টালা থানা এলাকায় কুপিয়ে খুন করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। পুলিশ জানায়, শনিবার ভোরে শ্রীশচন্দ্র চৌধুরী লেনে এক কারখানার ভিতরে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতের নাম লখি মণ্ডল ওরফে লোকনাথ (৪৩)। তিনি কলকাতা পুরসভায় শ্রমিক সরবরাহের ঠিকাদার ছিলেন। কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকলেও আদতে তাঁর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে।
তদন্তকারীরা জানান, রাস্তার ম্যানহোলের ঢাকনা তৈরির একটি কারখানা রয়েছে শ্রীশচন্দ্র চৌধুরী লেনে। কয়েক বছর ধরে রাতে ওই কারখানাতেই শুতেন লখিবাবু। সঙ্গে থাকতেন তাঁর মামাতো ভাই লম্বোদর মণ্ডল। পুলিশের অনুমান, ব্যবসায়িক অথবা ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। এ দিন সকালে পুলিশ-কুকুর নিয়ে তদন্ত চালান গোয়েন্দারা। ওই কারখানা চত্বর ঘুরে দেখার পর টালা সেতু পেরিয়ে কিছু দূরে গিয়ে কুকুর দাঁড়িয়ে পড়ে। লম্বোদরবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, এ দিন ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ তিন দুষ্কৃতী কারখানার দরজা খুলে ভিতরে ঢোকে। চাদর চাপা দিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন লখি এবং তাঁর ভাই। লম্বোদরের দাবি, আততায়ীরা চাদর সরিয়ে আচমকাই লখির মাথায় চপার দিয়ে বারবার আঘাত করে। লম্বোদরকে হুমকি দিয়ে বলে, চিৎকার করলে তাঁকেও মেরে ফেলা হবে।
পুলিশের অনুমান, প্রচুর রক্তপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই ঠিকাদার। প্রত্যক্ষদর্শী লম্বোদরবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীদের কারও মুখই ঢাকা ছিল না। ভয়ে তিনি চেঁচিয়ে লোক ডাকতে পারেননি। আততায়ীরা চলে যাওয়ার পরে কারখানার এক শ্রমিক ও স্থানীয় একটি চায়ের দোকানের কর্মীকে ডেকে আনেন লম্বোদর। পুলিশ জানায়, ভোর সাড়ে পাঁচটায় ঘটনা ঘটলেও সকাল সাতটা নাগাদ টালা থানায় খবর দেওয়া হয়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই কারখানার সদর দরজায় তালা দেওয়া থাকত না। ভিতর থেকে লোহার তার পেঁচিয়ে বন্ধ করা হত। ফলে সহজেই দরজা খোলা যেত। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ঠান্ডায় ভোরের দিকে রাস্তায় তেমন লোকজন ছিল না। পুলিশেরও অনুমান, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে আততায়ীরা। |