাসিন্দাদের হস্তক্ষেপে সাময়িক ভাবে সমস্যা মিটে গেলেও কিছুক্ষণ পরে মিঠু বাউরিদের নেতৃত্বে মনোজের বাড়িতে এক দল লোক চড়াও হয়। তাঁকে না পেয়ে বাড়ির লোকজনকে গালিগালাজ করে। পরে আর এক সিপিএম সমর্থক দিবাকর বাউড়ির বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে আক্রান্তেরা থানায় অভিযোগ করেন বলে জানিয়েছেন, দলের জোনাল সম্পাদক মনোজবাবু।
পুলিশ সিপিএমের মধু বাউরি ও তৃণমূলের মিঠু বাউড়িকে থানায় নিয়ে যায়। আপস-মীমাংসা করে বিষয়টি মিটিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। রবিবার সকালে ফের তৃণমূলের মিঠু বাউরি, গোপাল বাউরিদের নেতৃত্বে বালানপুরের সিপিএম নেতা অরূপ সিংহের উপরে হামলা হয় বলে অভিযোগ সিপিএমের।
এ দিকে, গোপাল বাউরিদের পাল্টা দাবি, সিপিএমের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ক্লাব চত্বরে কোনও দলের পতাকা না রাখার দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছেন গ্রামবাসীরা। তা সত্ত্বেও শনিবার মিঠু বাউরিরা ক্লাবের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়ে মনোজ বাউড়িরা বেধড়ক পেটায় বলে তাঁরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সামান্য গণ্ডগোল হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। |