প্রায় দেড় বছরের টানাপোড়েন শেষ। আজ, মঙ্গলবার থেকে জঙ্গলমহলে আবার রাতে ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করছে রেল। তবে এ বারেও যাত্রীদের আগাম জানানোর ব্যবস্থা হয়নি।
জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে নাশকতার পরে থেকে কমবেশি দেড় বছর রাতের ট্রেন বন্ধ আছে জঙ্গলমহলে। গত সপ্তাহে যাত্রীদের না-জানিয়েই ফের রাতে ট্রেন চালাতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন রেল-কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন মহল এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করায় সেই সময় সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দিয়েছিল রেল। কিন্তু ফের কাউকে না-জানিয়ে, কার্যত বিনা নোটিসেই আবার রাতে ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রেল বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী আপাতত খড়্গপুর থেকে আদ্রা পর্যন্ত রাতে ট্রেন চালানো হবে। চক্রধরপুর থেকে রৌরকেলা পর্যন্তও চালানো হবে রাতের ট্রেন। কিন্তু মূল সেকশনটি অর্থাৎ খড়্গপুর থেকে টাটানগর পর্যন্ত ট্রেন আপাতত বন্ধই থাকছে। কেন? দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সৌমিত্র মজুমদার বলেন, “আপাতত দু’টি সেকশনে ট্রেন চালানো হলেও খড়্গপুর-টাটানগর পর্যন্ত রাতে ট্রেন চালানোর এখনও কোনও নির্দেশ আসেনি।” দু’টি সেকশনে রাতে আপাতত দু’তিনটি প্যাসেঞ্জার এবং একটি এক্সপ্রেস ট্রেন চলবে। খড়্গপুর থেকে আদ্রা পর্যন্ত রাতে ট্রেন চলাচল শুরু হলে লোকমান্য টিলক এক্সপ্রেস চক্রধরপুরে সারা রাত দাঁড়িয়ে না-থেকে চলে যাবে। চালু হবে ৩১৫ আপ আদ্রা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিও।
ট্রেন চালানোর কথা যাত্রীদের আগাম জানানো হচ্ছে না কেন?
এ ব্যাপারে নিরাপত্তার দোহাই দিচ্ছেন রেলকর্তারা। কিন্তু যাত্রীদের প্রশ্ন, একটি ট্রেন লাইন দিয়ে চালানো হলে সবাই দেখতেই পাবেন। এটা কী ভাবে ঢেকে রাখা যাবে? রেলকর্তাদের তরফে এই প্রশ্নের জবাব মেলেনি। রেলের নিয়মে ট্রেনের যে-কোনও সময় পরিবর্তন করতে হলে আগামী নোটিস দিয়ে যাত্রীদের জানাতে হবে। তা সে যে-ভাবেই হোক না কেন। কারণ, যাত্রীরা ট্রেন চড়েন টাকা দিয়ে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেটা করা হল না কেন?
এই ব্যাপারেও রেলের কোনও কর্তা মন্তব্য করতে চাননি। |