কায়রো ওয়াশিংটন ডি সি বাগদাদ দামাস্কাস |
• প্রতিবাদী মেয়েকে রাস্তায় ফেলে বিবস্ত্র করে নৃশংস প্রহার করছে পুলিশ কায়রোর তাহ্রির স্কোয়ারের এই ছবি নিয়ে দুনিয়া তোলপাড়। মিশরের প্রতিবাদীদের ওপর দমন নীতি চলছে পুরো দমে, নিহতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই অন্তত তেরো। ‘সুপ্রিম কাউন্সিল অব দি আর্মড ফোর্সেস’-এর (স্কাফ) নায়করা সাফাই গাইছেন, দেশকে অস্থির করার চক্রান্ত দমন করতে তাঁদের কঠোর হতে হচ্ছে। চিরকাল সামরিক শাসকরা এই যুক্তিই দিয়ে এসেছেন। সর্বত্র।
|
• ২২ ডিসেম্বর বাগদাদে পর পর ১৪টি বিস্ফোরণ ঘটল। মৃত অন্তত ৬৩ জন। কোনও গোষ্ঠী এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। গত বেশ কয়েক মাসে এত বড় সন্ত্রাসের ঘটনা ইরাকে ঘটেনি।
• প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে গেলেন বারাক ওবামা। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় জানা গেল, নভেম্বরে তার জনপ্রিয়তার রেটিং পাঁচ শতাংশ বেড়েছে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে তিনি এগিয়ে আছেন পাঁচ শতাংশ ভোটেই।
• শুক্রবার দামাস্কাস শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি অফিসের কাছে দুটি গাড়ি বোমার বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন সিরিয়ার বেশ কিছু মানুষ। সরকারি মতে, এটা আল-কায়দার কাজ। প্রতিবাদীরা বলছেন, সরকার নিজেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, যাতে দমন নীতি চালাতে সুবিধা হয়।
|
• তালিবানরা মোটেই আমাদের শত্রু নয়। কিন্তু, আফগানিস্তানে যে সরকার আল কায়দার বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমাদের সাহায্য করছে, তালিবানরা তাদের বিপাকে ফেললে মুশকিল। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উবাচ। আমেরিকাকে না ঘাঁটালে যে কোনও বদমায়েশির প্রতিবাদই ওয়াশিংটন করে না, সেটা অবশ্য গোটা দুনিয়াই জানে। |
|
পঁচাত্তর বছর বয়সে বিদায় নিলেন ভাক্লাভ হাভেল। নাট্যকার, বিদ্যানুরাগী এবং সমাজতান্ত্রিক চেকোস্লোভাকিয়ার গণতন্ত্রের পথে শান্তিপূর্ণ বিবর্তনের নায়ক। ‘ভেলভেট বিপ্লব’ নামে খ্যাত ১৯৮৯ সালের সেই অভ্যুত্থানের পরে দেশের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয়ী হন প্রেসিডেন্ট হাভেল। ১৯৯৩ সালে চেকোস্লোভাকিয়া দুটি সার্বভৌম দেশে ভাগ হয়ে গেল: স্লোভাকিয়া এবং চেক প্রজাতন্ত্র। দশ বছর চেক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন হাভেল। ১৯৯৯ সালে তাঁর দেশ ন্যাটো-র সদস্য হল, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হল ২০০৩ সালে, তিনি রাষ্ট্রনায়কের আসন থেকে বিদায় নেওয়ার কয়েক মাস পরেই। রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পরেও ইউরোপীয় রাজনীতিতে তাঁর নৈতিক প্রভাব ছিল অবিসংবাদিত। |
২৯০০ জন কারাবন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে কিউবা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কিছু রাজনৈতিক বন্দিও। প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো (ছবি) জানালেন, বন্দিদের আত্মীয়রা অনেক দিন ধরেই মুক্তির আবেদন জানাচ্ছিলেন। তাই এই সিদ্ধান্ত। তবে তিনি জানিয়েছেন, এক্সিট ভিসার ব্যবস্থা বাতিল করে দেওয়ার দাবি মানার এখনই কোনও সম্ভাবনা নেই। কিউবার নাগরিকদের সে দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার সময় সরকারি অনুমতির প্রয়োজন হয়। একে এক্সিট ভিসা বলে। রাউল বলেছেন, আমাদের দেশের অবস্থাটা বুঝতে হবে। দেশটা মার্কিন আগ্রাসনে ঘেরা। কাজেই, আমাদের সাবধান থাকতেই হবে। |
উত্তর কোরিয়ার ‘প্রিয় নেতা’ কিম জং ইল-এর মৃত্যুর পর সে দেশের মানুষ রাস্তায় ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন, এই দৃশ্যটা তবুও কম বিস্ময়কর। আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় এই মৃত্যুতে যে দেশগুলি শোকাভিভূত, তার তালিকা মারাত্মক। কিউবায় তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক। পতাকা অর্ধনমিত। ভেনেজুয়েলা এবং নিকারাগুয়ার সরকারও গভীর শোক প্রকাশ করেছে। কাতার-এর আমীর, মলডোভা-র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আর কম্বোডিয়ার রাজা-রানির শোকবার্তা উত্তর কোরিয়ার সরকারি ওয়েবসাইটে জ্বলজ্বল করছে। তবে, প্রবলতম প্রতিক্রিয়া জিম্বাবোয়ের স্বৈরশাসক রবার্ট মুগাবে-র সরকারের। ‘দুঃসময়ের বন্ধু’, ‘অসম্ভব ভাল মানুষ’ ইত্যাদি শব্দে শোকবার্তাটি ছয়লাপ। কথায় বলে, সঙ্গী দেখে মানুষ চেনা যায়। ‘মহান নেতা’-র ক্ষেত্রে কথাটা অব্যর্থ। |
বড়দিনের মুখে একটা থিম পার্টিতে গিয়েছিলেন সরকারি আমলা এইডান বার্লে। তাতেই চাকরি গেল তাঁর। এমনকী, এই পার্টির ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজখবর চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। অশান্তির কারণ ওই পার্টির থিম নাতসি। হিটলারের নাজি বাহিনীর বিভীষিকার দুঃস্বপ্ন ইউরোপ এখনও ভুলতে পারেনি। চাকরি না গেলেই অবাক হতে হত! |
সোমালিয়ার জঙ্গি বিদ্রোহীদের দমন করতে অক্টোবরে সেনা পাঠিয়েছে কেনিয়া। কেনিয়ার সামরিক মুখপাত্র মেজর ইমানুয়েল চিরচির তাঁর বাহিনীর হয়ে প্রচার করতে টুইট করে আসছেন নিয়মিত, তাঁর ‘অনুগামী’র সংখ্যা হাজার দশেক। গত বুধবার টুইটার-এ নিজের খাতা খুলেছে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী আল-শাবাব। তিন দিনেই শ’চারেক গুণমুগ্ধ যোগ দিয়েছে অনুগামী হিসাবে। কেনিয়ার সহযোগিতায় সোমালিয়ার সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের মাজা ভেঙে দিয়েছে এই প্রচারকে নস্যাৎ করে আল-শাবাব জোর গলায় বলছে, তাদের পাল্টা মারে সরকার বিপর্যস্ত। কার টুইটারে কত অক্ষৌহিণী যোগ দেয়, সেটাই এখন প্রশ্ন। |