টুকরো খবর
পুরস্কারটা নবির পাওয়া উচিত ছিল: সুনীল
নিজের জন্মদিনে কোচ সুব্রত ভট্টাচার্যকে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন সুনীল ছেত্রী। রয়েছেন ওডাফাও।
বুধবার মোহনবাগান তাঁবুতে। ছবি: উৎপল সরকার।
সুনীল ছেত্রী মনে করেন, তাঁর নয়, এ বার বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়া উচিত ছিল রহিম নবির। “যাঁরা আমাকে বেছেছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েও বলছি, এই পুরস্কারটা আমার নয়, পাওয়া উচিত ছিল নবির। গত মরসুমে ও সত্যিই ভাল খেলেছে।” সোজাসুজিই বলে দিলেন সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের স্ট্রাইকার। সুনীল যখন এ কথা বলছেন তখন মোহনবাগান তাঁবুতে নবি আবার ব্যস্ত ছিলেন সুনীলেরই সংবর্ধনার প্রস্তুতিতে। বর্ষসেরার জন্য জাতীয় কোচ স্যাভিও মেদেইরার করা পাঁচজনের প্যানেলে সুনীলের সঙ্গে ছিল গৌরমাঙ্গি সিংহ, জেজে, রাজু গায়কোওয়াড় ও নবির নাম। আই লিগের চোদ্দো ক্লাবের কোচেদের কাছে পাঠানো হয়েছিল তালিকা। তাঁদের ভোটে নির্বাচিত হন সুনীল। জানা গেছে, স্যাভিওর দেওয়া তালিকার সঙ্গে একমত না হওয়ায় একাধিক কোচ ভোটই দেননি। তাঁদের বক্তব্য, সব টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্স ধরে তালিকা তৈরি হয়নি। বিতর্ককে এ দিন উস্কে দেন সুনীল নিজেই। এ দিন তাঁকে সংবর্ধিত করল পুরো মোহনবাগান টিম। সুনীলের হাতে ব্যারেটো-ওডাফারা তুলে দেন পুস্পস্তবক মিষ্টির হাঁড়ি। সুনীল অবশ্য তাঁকে নিয়ে ফেডারেশন বনাম মোহনবাগান লড়াইয়ে জাতীয় কোচের পাশে দাঁড়ালেন। ক্লাব সচিব অঞ্জন মিত্রের ফেডারেশনকে পাঠানো চিঠির বিরোধিতা করে। বললেন, “সাফ ফাইনালে নামার আগে হাতে সামান্য লাগা ছাড়া আমার কোনও চোট ছিল না।” ফেডারেশনকে অঞ্জন চিঠিতে লিখেছেন, “কেন চোট থাকা সত্ত্বেও সুনীলকে সাফ ফাইনালে নামানো হল, জবাব দিন।” সুনীল এ দিন বললেন, “আমাকে ক্লাবের কেউ এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেনি।”

সুযোগ নষ্ট প্রয়াগের
প্রয়াগ ইউনাইটেড- ১ (জোসিমার)
লাজং- ১ (ক্রিস্টোফার)
গোল নষ্টের বদভ্যাস আর অগোছালো ফুটবলের স্রোতে আবার ভেসে গেল প্রয়াগ ইউনাইটেড। চোখের সামনে জয়ের রাজপথের দরজা একাধিক বার হাট করে খোলা পেয়েও গোলকানা স্ট্রাইকাররা এক বারের বেশি সেই সরণিতে ঢুকতে পারলেন না। জোসিমার-ইয়াকুবুরা আটকে গেলেন ড্রয়ের ফাঁদেই। পাহাড়ি দলের বিরুদ্ধে ১-১ ম্যাচের ‘সৌজন্যে’ থমকে গেল মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলকে ছোয়ার সুযোগও। বুধবার যুবভারতীতে জিততে পারলেই ২০ পয়েন্টে পৌঁছে যেত সঞ্জয় সেনের দল। কিন্তু এখন ১১ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। অথচ ম্যাচের আধ ঘণ্টার মধ্যে চোখধাঁধানো গোলে প্রয়াগকে এগিয়ে দিয়েছিলেন জোসিমার। অদ্ভুত ব্যাপার, যত সহজে কঠিন গোল করলেন, তত সহজেই নষ্ট করলেন একঝাঁক সুযোগ। জোসিমারের পাশে থাকতে থাকতে ইয়াকুবুও গোল চিনতে পারছেন না। প্রয়াগ কোচও বিরক্ত, “আমি তো আর মাঠে নেমে গোল করতে পারব না!” প্রয়াগের ব্যর্থতায় স্ট্রাইকারদের দুর্দশা এক নম্বরে থাকলে, দু’নম্বর জায়গাটা ডিফেন্ডারদের দখলে। বেলো রাজাকের নেতৃত্বে প্রয়াগ রক্ষণ ‘ফ্লপ’। যার সদ্বব্যবহার করতে দেরি করেননি লাজংয়ের ক্রিস্টোফার। প্রথমার্ধেই একটা জটলার মধ্য থেকে গোল করে এক পয়েন্ট নিশ্চিত করেন এই নাইজিরিয়ান। এ দিকে, চার্চিল ব্রাদার্সকে ২-০ হারিয়ে মোহন-ইস্টকে সুবিধা করে দিল পুণে এফসি। গোটা ম্যাচে সুব্রত পালের অভাব টের পেতে দিলেন না লাল-হলুদ ছেড়ে যাওয়া গোলকিপার অভ্র মণ্ডল। পুণের দুই গোলদাতা কেইটা ও গুরজিন্দর।

টেরির বিরুদ্ধে মামলা
কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের ফুটবলারের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্যের জন্য ফৌজদারি মামলা করা হচ্ছে জন টেরির বিরুদ্ধে। ১ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চেলসি এবং ইংল্যান্ডের অধিনায়ককে। সঙ্গে সঙ্গেই এক বিবৃতিতে টেরি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্তে আমি অত্যন্ত হতাশ। আশা করি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার সুযোগ পাব।” সঙ্গে যোগ করেছেন, “কারও বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করিনি। আমি বিশ্বাস করি সমাজে বর্ণবৈষম্যের কোনও জায়গা নেই।” গত ২৩ অক্টোবর কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে ০-১ হারে চেলসি। ওই ম্যাচেই অ্যান্টন ফার্দিনান্দের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন টেরি। তার পরপরই অবশ্য টেরি জানান যে বচসা হলেও কোনও বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য তিনি করেননি।

কোচ মৃদুল
আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের ক্লাব গুয়াহাটির গ্রিন ভ্যালি স্পোর্টসের কোচ হলেন মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী রবিবার থেকে ক্লাবের দায়িত্ব নেবেন তিনি।

অন্য খেলায়
মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার শম্ভু শেঠের স্মরণসভা আজ বৃহস্পতিবার বালিতে।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.