সালগাওকর ম্যাচের তিন দিন আগে দুই ফুটবলার সুনীল ছেত্রী এবং ড্যানিয়েল জিলেনিকে নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়ে গেল মোহনবাগানে।
জাতীয় দলের হয়ে খেলার পরেই চোটের ধাক্কায় দেড় মাসের জন্য সুনীল মাঠের বাইরে চলে যাওয়ায় ফেডারেশনের সঙ্গে লড়াই শুরু করে দিল ক্ষুব্ধ বাগান কর্তারা। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডার ড্যানিয়েলকে আর চাইছেন না সুব্রত ভট্টাচার্য। সোমবার মোহন টিডি সরাসরি বলেন, “ড্যানিয়েল কোনও ফুটবলারই নয়। টিমের কোনও কাজে লাগবে না। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের কথা ভেবে তখন তড়িঘড়ি নিয়েছিলাম। ওকে নিয়ে ভুল করেছি। ওর বদলে ভাল কাউকে নেওয়ার জন্য কর্তাদের বলব।”
শহরে এ দিন পা রাখা করিম বেঞ্চারিফার দলের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে সবুজ-মেরুনে সামান্য হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছে হোসে ব্যারেটো, হাদসন, লিমা, অসীম বিশ্বাসের মতো ফুটবলারদের চোট সারিয়ে টিমে ফেরা। কিন্তু দেশের হয়ে খেলতে গিয়ে সুনীলের ক্লাব টিমের বাইরে চলে যাওয়াকে মেনে নিতে পারছেন না মোহন কর্তারা। এ দিনই তাঁরা কড়া চিঠি পাঠালেন ফেডারেশনকে। সচিব অঞ্জন মিত্র বললেন, “ব্যারেটো-ওডাফাদের চোট থাকলে আমরা কখনও খেলাই না। তাদের বড় ক্ষতি আটকাতে। তা হলে চোট থাকা সত্ত্বেও সুনীলকে কেন সাফ কাপের ফাইনালে খেলানো হল? কেন ওকে আই লিগের অনেক ম্যাচ থেকে এ ভাবে সরিয়ে দেওয়া হল? ফেডারেশনের কাছে আমরা এর জবাব চাইছি।”
ক্লাব সূত্রের খবর, দেড় মাসেরও বেশি সময় সুনীলকে পাবে না মোহনবাগান। জাতীয় সেরা স্ট্রাইকারকে নিতে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে সবুজ-মেরুনের। অথচ আই লিগের অর্ধেক ম্যাচেই পাওয়া যাবে না তাঁকে। শোনা যাচ্ছে, সুনীলের মাঠের বাইরে থাকার সময়ের মাইনে ফেডারেশনের কাছে দাবি করবে মোহনবাগান।
যুবভারতীতে সালগাওকরের প্র্যক্টিস করা নিয়েও ঝামেলা। নিয়ম মতো তাদের এ বার স্টেডিয়াম পাওয়ার কথা নয়। ম্যাচের উদ্যোক্তা মোহনবাগান মাঠ দিতে নারাজ। করিম চেষ্টা চালাচ্ছেন, মঙ্গলবার অন্তত এক ঘণ্টা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে। |