নির্বাচনের মধ্যে বাজেট, বিতর্কে জড়াল কমিশন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা হতেই বিতর্কে জড়াল নির্বাচন কমিশন।
বিতর্কটি কী? কমিশন আজ এক দিকে জানিয়েছে দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনী আচরণবিধি ওই পাঁচ রাজ্যে বলবৎ হচ্ছে। ফলে ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও রাজ্য সরকার, এমনকী কেন্দ্রও ওই পাঁচটি রাজ্যে নতুন কোনও প্রকল্প ঘোষণা করতে পারবে না। ভোটের নির্ঘণ্ট বলছে, সংসদে বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশের শেষ দফা (২৮ ফেব্রুয়ারি) ও গোয়ায় (৩ মার্চ) নির্বাচন রয়েছে। ওই দু’দিনের ভোটের ঠিক আগেই রেল ও সাধারণ বাজেট পেশ হওয়ার কথা। কমিশন নির্ঘণ্ট ঘোষণা করার পরেও আজ ভোটের জন্য কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের সূচিতে পরিবর্তন করা হতে পারে, এমন কোনও সম্ভাবনার কথা সরকারি তরফে জানানো হয়নি। এখনও পর্যন্ত স্থির আছে, ২৯ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তাই প্রশ্ন উঠেছে, উত্তরপ্রদেশের শেষ দফা ও গোয়ায় ভোটের আগে যদি সাধারণ ও রেল বাজেটে ওই দুই রাজ্যের জন্য একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করা হয়, তবে তাতে কি নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙা হবে না? সে ক্ষেত্রে ওই দুই রাজ্যের ভোটে কি বাড়তি সুবিধা পাবে না কংগ্রেস তথা ইউপিএ জোট?
শনিবার বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণার পরই সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে অস্বস্তিতে পড়েন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি। তিনি বলেন, “কমিশন নিজের কাজ করেছে। বাজেটে কী হবে তা কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করবে।” পরে কমিশনের এক সদস্য বলেন, “সরকারের উচিত এমন ভাবে বাজেট পেশ করা যাতে আচরণবিধি ভঙ্গ না হয়।” কমিশন এ কথা বলে দায় ঝেড়ে ফেললেও বাজেট অধিবেশনের মধ্যে নির্বাচনের দিন ফেলার সমালোচনা করেছেন সপা, বিজেপি নেতৃত্ব। তবে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ খুলতে চায়নি কোনও দলই। ঘরোয়া মহলে অবশ্য সকলেই স্বীকার করছেন, রেল বা সাধারণ বাজেট পেশ হওয়ার আগেই অন্তত উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন শেষ করে ফেলা উচিত ছিল।
শুধু বাজেট বিতর্ক নয়, ৩০ জানুয়ারি পঞ্জাব ও উত্তরাখণ্ডে ভোট নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কিছু মহল। মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর মৃত্যুদিন তথা শহিদ দিবসে ভোট করানো নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে কমিশনের বক্তব্য, “বিষয়টি আমাদের মাথায় রয়েছে।” কিন্তু সে কারণে ভোটের দিন বদলানো হবে কি না তা নিয়ে এখনই মুখ খুলতে রাজি হননি কমিশনের সদস্যেরা। |