সেরা ক্লাব, সেরা ফুটবলারদের আইএফএ পুরস্কার দিল একটি ম্যাড়ম্যাড়ে অনুষ্ঠানে। টাউন হলের অনুষ্ঠানে ছিল না কোনও চমক। দুই প্রাক্তন ফুটবলার এবং সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা দলের সব সদস্যকে দেওয়া হল সংবর্ধনা।
মঞ্চে কৃত্রিম ধোঁয়া, শিলিং-এ লেজারের আঁকিবুকি, কৌশিক ভট্টাচার্যের সুন্দর উপস্থাপনা ছিল। কয়েক মাস আগে ভারতের ফুটবলারদের অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানে অন্য খেলার তারকাদেরও দেখা গিয়েছিল। সে রকম কেউ তো নয়ই এমনকী বর্তমানের কোনও তারকা ফুটবলারকেও দেখা গেল না।
ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র এবং আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় একই মঞ্চে পাশাপাশি। কিন্তু রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়াম আইএফএ-র পাওয়ার ব্যাপারে মিলল না কোনও প্রতিশ্রুতি। |
অনুষ্ঠানের তিন আলো: বাঁ দিক থেকে অশোক চট্টোপাধ্যায়,
সাব্বির আলি, পরিমল দে। সোমবার টাউন হলে। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস |
বর্ষসেরাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা দলের প্রায় সব ফুটবলারের উপস্থিতি। যাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হল ২৯ হাজার টাকার চেক। কোচ সাব্বির আলি, গোলকিপার কোচ দেবাশিস মুখোপাধ্যায়, ফিজিও সমীর চক্রবর্তীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হল প্রাক্তন ফুটবলার পরিমল দে এবং অশোক চট্টোপাধ্যায়কে। এক লক্ষ করে টাকাও দেওয়া হয় তাঁদের। সংবর্ধনা পেয়ে আপ্লুত ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করতে থাকা অশোক চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “হয়তো এই সংবর্ধনা পাওয়ার জন্যই বেঁচে আছি। আগে তো এ রকম কখনও পাইনি।”
গত মরসুমের কলকাতা লিগ জয়ী ইস্টবেঙ্গলের জন্য ছিল দশ লক্ষ টাকার চেক। যা নিতে এসেছিলেন দলের ম্যানেজার স্বপন বল। রানার্স মোহনবাগানের সাড়ে সাত লক্ষের চেকটি নিলেন ফুটবল সচিব উত্তম সাহা। লিগের বিভিন্ন পজিশনের জন্য বরাদ্দ পুরস্কার নিতে রেলওয়ে এফসি, জর্জ টেলিগ্রাফ, টালিগঞ্জ অগ্রগামী, পোর্ট ট্রাস্ট, এরিয়ান ক্লাবের কোনও কর্তাই এলেন না।
অনুষ্ঠান শেষে ক্রীড়ামন্ত্রী বললেন, “রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামের দায়িত্ব সরকারেরই ক্রীড়া দপ্তর থেকে কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্টের হাতে দেওয়া হয়েছে। ওটা আইএফএ-র নিজস্ব মাঠ ছিল না। তবে সরকার সবুজ ধ্বংস করে শপিং মল বানাবে না।” তবে মাঠ ব্যবহারের জন্য আইএফএ-কে কেআইটি-র সঙ্গে কথা বলতে হবে। |