নিয়ম মেনে মেডিক্যাল বোর্ডে হাজির না-হওয়ায় প্রতিবন্ধী কোটায় নিযুক্ত কোচবিহার জেলার বিভিন্ন হাই স্কুলের ১১ জন শিক্ষককে শো-কজ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। কমিশনের উত্তরবঙ্গ আঞ্চলিক দফতর থেকে ওই শিক্ষকদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠির কপি পৌঁছেছে কোচবিহার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দফতরেও। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (উচ্চ) মহাদেব শৈব বলেন, “জেলার কয়েক জন শিক্ষককে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে শো-কজ করা হয়েছে। চিঠির কপি পেয়েছি। এক মাসের মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়েছে।’’ জেলা বিদ্যালয় শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সব স্কুলের শিক্ষকদের শোকজ করা হয়েছে তার মধ্যে কোচবিহার সদরের খাগড়াবাড়ি হরেন্দ্রচন্দ্র হাইস্কুল, আম বাড়ি ধনিরাম হাই স্কুল, পেস্টারঝাড় হাই স্কুল, কোচবিহার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, নিশিগঞ্জ নিশিময়ী হাই স্কুল, তুফানগঞ্জের অন্দরান ফুলবাড়ি হাই স্কুল ছাড়াও মেখলিগঞ্জ, হলদিবাড়ি এলাকার একাধিক স্কুল রয়েছে। কোচবিহারের সহকারি বিদ্যালয় পরিদর্শক (হেড কোয়ার্টার) দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষকে দ্রুত শো-কজের জবাব পাঠাতে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এসএসসি-র নির্দেশিত পদক্ষেপ করা হবে।’’ খাগরাবাড়ি হরেন্দ্রচন্দ্র হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক নির্মল দে বলেন, “দু’বছর আগে প্রতিবন্ধী সংরক্ষিত পদে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে এক জন যোগ দিয়েছেন। তাকে শো-কজ করা হয়েছে। তিনি কি উত্তর দেবেন সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।’’ পেস্টারঝাড় হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত দে বলেন, “স্কুলের দর্শন বিভাগের এক সহকর্মীকে শো-কজ করার কথা শুনেছি।’’ অভিযুক্ত শিক্ষক জয়ন্ত চৌধুরী বলেন, “১৮ মে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের স্পেশাল বোর্ডে উপস্থিত থাকার জন্য চিঠি পেয়েছিলাম। কিন্তু কোচবিহার জেলা স্বাস্থ্য দফতর মেডিক্যাল বোর্ডে পরীক্ষা করে ৪০ শতাংশ ‘হিয়ারিং ডিসেবিলিটির’ শংসা পত্র দিয়েছে। তাই ফের মেডিক্যাল বোর্ডে উপস্থিত থাকার নির্দেশ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পদক্ষেপ করব।’’ এসএসসি-র উদ্যোগ স্বাগত জানিয়ে তৃণমূল শিক্ষা সেলের জেলা সভাপতি নিরঞ্জন দত্ত বলেন, “বাম আমলে প্রতিবন্ধী শংসাপত্র নিয়ে অনিয়ম হয়। আমরা চাই প্রকৃত প্রতিবন্ধী যেন সুযোগ পায়। এসএসসি-র উদ্যোগ দরকার ছিল।’’ |