|
|
|
|
মেয়াদ বাড়ছে না অধিবেশনের |
সই নেই রাজ্যপালের, প্রশ্ন উঠল সমন্বয় নিয়ে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রস্তাবিত জমি বিল নিয়ে ‘আপত্তি’ উঠেছিল আগেই। এ বার সেই বিল ঘিরেই মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর, রাজ্য মন্ত্রিসভা এবং বিধানসভার মধ্যে ‘সমন্বয়হীনতা’ প্রকট হয়ে গেল। যার জেরে বুধবার বিলের প্রতিলিপি বিধায়কদের মধ্যে বিলি হয়ে যাওয়ার পরেও সরকার পক্ষকে ঘোষণা করতে হল, বিধানসভার চলতি অধিবেশনে জমি বিল পেশ হচ্ছে না! বাড়ানো হচ্ছে না অধিবেশনের মেয়াদও।
মুখ্যমন্ত্রী কী চাইছেন, বাকি মন্ত্রিসভা জানে না! মন্ত্রিসভা কী করছে, বিধানসভার কাছে সেই খবর নেই! এই ‘সমন্বয়হীনতা’রই ফসল এ দিনের বিভ্রান্তি’। যার ফলে ‘বিড়ম্বনায়’ রাজ্য সরকার।
তবে সরকারি মহলে নানা ‘বিভ্রান্তি’ দেখেও প্রধান বিরোধী দল সিপিএম-সহ বিরোধী শিবির ওই বিষয়ে এ দিন কোনও মন্তব্য করেনি। বিরোধী বিধায়কদের একাংশের বক্তব্য, “সরকার এমনিতেই বিভিন্ন ভাবে নিজেদের বিড়ম্বনায় ফেলছে। বিরোধীদের আর বিশেষ কিছু করার প্রয়োজন হচ্ছে না। মানুষই ওদের ক্ষমতায় এনেছেন। তাঁরাই দেখুন, কী ভাবে সরকার পরিচালিত হচ্ছে!”
বস্তুত, এ দিন সকাল থেকে জমি বিল নিয়ে যে ঘটনাপ্রবাহ রাজ্য-রাজনীতি দেখেছে, তা যথেষ্ট ‘নাটকীয়’। বিলটি চলতি অধিবেশনে পেশ হবে কি হবে না, তা নিয়ে সরকারের মধ্যেই টানাপোড়েন চলেছে দিনভর। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পিছু হটতে হয়েছে সরকারকে। কারণ, পরিষদীয় রীতিনীতি না-মানা।
প্রস্তাবিত জমি বিলটিতে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের স্বাক্ষর এখনও মেলেনি। বেঙ্গালুরু থেকে রাজ্যপালের কলকাতায় ফেরার কথা আজ, বৃহস্পতিবার। কিন্তু রাজ্যপালের সইয়ের আগেই সরকারের নীতি সংক্রান্ত এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিলের প্রতিলিপি কী ভাবে বিধায়কদের মধ্যে বিলি হয়ে গেল, তার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি সরকার পক্ষ। উল্টে, সরকারের ‘অস্বস্তি’ সামাল দিতে শেষ বেলায় আসরে নেমে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা বলেছেন, তাতে ‘বিভ্রান্তি’ আরও বেড়েছে। |
কেন বিভ্রান্তি |
|
যা হয় |
যা হয়েছে |
• অর্থনৈতিক প্রশ্ন জড়িত, এমন
নতুন
বিলে
রাজ্যপালের সই প্রয়োজন।
তাঁর স্বাক্ষরের
আগে বিল
ছাপতে দেওয়া হয় না। |
• রাজ্যপালের সই হয়নি। তিনি
যখন
কলকাতার বাইরে, সেই সময়ের
তারিখ দিয়ে
রাজ্যপালের ‘নির্দেশ’
উল্লেখ করে বিল ছাপা হয়েছে। |
|
|
• বিল ছাপার দায়িত্ব আইন দফতরের।
যে দফতরের বিল, সেই মন্ত্রীর লিখিত অনুমতি
নিয়ে বিল পাঠানো
হয় বিধানসভায়। |
• মুখ্যমন্ত্রী তথা ভূমিমন্ত্রীর লিখিত
অনুমতি ছাড়াই বিল চলে
গিয়েছে বিধানসভায়। |
• বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা কমিটিতে
আলোচনাসাপেক্ষে বিল বিলির
প্রক্রিয়া শুরু হয়। |
• কার্য উপদেষ্টা কমিটিতে
আলোচনা ছাড়াই বিলের
প্রতিলিপি বিলি হয়ে গিয়েছে। |
|
