|
|
|
|
স্কুলভোটেও তৃণমূলের গোষ্ঠী-লড়াই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কেশপুর হাইস্কুলের (বালক) পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনেও লড়াই বাধল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর। রবিবার এই স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন ছিল। তৃণমূলের ‘সরকারি’ ও ‘বিক্ষুব্ধ’---দুই গোষ্ঠীই আলাদা ভাবে প্রার্থী দিয়েছিল। ভোট ঘিরে ছিল উত্তেজনাও। দু’পক্ষের কর্মী-সমর্থকেরা স্কুল-চত্বরে ভিড় করেছিলেন। অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশও। রাত পর্যন্ত চলে ভোট-গণনা। শেষমেশ ফল বেরোনোর পর দেখা যায়, ৬টি আসনের সবক’টিতেই ‘সরকারি’ গোষ্ঠীর প্রার্থীরাই জিতেছেন। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য প্রকাশ্যে এটাকে গোষ্ঠী-লড়াই বলতে নারাজ। দলের ব্লক সভাপতি আশিস প্রামাণিকের বক্তব্য, “আমাদের দলের সমর্থনে ৬ জন প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁরাই জিতেছেন। অন্য যাঁরা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, তাঁরা দলের কেউ নন। সিপিএম-কংগ্রেসের মদতে প্রার্থী হয়েছিলেন।” কেশপুরের মতো এলাকায় সিপিএম এখন কি আর সক্রিয়? ব্লক সভাপতির জবাব, “ওদের কিছু কর্মী-সমর্থক এলাকায় থেকে এখনও অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।”
তবে স্থানীয় সূত্রের বক্তব্য, কেশপুরে এখন তৃণমূলের তিনটি গোষ্ঠী। একটি গোষ্ঠী পূর্বতন ব্লক সভাপতি চিত্ত গরাইয়ের। আরেকটি গোষ্ঠী বর্তমান ব্লক সভাপতি আশিস প্রামাণিকের। এ বাদেও আরেকটি গোষ্ঠী রয়েছে, যারা এই দু’পক্ষের কারওরই অনুগামী নয়। ওই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছেন নেপাল ঘোষ, মীর আরশেদ আলি, গোলাম মোর্তাজা ও শেখ মইনুদ্দিন। ক’দিন আগে এঁদের নেতৃত্বেই কেশপুরে তৃণমূলের ‘সন্ত্রাস-তোলাবাজি’র বিরুদ্ধে মিছিলও হয়েছে। ওই মিছিলের পরে দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে চার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও আবেদন জানিয়েছিলেন ব্লক সভাপতি আশিসবাবু। এখনও অবশ্য রাজ্য নেতৃত্ব কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। এরই মধ্যে ওই গোষ্ঠীর লোকজনই স্কুলভোটে আশিসবাবু-চিত্তবাবু সমর্থিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ফের লড়াইয়ে নেমেছিলেন। এ দফায় অবশ্য তাদের খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে। |
|
|
|
|
|