|
|
|
|
স্কুল-ভোটে সিপিএমের জয় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের ‘হাওয়া’র মধ্যেই পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশ কিছু স্কুলে পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে জয়ী হলেন বামফ্রন্টের প্রার্থীরা।
রবিবার তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর ব্লকের গোপীনাথপুর হাইস্কুলে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ৬টি আসনেই গড়ে শতাধিক ভোটের ব্যবধানে জেতেন বাম সমর্থিত প্রার্থীরা। গত দেড় বছর ওই স্কুলে প্রশাসক থাকলেও তার আগে পরিচালন সমিতি তৃণমূলের দখলে ছিল। এ বার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী প্রতিনিধির ৪টি আসনেও তৃণমূলকে হারিয়ে জিতেছেন বাম সমর্থিত প্রার্থীরা। নন্দীগ্রাম লাগোয়া চণ্ডীপুরের এই স্কুলে শোচনীয় ফলাফল নিয়ে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন বলেন, “অতিরিক্ত আত্মতুষ্টির কারণে সাংগঠনিক দুর্বলতা তৈরি হয়েছিল। হারের কারণ পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।” আর সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিরঞ্জন সিহির বক্তব্য, “শাসকদলের ভূমিকায় সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।”
পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি দাসপুরেও একই অবস্থা। রবিবার দাসপুরের শিরকা হাইস্কুল, পাবর্তীপুর হাইস্কুল ও কলড়া হাইস্কুলে পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন হয়। শিরকা ও পার্বতীপুর হাইস্কুলে বাম সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। স্কুল দু’টি অবশ্য আগে সিপিএমের দখলেই ছিল। কলড়া হাইস্কুল সিপিএমের দখলে থাকলেও ছ’টি আসনেই জিতেছেন তৃণমূল সমর্থিতেরা। গত বিধানসভা নির্বাচনে দাসপুরে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী অজিত ভুঁইয়া। দাসপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে। এমনকী শিরকা পঞ্চায়েতও তৃণমূল পরিচালিত। তারপরেও স্কুলভোটের এই ফলাফলে অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূল শিবিরে।
এ দিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর ও ভগবানপুরের পাঁচটি স্কুলের মধ্যে চারটিতে জয়ী হলেও একটিতে ক্ষমতা হারিয়েছে তৃণমূল। পটাশপুরের কানপুর শ্রীগুরু শিক্ষা নিকেতনের ছ’টি আসনেই জিতে ক্ষমতা দখলে রেখেছে তৃণমূল। বারবাটিয়া হাইস্কুলে ৪-২ আসনে বামেদের হারিয়েছে তারা। ভগবানপুরের গুড়গ্রাম হাইস্কুল ও ভীমেশ্বরী উচ্চ শিক্ষায়াতনেও সব ক’টি আসনেই জিতে পুনরায় ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল। অন্য দিকে, গোপীনাথপুর হাইস্কুলে ছ’টি আসনেই জিতেছেন বাম প্রতিনিধিরা। গত বার এই স্কুলে পরিচালন সমিতির ক্ষমতায় ছিল তৃণমূল। পরিচালন সমিতির সম্পাদকের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি ও তছরুপের অভিযোগকে কেন্দ্র করে গত দু’বছর ধরে এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়ছিল। তারই পরিণতিতে এই হার বলে মেনে নিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবার হলদিয়ার কুমারপুর হাই মাদ্রাসায় পরিচালন সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা ছিল যথেষ্ট। ছ’টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস, তৃণমূল ও সিপিএম। এ ছাড়াও পিডিসিআই তিনটি আসনে প্রার্থী দেয়। তবে সব ক’টি আসনেই জিতেছেন তৃণমূল সমর্থিতেরা। |
|
|
|
|
|