ডায়মন্ড হারবার মহকুমার সংগ্রামপুরে চোলাই কাণ্ডে শতাধিক মৃত্যুর পরেও জেলার অন্যান্য জায়গায় অনায়াসে চলছে চোলাইয়ের ভাটি, ঠেক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবায় প্রকাশ্যে চলছে চোলাইয়ের ঠেক। বিভিন্ন ভাটিতে চলছে চোলাই তৈরি। যদিও ইতিমধ্যেই আবহারি দফতর এবং পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি চোলাইয়ের ঠেক, ভাটি ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু তার পরেও ক্যানিং মহকুমার বহু জায়গাতেই চোলাই তৈরি হচ্ছে। চলছে চোলাইয়ের ঠেক। কয়েকটি জায়গায় আবার পুরুশদের পাশাপাশি মহিলাদেরও দেখা গিয়েছে চোলাইয়ের ঠেক চালাতে। |
ক্যানিং বাজার লাগোয়া এলাকায় স্পোর্টস কংপ্লেক্সে চলছে চোলাই মদের ঠেক। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, বাজারের কাছে জনবহুল জায়গায় যে ভাবে চোলাইয়ের টেক চলছে তা আশ্চর্যের। তাঁরা সরাসরি অভিযোগ করেছেন পুলিশের বিরুদ্ধে। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশের চোখের সামনেই এ সব চলছে অথচ প্রশাসনের কোনও হুঁশই নেই। থানা, মহকুমাশাসকের দফতর থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে চোলাইয়ের ঠেক গজিয়ে উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সংগ্রামপুরে বিষমদ কাণ্ডের পরে চোলাই বিক্রির পদ্ধতি বদলে ফেলেছে চোলাই বিক্রেতারা। চোলাইয়ের ঠেক থেকে বিক্রির বদলে ঘুরে ঘুরে ব্যাগে করে বিক্রি হচ্ছে চোলাই। কখনও কখনও আগে থেকে বলা নিদির্ষ্ট স্থানে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ক্যানিংয়ের নিকারিঘাটা, গোলাবাড়ি, মৌখালি, বাসন্তীর নফরগঞ্জ, মসজিদবাটি, ঘুটিয়ারিশরিফ এলাকায় রমরমিয়ে চলছে চোলাইয়ের ব্যবসা। কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে চোলাইয়ের ভাটি, ঠেক বন্ধ করে দেওয়া হলেও ফের তা গজিয়ে উঠেছে। |