পার্থবাবুর ব্যাখ্যা, বিল ‘প্রকাশ’ আর ‘পেশ’ এক নয়। তা ছাড়া, ওয়েবসাইট থেকে যে কেউই বিলের প্রতিলিপি ডাউনলোড করতে পারেন! স্পিকার এক বার বলেছেন, ‘ভুলবশত’ বিলের প্রতিলিপি বিলি হয়েছে। পর ক্ষণেই বলেছেন, এটা ‘ভুল’ বলে তাঁরা ‘স্বীকার’ করছেন না! বরং বিল হাতে পেয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন দলের বিধায়কেরা ভেবেচিন্তে মতামত জানানোর সুযোগ পাবেন বলেও তিনি বোঝাতে চেয়েছেন।
জমি বিল নিয়ে এমন ‘বিভ্রান্তি’তে ‘ক্ষুব্ধ’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন সন্ধ্যায় মহাকরণ ছাড়ার আগে তিনি কথা বলেন মুখ্যসচিব সমর ঘোষের সঙ্গে। রাজ্যপাল ফিরলে তাঁকে কী বলা হবে, তার উপায় খুঁজতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি সূত্রের খবর, এ ক্ষেত্রে সরকারের তরফে ‘ভুল’ স্বীকার (রাজ্যপালের সইয়ের আগেই বিল ছাপানো) করা ছাড়া বিশেষ কোনও পথ নেই।
অর্থনৈতিক প্রশ্ন জড়িত, এমন কোনও নতুন বিল পেশ হওয়ার আগে রাজ্যপালের স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক। জমি বিলে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি থাকায় যেমন রয়েছে। রাজ্যপালের স্বাক্ষর ছাড়াও বিল বিলি হওয়ার আগে তাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সই লাগে। গত সপ্তাহেই সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, ভূমিমন্ত্রী হিসেবে মমতার সই হয়নি বলে বিলটির প্রতিলিপি বিলি করা যাচ্ছে না। অথচ তার পরেও রাজ্যপালের সই ছাড়া বিলটি পেশ করার জন্য কী ভাবে ‘তৎপরতা’ চালানো হল, কী ভাবেই বা তা বিলি হল বিধায়কদের মধ্যে তার কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা সরকারি তরফে মেলেনি। বিলটি যে বিলি করা হচ্ছে, তার কোনও আগাম খবর এমনকী, পরিষদীয় দফতরের কাছেও ছিল না!
প্রসঙ্গত, বাম আমলে কয়েক বছর আগে এক বার অনেকটা এমনই ঘটনা ঘটেছিল। রাজ্যের অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য কল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করতে বিল আনা হয়। বিলের প্রতিলিপি বিধানসভায় পৌঁছনোর পর দেখা যায়, তাতে রাজ্যপালের সই নেই। তৎকালীন
শ্রমমন্ত্রী অনাদি সাহু জানান, বিলের প্রতিলিপি বিলি করার আগেই বিষয়টি নজরে আসে। পরে রাজ্যপালের সই-সহ বিল পেশ করা হয় বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে। কিন্তু এ দিন প্রতিলিপি বিলি হওয়ায় সরকারের ‘বিপত্তি’ বেড়েছে। ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যান্ড অ্যাকুইজিশন, রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসেট্লমেন্ট, ২০১১’ শীর্ষক বিলটি নিয়ে বিধানসভায় দিনভর নাটক হয়! চলতি অধিবেশন শুক্রবার শেষ হয়ে যাবে বলে মঙ্গলবার কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এ দিন অধিবেশনের প্রথমার্ধে সরকারি তরফে বিধানসভার কাছে ‘বার্তা’ পৌঁছয়, এই অধিবেশনেই জমি বিল পেশ হতে পারে। তার জন্য আগামী সপ্তাহে আরও দু’দিন বিধানসভা বসতে পারে। তড়িঘড়ি কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক ডাকেন স্পিকার। সেই বৈঠকের নির্ধারিত সময় ছিল এ দিনের অধিবেশনের কাজ ফুরনোর পর।
প্রথম থেকেই ঠিক ছিল, অ্যাডভোকেট জেনারেলের আপত্তিতে বিলটি এই অধিবেশনে আসবে না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের মাধ্যমে বিলটি পেশ করার ‘তৎপরতা’ শুরু হয়। এই ‘তৎপরতা’ তারই অঙ্গ।
