তালা ভেঙে ব্যাঙ্কে ঢুকে ভল্ট কেটে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা চুরি করে পালিয়েছে একদল দুষ্কৃতী। শনিবার গভীর রাতে শিলিগুড়ির কাছে ফাঁসিদেওয়া থানার চটহাট এলাকায় উত্তরবঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্কে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ তদন্তে নামলেও ওই ঘটনায় জড়িতদের কোনও হদিস করতে পারেনি। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “কিছুদিন আগে রাজগঞ্জে একটি গ্রামীণ ব্যাঙ্কে চুরি হয়। একই কায়দায় এখানেও হয়েছে। মনে হচ্ছে একই দুষ্কৃতী দল ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। দুষ্কৃতীদের হদিস করতে তল্লাশি চলছে।” পুলিশ জানায়, ১৯৮১ সালে চটহাট বাজার এলাকায় ওই ব্যাঙ্ক চালু হয়। বর্তমানে চটহাট হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন্দ্রনাথ রায়ের বাড়ির নিচতলায় ব্যাঙ্কটি রয়েছে। পুলিশের অনুমান, রাত ২টো থেকে ৩টের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। দুষ্কৃতীরা হ্যাকসো ব্লেড ব্যবহার করে ভল্ট কেটেছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। বাড়ির মালিক বলেন্দ্রবাবু বলেন, “গভীর রাতে খুটখাট শব্দ শুনেছি। বাইরে বেরিয়ে দেখেছি রাস্তায় বাস দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাসের আড়ালে দুজনকে বসে থাকতে দেখেছি। যে হেতু ওখানেই বাস স্ট্যান্ড, সে জন্য সন্দেহ হয়নি। তখন রাত ৩টে হবে। সে সময় ফের শব্দ শুনে প্রথমে একজন সিপিএম নেতাকে জানাই। পরে পুলিশকেও ফোন করি। ৪টে নাগাদ পুলিশ এলে দেখি ব্যাঙ্কে এমন কাণ্ড ঘটে গিয়েছে।” উত্তরবঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্কের শিলিগুড়ি আঞ্চলিক অধিকর্তা রতনকুমার দে বলেন, “সম্প্রতি রাজগঞ্জের তালমায় আমাদের একটি শাখায় একই কায়দায় দুষ্কৃতীরা টাকা চুরি করে পালিয়েছিল। গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলিতে নিরাপত্তার কোনও ব্যবস্থা থাকে না। এই নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরণের ঘটনা না ঘটে। শিলিগুড়ির আশিঘর, কোচবিহারের দেওয়ানগঞ্জে টাকা চুরির চেষ্টা হয়েছিল।” ব্যাঙ্কের ম্যানেজার গিরিজাশঙ্কর মহাপাত্র ছুটিতে। বর্তমানে সহকারী ম্যানেজার প্রবীর বসু দায়িত্বে রয়েছেন। প্রবীরবাবু বলেন, “ব্যাঙ্ক খোলা থেকে শুরু করে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ব্যাঙ্কে দু’জন পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকে।” এলাকায় পুলিশের টহলদারি নিয়েও বাসিন্দাদের কোনও অভিযোগও নেই। তবে তাঁদের দাবি, টহলদারি থাকা সত্ত্বেও কী করে দুষ্কতীরা টাকা লুঠ করে নিয়ে পালাল বলে তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন। চটহাট পুলিশ ক্যাম্পের কর্মীরা জানান, ৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তাঁরা টহলদারি করেন। এই ঘটনা তাদের নজরে পড়েনি বলে জানান। এ দিন রাত দুটো অবধি তারা টহলদারি করেছেন বলে দাবি করেছেন। |