এক মহিলা আন্দোলনকারীকে নগ্ন করে নিগ্রহের ঘটনায় প্রবল বিক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইলেন মিশরের সেনা কর্তৃপক্ষ। বুধবার সেনা-কর্তাদের তরফে ওই নিগৃহীতাকে উদ্দেশ করে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এক জন মহিলা আন্দোলনকারীর সঙ্গে কিছু সেনার এমন অশালীন ব্যবহারে তারা গভীর ভাবে দুঃখিত। ঘটনায় দোষী সেনাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এমনকী, ভাবমূর্তি বাঁচাতে মরিয়া মিশরের সেনা ওই বিবৃতি তুলে দিয়েছে তাদের ফেসবুক ‘পেজ’-এও। |
শুত্রবার কায়রোয় তাহরির স্কোয়ারে গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের দাবিতে বিক্ষোভে সামিল মামা খাদিগা নামে এক মহিলাকে রাস্তায় ফেলে নগ্ন করে মারধর করে কিছু সেনা। সংবাদমাধ্যমে সেই ছবি ও ভিডিও সামনে আসার পরেই দেশ জুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে সেনার বিরুদ্ধে। রবিবার খাদিগা জানান, নিগ্রহের পর সেনারা তাঁকে ক্যাবিনেট ভবনে আটকে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য ক্ষমা চাইতেও বাধ্য করে।
এর পরেই সোমবার মার্কিন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টন ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “আমি হতবাক! স্তম্ভিত! মিশরের বর্তমান শাসকেরা মহিলাদের সম্মানরক্ষায় ব্যর্থ। এই ঘটনা মিশরের বিপ্লবকে অসম্মান করে।” মঙ্গলবার কায়রোয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান মিশরীয় মহিলারা। হোসনি মুবারক পরবর্তী ‘মুক্ত’ মিশরে নাগরিকেরা কতটা স্বাধীন, সেই প্রশ্নও ওঠে বিভিন্ন মহলে। তার পরেই বুধবার ক্ষমা চেয়ে ওই বিবৃতি প্রকাশ করে সেনা। |