কার্য উপদেষ্টা কমিটিতে আলোচনার পর নতুন বিলের প্রতিলিপি বিলি হওয়াটাই দস্তুর। কিন্তু এ দিন বৈঠকের আগেই জমি বিল পৌঁছে যায় বিভিন্ন পরিষদীয় কক্ষে! তৃণমূলের এক বর্ষীয়ান বিধায়কের কথায়, “প্রতি মুহূর্তে সরকার মনোভাব বদলেছে! রাজ্যপালের সই ছাড়া এমন বিলের প্রতিলিপি যে দেওয়া যায় না, সেটা বুঝতে পারার পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
জমি অধিগ্রহণ আইন সংশোধনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত বিল যখন আটকে রয়েছে, তখন রাজ্যে একই ধরনের বিল আনতে আপত্তি ছিল ভূমি দফতরের আধিকারিকদের একাংশের। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলও এখনই ওই বিল না-আনার ‘পরামর্শ’ দিয়েছিলেন। কারণ, কেন্দ্রের আইনের আগেই রাজ্যে বিল পাশ হয়ে গেলে ১৮৯৪ সালের জমি অধিগ্রহণ আইনের সঙ্গে রাজ্যের নতুন আইনের ‘সংঘাত’ বাধার আশঙ্কা আছে। কিন্তু এ দিন সরকারের শীর্ষ একটি মহল থেকে বিধানসভার কাছে ‘বার্তা’ আসে, বিলটি আগে পেশ করা হোক। বাকি বিষয় পরে দেখা যাবে। যার জেরেই বিধানসভার সচিবালয় মারফত বিলের প্রতিলিপি বেরিয়ে যায়।
মন্ত্রিসভার এক বর্ষীয়ান সদস্যের কথায়, “বিলটি এখনই বিধানসভায় আনার জন্য কোনও তাড়াহুড়ো ছিল না। রাজ্যপালের সইয়ের জন্যও তা-ই কোনও দ্রুততা দেখানোর কারণ ছিল না। এর পরেও পরিষদীয় দফতরের নজর এড়িয়ে এমন কাণ্ড ঘটে গেল! পরিষদীয় দফতরকে না-জানিয়ে যে কোনও বিল দেওয়া যায় না, সেটাও মাথায় রাখা হল না!”
সরকারি সূত্রেরই খবর, গত সোমবার খসড়া বিলে মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব এবং ভূমিসচিব সই করার পরে রাতে তা পাঠানো হয় রাজভবনে। রাজ্যপাল তখন ভিন রাজ্যে। পর দিন সরকারি প্রেসে বিল ছাপতে দেয় আইন দফতর। রাজ্যপালের সই ও গেজেট বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ ছাড়াই তাঁর ‘নির্দেশ’ বিলে ছাপানো হয়ে যায়! বিলের তারিখ দেওয়া হয় ২০ ডিসেম্বর, যে দিনও রাজ্যপাল রাজ্যের বাইরে! বুধবার বিলের ছাপানো প্রতিলিপি পৌঁছয় রাজভবনে। (তখনও রাজ্যপাল রাজ্যের বাইরে) তা বিলিও শুরু হয়। অথচ নিয়ম হল, রাজ্যপালের সইয়ের পরে দফতরের লিখিত অনুমতির ভিত্তিতে বিধানসভায় বিল পাঠাবে আইন দফতর।
পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থবাবু বলেছেন, “জমি বিল নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বিল প্রকাশ ও পেশের মধ্যে ফারাক রয়েছে। এ ধরনের বিল পেশ করতে গেলে কার্য উপদেষ্টা কমিটিতে বৈঠক করে দিন ক্ষণ ঠিক করতে হয়। এই বিলটি পেশ করা হয়নি। বিলটি আরও পড়ে দেখার সময় চেয়ে বিভিন্ন দলের সদস্যেরা অনুরোধ করেছেন। এই অধিবেশনে বিলটি আসার সম্ভাবনা নেই। অধিবেশনের মেয়াদও বাড়ার সম্ভাবনা নেই।” স্পিকার বিমানবাবু প্রথমে বলেন, “ভুলবশত বিল বিলি হয়ে গিয়েছে। সরকারি ভাবে বিজ্ঞপ্তির পরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে বিলটি বিলি হবে।” কিন্তু তার পরেই ভবিষ্যতে এমন ‘ভুল’ আটকাতে তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নেবেন, এই প্রশ্নে স্পিকারের জবাব, “ভুল বলব কেন? স্বীকার (কগনিজেন্স) করছি না। ইন্টারনেট থেকেও তো কেউ পেতে পারেন।”
বিধায়কেরা বিধানসভায় বসে ইন্টারনেট থেকে যে বিলের প্রতিলিপি ডাউনলোড করেননি, তা নিয়ে অবশ্য কোনও ‘বিভ্রান্তি’ নেই!
