জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া তিস্তা সেতুতে সোমবার সকালে গাড়ির ধাক্কায় এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, মৃতের নাম নিরঞ্জন সরকার (৫৫)। এ দিন সকালে তিনি দোমহনী থেকে সাইকেলে জলপাইগুড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তিস্তা সেতুর মাঝামাঝি এলাকায় গর্তে চাকা পড়ে যাওয়ায় নিরঞ্জনবাবু সাইকেল নিয়ে উল্টে পড়ে যান। সেই সময়ে একটি পণ্যবাহী ট্রাক তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। খানাখন্দে ভরা তিস্তা সেতুর বেহাল দশার কারণেই এই দুর্ঘটনা হয়েছে বলে অভিযোগ করে স্থানীয় বাসিন্দারা তিস্তা সেতু অবরোধ করেন। সকাল সাতটা থেকে প্রায় সাড়ে দশটা পর্যন্ত অবরোধ চলায় ৩১ ডি জাতীয় সড়কে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে তিস্তা সেতু দিয়ে যাতায়াতকারী একাংশ নিত্যযাত্রী এবং বাসের কর্মীরাও ওই অবরোধে যোগ দেন। পরে ময়নাগুড়ি থানা থেকে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ সরিয়ে নিয়ে যায়। অবরোধও সরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার খবর পেয়ে জলপাইগুড়ি থেকে তৃণমূল নেতারাও ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। |
সেতু মেরামতি নিয়ে দীর্ঘসূত্রতার অভিযোগ করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। তৃণমূলের জেলার মহাসচিব তথা শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য চন্দন ভৌমিক বলেন, “এত গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতু মেরামতিতে কেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ নজর দিচ্ছেন না সেটা ভেবেই অবাক হয়ে যাচ্ছি। কর্তৃপক্ষের শিলিগুড়ি দফতর কার্যত অচল হয়ে রয়েছে। সেতু মেরামতির কোনও বিষয়ই তাঁরা নজরদারি করছেন না। আগামী বৃহস্পতিবার দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে ফের আলোচনায় বসা হবে।” দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশায় থাকা তিস্তা সেতু মেরামতির কাজ শুরু হলেও তা ঢিমেতালে চলছে বলে অভিযোগ করে এদিন বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীরা। তিস্তা সেতুর বেহাল দশার কারণেই এ দিনের দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তাঁরা। এলাকার ব্যবসায়ী সুরেন রায় বলেন, “সারা সেতুই খানা খন্দে ভরা। গর্তে চাকা আটকে গিয়েই সাইকেল আরোহী পড়ে যান। সে সময়েই তাকে একটি বড় গাড়ি এসে পিষে দেয়। তিস্তা সেতুতে যে গতিতে মেরামতির কাজ চলছে তাতে এমন দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েইছে।” এদিন দুর্ঘটনা ও তার পরে যানজটের কারণে অসমগামী বহু দূরপাল্লার বাস আটকে যায়। |