অণ্ণা নিয়ে সুর চড়ল কেন্দ্রের |
আদালতের পরে অণ্ণা হজারে ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে সুর চড়াল কেন্দ্র ও কংগ্রেস। আইন মেনে আন্দোলন করতে বলে অণ্ণা শিবিরকে শনিবার কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছে সরকার। শুক্রবার বম্বে হাইকোর্টে বহু প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল অণ্ণা হজারে শিবিরকে।
আজ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী জানিয়ে দিয়েছেন,“ লোকপাল বিল ঠিক না ভুল তা অণ্ণা স্থির করতে পারেন না। তাঁর আন্দোলন করার অধিকার নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু, তাঁকে আইন মেনে চলতে হবে।”
পাশাপাশি ভোটে অণ্ণা শিবিরকে জবাব দেওয়ার ডাক দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। দলের সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এক বৈঠকে আজ কংগ্রেস সভানেত্রী বলেন, “লোকপাল নিয়ে অণ্ণার প্রচারের মোকাবিলা ভোটের মাধ্যমেই করতে হবে। পঞ্জাব ও উত্তরাখণ্ডের ভোটে জিততে হবে। উত্তরপ্রদেশেও ভাল ফল করতে হবে। তা হলেই অণ্ণা মানুষের জবাব জানতে পারবেন।” |
মুম্বইয়ে অণ্ণার অনশনের জন্য একটি মাঠ বিনামূল্যে বা কম ভাড়ায় পেতে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক আবেদনকারী। তখনই অণ্ণার অনশনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কোর্ট। আদালতের মতে, অণ্ণার সত্যাগ্রহ অনেকের কাছে বিশৃঙ্খলা বলে মনে হতে পারে। লোকপাল বিল নিয়ে সংসদে বিতর্কের সময় তা নিয়ে অণ্ণা আন্দোলন চালাতে পারেন কি না তা জানতে চায় বেঞ্চ। বিচারপতিদের প্রশ্ন, এই আন্দোলন সংসদীয় ব্যবস্থা ও সংবিধানের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে ধরা হবে না কেন।
শনিবার সনিয়ার সঙ্গে সুর মিলিয়ে সরব হয়েছেন অন্য কংগ্রেস নেতারাও। দিগ্বিজয় সিংহ বলেন,“অণ্ণাকে নিয়ে আমরা চিন্তা করি না। ভোটের পথেই আমরা তাঁর মোকাবিলা করব।” দিগ্বিজয়ের দাবি, অণ্ণা প্রথম থেকে কংগ্রেসকেই আক্রমণ করছেন। দুর্নীতি নিয়ে অণ্ণা শিবির মাথা ঘামায় না। তাদের উদ্দেশ্য রাজনৈতিক। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদের বক্তব্য, সেনাপতি সনিয়ার ডাকে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন তাঁর অনুগামীরা।
জবাব দিয়েছে অণ্ণা শিবিরও। অণ্ণার অনুগামী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, “ লোকপাল বিল পাশ না করে দিগ্বিজয় এখন অণ্ণা শিবিরের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এ বার অণ্ণার অনুগামীরা তাঁর সঙ্গেই অনশনে বসবেন।”
বম্বে হাইকোর্ট অণ্ণার অনশনের জন্য বিনা পয়সায় বা কম ভাড়ায় মাঠ দেওয়ার আবেদন মানেনি। ফলে অনশনের জন্য ৭ লক্ষ টাকা ভাড়া দিয়ে মাঠ নিতে হবে অণ্ণা শিবিরকে। |