আন্ডারপাস দিয়ে বড় গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞার জেরে উত্তেজনা দেখা দেয় শিলিগুড়ির জাবরাভিটা এলাকায়। সোমবার ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ ট্রাক মালিক এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। পরে ওই জাবরাভিটা দিয়ে ইস্টার্ন বাইপাস যাওয়ার রাস্তায় অবরোধ শুরু হয়। বন্ধ হয়ে যায় অটো চলাচল। বিপাকে পড়েন ওই রাস্তায় যাতায়াতকারীরা। নিউ জলপাইগুড়ি পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পুলিশ কর্মীরা গিয়ে অবরোধকারীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তরফে ওই রাস্তায় বড় গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট উচ্চতার উপরে বড় গাড়ি যাতে না যেতে পারে তাই রবিবার আন্ডারপাসের মুখে লোহার ব্যারিকেড বসানো হয়। ক্ষুব্ধ ট্রাক চালকদের একাংশ রাতেই তা ভেঙে দেন বলে অভিযোগ। এর পর এ দিন সকাল থেকেই তারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “দফতরের আধিকারিকেরা বিষয়টি জানান। রাস্তাটি এসজেডিএ’র তরফে সংস্কার হচ্ছে। বড় গাড়ি চলাচল করলে রাস্তা নষ্ট হতে পারে বলে ব্যারিকেড লাগানো হয়েছিল। কেউ বা কারা তা ভেঙে দিয়েছেন। বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দেখা হবে। পুলিশকে জানানো হয়েছে। রাস্তা সংস্কারের কাজ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা দেখা হচ্ছে।” জাবরাভিটার আন্ডারপাসটি বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ট্রাক মালিক, এলাকার গাড়ির চালক এবং মালিকদের একাংশ। প্রথমে বিক্ষোভ শুরু হয়। তার পরে জাবরাভিটা দিয়ে ইস্টার্ন বাইপাস যাওয়ার রাস্তায় অবরোধ শুরু হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই রাস্তায় বিভিন্ন তেল সংস্থা, ফুড কর্পোরেশন ছাড়া বহু ছোট-বড় ট্রাক চলাচল করে। ইস্টার্ন বাইপাস দিয়ে এনজেপিতে বেশি রাত অবধি অটোও চলে। একাংশ গাড়ি চালক বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালান।সম্প্রতি স্কুলে ইউনিট টেস্ট দিতে যাওয়ার সময় ট্রাক চাপা পড়ে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। ট্রাকটি ভাঙচুরও হয়। ট্রাফিক পুলিশের নজরদারি বাড়ানোর দাবি উঠলেও তা হয়নি। এদিন ওই রাস্তায় চলাচলকারী সমস্ত গাড়ির চালকেরা নিয়ম মেনে গাড়ি চালাবেন বলে পুলিশকে আশ্বস্ত করেছেন। |