কিছু জেলায় ফরমান আসিয়াছে, পান-ঘরে গান বন্ধ। উত্তেজক গীতবাদ্য শ্রবণ করিলে নাকি চিত্তবিকারের সম্ভাবনা প্রবল। তাহার পরে বাহিরে রাস্তায় আসিয়া অশালীন আচরণ করিবার সম্ভাবনাও পাল্লা দিয়া বাড়িয়া যায়। অতএব, পানঘরে গান বাদ। বুঝা যাইতেছে, জ্যাঠামহাশয়দের প্রতাপ চলিতেছে। অতঃপর, একটি বিস্তৃত তালিকা প্রস্তুত করা বিধেয়। কোথায় কী কী করিলে অন্যত্র কী কী অপকর্ম ঘটিবার সম্ভাবনা! সেই তালিকা হইতে গৃহকোণই বা বাদ যায় কেন? কেহ তর্ক করিলে কানমলা সর্দার আসিয়া কান মলিয়া কবিবাক্য শুনাইয়া দিবে, স্বার্থমগ্ন যে জন বিমুখ বৃহৎ জগৎ হতে, শেখেনি সে বাঁচিতে। সত্য কথা, গৃহ-পরিসর তো সীমিত। বাহিরে আদিগন্ত জগৎ-সংসার। মোদ্দা কথাটি হইল, জীবন হইতে ‘উত্তেজনা’, প্রকৃত প্রস্তাবে ‘যৌন উত্তেজনা’ নামক বস্তুটি সরাইয়া ফেলিলেই আইন শৃঙ্খলার বিবিধ সমস্যা কমিয়া যাইতে পারে। অতএব, পানশালায় উত্তেজক গান বাদ। ধীর লয়ে কিছু রাগরাগিণীর আলাপ ইত্যাদি চলিতে পারে কি? অবশ্য উত্তেজনার গতি বিচিত্র। তাই পান চলুক, গান নহে। |