তৃণমূল নেতাদের একাংশের মদতে এনজেপি এলাকায় সিন্ডিকেট চলছে বলে অভিযোগ জানিয়ে উত্তরবঙ্গের আইজিকে স্মারকলিপি দিল জেলা যুব কংগ্রেস। সোমবার ফ্যাক্সের মাধ্যমে স্মারকলিপি পাঠানো হয়। গত শুক্রবার বিহারের বাসিন্দা ধ্রুব যাদব নামে এক ঠিকাদার অভিযোগ দায়ের করে জানান, এনজেপিতে রেলের কাজ শুরুর পরে তাঁর কাছে ২ লক্ষ টাকা দাবি করেন তৃণমূল নেতা বিজন নন্দী ও তার সঙ্গীরা। টাকা দিতে না চাওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয় এবং মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। সেদিনই যুব কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি লোকসভা কমিটির সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় ওই ঠিকাদারকে সঙ্গে নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের দফতরে গিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার দাবি জানান। এ দিন আইজিকে স্মারকলিপি পাঠিয়ে যুব কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়, তৃণমূল নেতা বিজনবাবু এবং তাঁর ভাই শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের তৃণমূল কাউন্সিলর জয়দীপবাবুর মদতেই এনজেপি এলাকায় অবৈধ কাজকর্ম চলছে। তেল চুরি থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারের থেকে মোটা টাকা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এনজেপি এলাকায় ‘সিন্ডিকেট রাজ’ গড়ে উঠেছে বলে আইজিকে অভিযোগ করেছে যুব কংগ্রেস। আইজিকে স্মারকলিপি দেওয়ার পাশাপাশি যুব কংগ্রেসের তরফে পথে নেমে আন্দোলনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সংগঠনের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এনজেপিতে রাজনৈতিক দুবৃর্ত্তায়ন শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতা বিজন নন্দী ঠিকাদারের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তোলা দাবি করছেন। তাঁর ভাই কাউন্সিলর জয়দীপ নন্দী অবৈধ কাজে মদত দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীকেও সব জানানো হবে।” এই অভিযোগ ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ মনে করছেন তৃণমূল কাউন্সিলর জয়দীপ নন্দী। তিনি বলেন, “এখন তৃণমূলের নেতৃত্বে এনজেপিতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরেছে। শ্রমিকেরা কাজ পাচ্ছেন। সে কারণেই সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কংগ্রেসের একটি মহল থেকে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।” তিনি বাবু বলেন, “উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব যখন উন্নয়নের চেষ্টা করছেন, সৈকতবাবু কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।” |