|
একনজরে জমি বিল |
অধিগ্রহণ |
• জোর করে জমি অধিগ্রহণ নয়।
• বেসরকারি প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ নয়।
• সরকারি-বেসরকারি যৌথ প্রকল্পের জন্যও অধিগ্রহণ নয়।
• নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, রাস্তা, সেতু, সেচের বাঁধ, রেললাইন, হাসপাতাল ইত্যাদির জন্য অধিগ্রহণ।
• শুধুমাত্র এই ক্ষেত্রগুলিকেই ‘জরুরি ক্ষেত্র’ বলে ধরা হবে।
• বিদ্যুৎ উৎপাদন-বণ্টন-সরবরাহ, টেলিপরিষেবা, প্রতিরক্ষা, বিমানবন্দর, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, পর্যটন, পরিবহণ, মহাকাশ গবেষণা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ
ইত্যাদির মতো পরিকাঠামোর জন্যও অধিগ্রহণ।
• গরিবদের আবাসন প্রকল্পের জন্যও জমি অধিগ্রহণ করা হবে।
• উপায় না থাকলে তবেই ‘জরুরি ক্ষেত্রের’ জন্য কৃষি, সেচ বা ঘন বসতিপূর্ণ এলাকার জমি নেওয়া হবে।
• অধিগ্রহণের সময় গ্রামাঞ্চলে পঞ্চায়েত ও শহরাঞ্চলে পুরসভার সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
• অধিগ্রহণের পাঁচ বছরের মধ্যে কাজ শুরু করতে হবে। |
|
ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন |
• জমির দাম শহরাঞ্চলে বাজারমূল্যের তিন গুণ।
• গ্রামাঞ্চলে জমির দাম বাজারমূল্যের দ্বিগুণ ধরা হবে।
• একশো শতাংশ সোলেসিয়াম (সান্ত্বনামূল্য)।
• পরিবারপিছু এক জনকে গ্রুপ ডি চাকরি।
• চাকরির উপযুক্ত কেউ না থাকলে এককালীন ২-৫ লক্ষ টাকা।
• জমির মালিক, খেতমজুর, ভাগচাষি বা বর্গাদার (নথিভুক্ত না হলেও), ছোট ব্যবসায়ী, জেলে, স্বনিযুক্ত ব্যক্তি বা এমন কেউ যিনি সরাসরি জমির উপর নির্ভরশীল, ক্ষতিপূরণের সময় বিবেচিত হবেন।
• গ্রামে অধিগৃহীত এলাকায় বাড়ি থাকলে পরিবর্তে ইন্দিরা আবাস যোজনায় বাড়ি মিলবে।
• শহরে দেওয়া হবে ৫০ বর্গমিটার এলাকার বাড়ি। না নিলে এককালীন দেড় লক্ষ টাকা।
• উচ্ছেদ হওয়া প্রতি পরিবারকে এক বছর ধরে মাসিক অর্থ, বাসা বদলের জন্য এককালীন, দোকান বা খাটাল তৈরির জন্য এককালীন অর্থ।
• তফসিলি জাতি, উপজাতিদের ক্ষেত্রে পরিবর্ত জমি দেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|
|