টুকরো খবর |
অর্থের অভাবে এখন নতুন সড়ক নয় রাজ্যে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের বেহাল রাস্তাঘাট মেরামতির কাজে উদ্যোগী হলেও নতুন সড়ক নির্মাণে এখনই হাত দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। সোমবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বিদায়ী পূর্তমন্ত্রী সুব্রত বক্সির জবাবে তা স্পষ্ট। এ দিন প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র জানতে চান, গত ছ’মাসে রাজ্যে মোট কত কিমি নতুন রাস্তা হয়েছে ও বেহাল রাস্তা মেরামতির জন্য সরকার কী পদক্ষেপ করেছে। মন্ত্রী সুব্রতবাবু সাফ বলেন, “বেহাল আর্থিক পরিস্থিতির জন্য নতুন রাস্তা তৈরিতে সরকার উদ্যোগী হতে পারেনি। দ্রুততার সঙ্গে জেলা ধরে বেহাল রাস্তাগুলির খানাখন্দ মেরামতির কাজ চলছে। এ বাবদ ৬৭ কোটি ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।” বিভিন্ন বিধায়কের অতিরিক্ত প্রশ্নের জবাবে সুব্রতবাবু জানান, দমদম থেকে ডালখোলা যাওয়ার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, জয়রামবাটি থেকে কোতুলপুর যাওয়ার রাস্তা বা দিল্লি রোডের মতো রাস্তাতেও খানাখন্দ বোজানোর কাজ চলছে। মেরামতি হচ্ছে তিস্তা সেতু। তবে অর্থাভাবে জলঢাকা সেতুর মেরামতির কাজ শুরু করা যায়নি বলে জানান মন্ত্রী। রাজ্যের পিছিয়ে পড়া ১১জেলায় পথ-ঘাট উন্নয়নে অর্থ অনুমোদনের জন্য রাজ্যের তরফে কেন্দ্রকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়ে সুব্রতবাবু বলেন, “কেন্দ্রের কাছে পৌনে ৮ হাজার কোটি টাকা অনুদানের আবেদন জানানো হয়েছে। টাকা আসেনি। টাকা এলে জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ-উত্তর দিনাজপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া-সহ ১১টি পিছিয়ে পড়া জেলার জন্য ১২৭৬ কোটি টাকার কাজ শুরু হবে।” নলহাটির কংগ্রেস বিধায়ক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার আওতায় থাকা রাস্তাগুলি তৈরির ২-৩ বছরের মধ্যে খারাপ হয়। সংরক্ষণের জন্য রাস্তাগুলি পূর্ত দফতরের হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে কি না? সুব্রতবাবু বলেন, “কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এই খাতে কেন্দ্র অর্থ বরাদ্দ করলে কাজটা করা যাবে।”
|
মন্ত্রীদের ভাতা বৃদ্ধির বিল পাশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মন্ত্রীদের ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সটি বিল আকারে সোমবার পাশ হয়ে গেল বিধানসভায়। ছুটির দিন ও নির্বাচনী প্রচার বাদ দিয়ে যে কোনও সরকারি কাজে অংশ নিলেই মন্ত্রীদের দিন প্রতি ১ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল স্যালারিজ অ্যান্ড অ্যালাওন্সেস (অ্যামেন্ডমেন্ট), ২০১১’ বিলে। বিরোধীশূন্য সভায় (বিল নিয়ে আলোচনার আগেই ওয়াকআউট করেছিলেন বিরোধীরা) অবশ্য এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন এসইউসি-র একমাত্র বিধায়ক তরুণ নস্কর। মন্ত্রীদের ভাতাবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের দিন থেকেই এর বিরোধিতা করেছে এসইউসি। এ দিন তিনি বলেন, “জনসেবার কাজে এসেছি। রাজ্যের আর্থিক দেউলিয়ার কথা বলছি, অথচ নিজেদের ভাতা বাড়াতে বিধানসভায় মন্ত্রী-বিধায়কেরা আলোচনা করছেন। মানুষ এটা ভাল ভাবে নেবে না।” পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিলটি পুনর্বিবেচনার অর্জি জানান তরুণবাবু। তরুণবাবুর ‘আর্জি’ খারিজ করে পার্থবাবুর যুক্তি, “রাজ্যের আর্থিক অবস্থার হাল মন্ত্রী বা বিধায়কদের ভাতা বাড়ানোর জন্য হয়নি। এ রাজ্যের জনপ্রতিনিধিরা যে জীবনযাপন করেন, তা বিশ্বে নজির।” অন্য রাজ্যের তুলনায় এ রাজ্যে মন্ত্রীদের ভাতা বৃদ্ধি সামান্য বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, “মন্ত্রীদের আর্থিক সাহায্য করে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে সরকার।”
|
