সান্তা ক্লজের আশীর্বাদ প্রাক-বড়দিনের সকালে এসে পৌঁছল না মোহনবাগান তাঁবুতে। বরং সবুজ-মেরুন শিবিরের উপর ছেয়ে আছে চোটের কুয়াশা।
হোসে ব্যারেটো এবং হাদসন লিমার চোট পুরোপুরি দূর হল না। চোট-ক্লাবের সদস্য এখন মনীশ মৈথানি এবং সৌরভ চক্রবর্তীও। জানা গেল, বুধবারের এয়ার ইন্ডিয়া ম্যাচে ব্যারেটো হয়তো খেলবেন। লিমা পারবেন কি না তা নিশ্চিত হবে আগামী দু’-তিন দিনে।
অন্য দিকে চিরাগ কেরলকে হারানোর পর দিনটা কেরলেই কাটালেন টোলগে-পেনরা। সালগাওকর ম্যাচের জন্য ইস্টবেঙ্গল মারগাও যাবে বড়দিনের সকালের বিমানে। চোট পাওয়া নওবা সিংহের জায়গা নিতে কলকাতা থেকে উড়ে যাওয়ার কথা সৈকত সাহা রায়ের। কার্ড সমস্যায় ছিটকে যাওয়া উগা ওপারার বদলি নির্মল ছেত্রীও মারগাও উড়ে যাচ্ছেন রবিবার সকালের বিমানে। তবে নওবা দলের বাকিদের সঙ্গে মারগাও যাচ্ছেন। তার আগে শনিবার সকালে পুরো দমে অনুশীলন না করলেও টোলগেরা জিম করেছেন। করিম বেঞ্চারিফার সালগাওকরের বিরুদ্ধে নামার আগে ওপারা-নওবার না থাকাটাই কাঁটা ট্রেভর মর্গ্যানের।
শনিবার ব্যারেটো-লিমা দু’জনেই হালকা অনুশীলন সারলেন মোহনবাগান মাঠে। সুব্রত ভট্টচার্যের দলের চোটের তালিকা অবশ্য ব্যারেটো-লিমাতেই শেষ নয়। সালগাওকর ম্যাচে হাতে চোট পেয়েছিলেন মনীশ। তাঁর সেই হাত ভেঙেছে। ওই ম্যাচেই চিডির কনুই লেগে নাকের হাড় সরে গিয়েছিল সৌরভেরও। যাঁর অস্ত্রোপচার হল শনিবার। ড্যানিয়েল জেলেনি এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন। তার উপর এয়ার ইন্ডিয়া ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টা পরই কলকাতা লিগে জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে নামতে হবে নবি-কিংশুকদের। আর সুনীল ছেত্রীর তো মাঠে নামতে এখনও প্রায় এক মাস। ঘনঘন ম্যাচ আর চোটে একেবারে জেরবার হয়ে রয়েছে মোহনবাগান। শনিবার সকালে ওডাফারা হাল্কা গা ঘামালেন। রবিবার বড়দিনের ছুটি অনুশীলনে। সোমবার থেকে প্রস্তুতি শুরু এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে নামার।
এন পি প্রদীপ এবং কিংশুক দেবনাথের কার্ড সমস্যা কাটিয়ে ফিরে আসাই বড়দিনে মোহনবাগানের কাছে একমাত্র সুখবর। সন্তোষ কাশ্যপের এয়ার ইন্ডিয়াও পরপর তিন ম্যাচ জিতে পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে। শুধু তাই নয়, চার্চিল ছাড়া গোয়ার সব দলকেই তারা হারিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যারেটো-লিমার পুরো ফিট না হওয়া যথেষ্ট চিন্তায় রাখছে মোহনবাগানের টিডি-কোচকে। শুধু ডিফেন্স নয়, এ বার সুব্রত-প্রশান্তর জন্য মাঝমাঠেও নিত্য-নতুন কম্বিনেশন তৈরির চ্যালেঞ্জ।
বছরের শেষ সপ্তাহে পৌঁছে কিছুটা একই বিন্দুতে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল। নিয়মিত ফুটবলার না থাকার ব্যাপারে। তফাত একটাই সবুজ-মেরুন শিবির এই সমস্যার সঙ্গে প্রায় শুরু থেকেই লড়ছে। লাল-হলুদ এ ব্যাপারে একটু পিছিয়ে। |