তৃণমূলের জনপ্রিয়তার মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘খাসতালুক’ যোগেশচন্দ্র ল’ কলেজের ছাত্র সংসদে দু’টি আসন বাড়াল বামপন্থী ছাত্রজোট। শুক্রবার ওই কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মোট ৩৬টি আসনের মধ্যে ২৮টিতে জিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) ক্ষমতা ধরে রেখেছে। তার মধ্যে ১৮টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তারা। কিন্তু বাম ছাত্রজোটের আসন ছয় থেকে বেড়ে হয়েছে আট। তার মধ্যে এসএফআই পেয়েছে পাঁচটি আসন। ফরওয়ার্ড ব্লকের ছাত্র সংগঠন ছাত্র ব্লক পেয়েছে তিনটি। গত বার এসএফআই ও ছাত্র ব্লকের আসনসংখ্যা ছিল যথাক্রমে চার এবং দুই।
সাত মাস আগে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। রাজ্যের বহু কলেজ, স্কুল পরিচালন সমিতি, সমবায় ভোটে টিএমসিপি ও তৃণমূলের ‘জয়জয়কার’ অব্যাহত। আনোয়ার শাহ রোডের যোগেশচন্দ্র ল কলেজ রাসবিহারী বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। যার বিধায়ক তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মমতা এত দিন যে কেন্দ্র থেকে সাংসদ হতেন, সেই দক্ষিণ কলকাতার মধ্যেও পড়ে ওই কলেজ। যে কলেজের ছাত্র সংসদ বরাবর বাম-বিরোধীদের দখলে। ‘অনুকূল’ পরিস্থিতি সত্ত্বেও সেখানে বাম ছাত্রজোটের আসন বৃদ্ধি ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।
স্থানীয় বিধায়ক শোভনদেববাবুর ব্যাখ্যা, “ওই কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শারীরিক অসুস্থতার জন্য দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস কলেজ যেতে পারেননি। ফলে ছাত্র সংসদ একটু নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিল। তবে টিএমসিপি কর্মীরা কথা দিয়েছেন, আগামী বার ওখানে তাঁরা আরও ভাল ফল করবেনই।” পক্ষান্তরে, ছাত্র ব্লকের তরফে জয়ী মুস্তাক আলমের ব্যাখ্যা, “টিএমসিপি-র হাতে থাকা ছাত্র সংসদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন হলেও তার রিপোর্ট এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। ফলে টিএমসিপি-র প্রতি ছাত্রছাত্রীদের বিশ্বাসে চিড় ধরেছে। ওরা আমাদের তিন প্রার্থীর মনোনয়ন অন্যায় ভাবে বাতিল করিয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা সবই তো দেখেছেন!” টিএমসিপি-র তরফে জয়ী অমিত পারেখের জবাব, “ওদের অভিযোগ সত্যি হলে ১৮টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কি জিততাম? ওরা অর্থহীন কথা বলছে।” |