তৃণমূলের রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনে ভাঙন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কর্মীদের স্বার্থে কোনও আন্দোলন করা যাচ্ছে না, এই অভিযোগ জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন ছাড়লেন তাদেরই সাধারণ সম্পাদক সঙ্কেত চক্রবর্তী। তৃণমূলের সংগঠন ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি-র সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ-এ যোগ দেওয়ার কথা সোমবার ঘোষণা করেন তিনি। আইএনটিইউসি-র সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামান কামার জানিয়েছেন, সঙ্কেতের নেতৃত্বেই সচিবালয়ের কর্মীদের নিয়ে আইএনটিইউসি-র নতুন সংগঠন গড়ে তোলা হবে। এ দিন মহাকরণে তৃণমূলের সংগঠন ছাড়ার কথা ঘোষণা করে সঙ্কেত বলেন, “সিপিএমের আমলে তাদের কর্মী সংগঠন কর্মচারীদের স্বার্থের কথা না ভেবে সরকারকে অন্ধ সমর্থন জানাত। পরিবর্তনের পরে তৃণমূলের সংগঠনও একই কাজ করছে। কিন্তু আমরা কর্মচারীদের স্বার্থে আন্দোলন সংগঠিত করতে চাই।” সঙ্কেত দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে ওই সংগঠনের প্রায় সাড়ে তিনশো সদস্যও সংগঠন ছেড়েছেন। তৃণমূলের সংগঠনের তরফে সঞ্জীব পাল অবশ্য দাবি করেছেন, দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে সঙ্কেতকে শো-কজ করা হয়েছিল। সে কারণেই তিনি দল ছেড়েছেন।
|
আট হাজার মামলা ঝুলে আছে স্যাটে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (স্যাট)-এ এই মুহূর্তে আট হাজার মামলা ঝুলে আছে বলে সোমবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে জানালেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। সরকারি কর্মীরা চাকরির ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার পাননি বলে যদি মনে করেন, তা হলে ওই ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হন। আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এ দিন আরও জানিয়েছেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬০০ নতুন মামলা ওই ট্রাইব্যুনালে রুজু হয়েছে। কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো এ দিন বিধানসভায় আইনমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, স্যাটে বহু বিচারক বা সদস্যের পদ শূন্য আছে কিনা এবং থাকলে তার সমাধানে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করেছে। জবাবে মলয়বাবু বলেন, “দু’টি শূন্য পদ আছে। ভারত সরকারকে ওই পদ দু’টি পূরণে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।” ওই বিষয়ে বলতে গিয়েই মলয়বাবু স্যাটে ঝুলে থাকা এবং নতুন রুজু হওয়া মামলার পরিসংখ্যান দেন।
|
রাজনৈতিক বন্দির নতুন তালিকা তলব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের বিভিন্ন জেলে থাকা রাজনৈতিক বন্দির দ্বিতীয় তালিকা চাইল বন্দি মুক্তি পর্যালোচনা কমিটি। ওই তালিকা নিয়ে কমিটির সদস্যেরা ৯ জানুয়ারি আবার বৈঠকে বসবেন। এ বারের তালিকা তৈরির বিষয়টি দেখার জন্য রাজ্যের বিচার বিভাগীয় সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে বন্দি মুক্তি কমিটির চেয়ারম্যান মলয় সেনগুপ্ত সোমবার মহাকরণে জানান। কমিটি সূত্রের খবর, রাজনৈতিক বন্দিদের মামলার বিষয়গুলিও ওই বৈঠকে যাচাই করা হবে। এর আগে ৭৮ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য রাজ্যর কাছে সুপারিশ করা হয়। কেএলও, কামতাপুরী, গ্রেটার কোচবিহার ইত্যাদি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ৫০ জন বন্দির মুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে। ২৮ জন মাওবাদী বন্দির বিষয়ে আলোচনা চলছে।
|
মমতার বৈঠক ২৩শে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও উন্নয়নের কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের বৈঠকে ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা ছিল, আজ, মঙ্গলবার টাউন হলে ওই বৈঠক হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর মায়ের প্রয়াণে বৈঠকের দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে, ২৩ ডিসেম্বর টাউন হলেই বৈঠকটি হবে বেলা ১টায়। মগরাহাটের বিষমদ-কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ঠিক হয়েছে, ওই বৈঠকে আবগারি দফতরের সচিব এবং কমিশনারও থাকবেন। জেলায় জেলায় বেআইনি চোলাইয়ের ঠেক ভাঙতে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে সোমবার মহাকরণ সূত্রে জানা গিয়েছে। |
|