হেস্টিংসে নির্মাণে চাই সেনার ছাড় |
এ বার থেকে হেস্টিংস এলাকায় কোনও ধরনের নির্মাণকাজের আগে সেনাবাহিনীর ছাড়পত্র নিতে হবে কলকাতা পুরসভাকে। অভিযোগ, আগে ওই এলাকায় কোনও নির্মাণের ক্ষেত্রেই সেনাবাহিনীর অনুমতি নেওয়া হয়নি। অথচ, সেনাবাহিনীর মানচিত্র অনুযায়ী হেস্টিংস অঞ্চল তাদেরই অধীনে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন, “আমাদের কাছে পরিষ্কার মানচিত্র রয়েছে। হেস্টিংস এলাকায় কোনও ধরনের নির্মাণ করতে আমাদের থেকে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ নিতে হবে। আর সেই সার্টিফিকেট নিতে হবে কলকাতা পুরসভাকেই।” কিন্তু পুরসভার কাছে এ সংক্রান্ত কোনও মানচিত্র বা নথি নেই বলে জানান ডিজি (বিল্ডিং) দেবাশিস কর। এত দিন যে সেই ছাড়পত্র নেওয়া হচ্ছিল না, তা সম্প্রতি চিঠিতে পুরসভাকে জানিয়েছে সেনা। বুধবার এ নিয়ে তড়িঘড়ি ফোর্ট উইলিয়ামে পূর্বাঞ্চলের সেনাপ্রধান বিক্রম সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, পুর-কমিশনার অর্ণব রায় ও অন্য আধিকারিকেরা। পরে অর্ণববাবু বলেন, “আগে যে সব বাড়ির পুর-অনুমতি মিলেছে, তাতে সেনা আপত্তি করবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে। নতুন নির্মাণের ক্ষেত্রে সেনার নিয়ম মেনে ওই ছাড়পত্র নেওয়া হবে। বিষয়টি রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতরকেও জানানো হয়েছে।’’
|
কথা দিয়েছিলেন, যাবেন। বলেছিলেন, “ছোটদের নিয়ে উৎসব বলেই যাব।” কিন্তু উদ্যোক্তারা জানতেন যে সদ্য মাতৃহারা মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে উঠবেন না, বক্তৃতাও করবেন না। প্রথম কলকাতা আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগাগোড়াই ছিলেন দর্শকাসনে। মায়ের মৃত্যুর পরে এ দিনই প্রথম তিনি মহাকরণে যান। পরে সন্ধ্যায় যান নন্দনের ওই অনুষ্ঠানে। এ দিন উৎসবের উদ্বোধন করে শিশু অভিনেতা পার্থ গুপ্তে। ছিলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক অমল গুপ্তে, সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, তথ্য ও সংস্কৃতি সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী প্রমুখ। শীর্ষেন্দুবাবু বলেন, “চলচ্চিত্র জগতের খবর আমি খুব বেশি রাখি না। অবাক হলাম যখন জানলাম, ছোটদের এমন চলচ্চিত্র উৎসব আগে হয়নি। কেন হয়নি, সেটাই বিস্ময়ের।” উৎসব চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। শহরের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হবে ছোটদের জন্য দেশ-বিদেশের বেশ কিছু ছবি।
|
গড়িয়ার কে কে দাস কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন স্থগিত করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই নিয়ে গত ১৫ দিনের মধ্যে বিচারপতি তপেন সেন রাজ্যের চারটি কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন স্থগিত করলেন। সব ক্ষেত্রেই কিছু ছাত্র মামলা করে জানিয়েছিলেন, তাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। বুধবার ছাত্রদের পক্ষে আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ১৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। কলেজের পক্ষ থেকেও তাদের অসহায়তার কথা জানানো হয়। বিচারপতি জানান, চুড়াম্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত থাকবে।
|
পথ-দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই যুবকের। মঙ্গলবার, বিধানননগর দক্ষিণ থানার সুকান্তনগরের কাছে রাজারহাট এক্সপ্রেসওয়েতে। মৃতদের নাম রশিদ হরলালকা (২০) এবং হরশিদ জৈন (২১)। পুলিশ জানায়, দু’জনেই তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পতালুকের কর্মী ছিলেন। ওই রাতে মোটরবাইকে রেষারেষি করছিলেন তাঁরা। একটি লরির সঙ্গে তাঁদের ধাক্কা লাগে। নার্সিংহোমে রশিদ ও হরশিদকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মোটরবাইক দু’টি উদ্ধার হয়েছে।
|
ব্যাঙ্ক থেকে তুলে আনা টাকা ছিনতাই হল মাঝপথেই। বুধবার, লেকটাউনে। পুলিশ জানায়, পাতিপুকুরের বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ রায় দুপুরে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে ফিরছিলেন। এস কে দেব রোডে একটি মোটরবাইকের ধাক্কায় তিনি পড়ে যান। আরোহী দুই দুষ্কৃতী তাঁর ব্যাগ নিয়ে পালায়। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “মোটরবাইকটি আমাকে ধাক্কা দিতেই ব্যাগটা পড়ে যায়। আরোহী দু’জন সেটি ছিনিয়ে পালায়।” রবীন্দ্রনাথবাবু জানান, ব্যাগে ১৫ হাজার টাকা, চেকবই ও প্যান কার্ড ছিল।
|
মানিকতলা থানার একটি আবাসনে নিজের ফ্ল্যাটে এক যুবক ইঞ্জিনিয়ারের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম ইন্দ্রনীল সাহা (২৮)। ইন্দ্রনীল কিছু দিন ধরে কর্মহীন ছিলেন। ওই যুবকের পরিজনেরা পুলিশকে জানান, চাকরি চলে যাওয়ার পর থেকে ইন্দ্রনীল মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই ফ্ল্যাটে তাঁর মৃতদেহ ছাড়াও কীটনাশকের একটি শিশি পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদেই বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ইন্দ্রনীল। |