|
|
|
|
আশ্রমের ৯ শিশুকে নিয়ে উদ্বেগে পরিজন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শালবনির এক আদিবাসী আশ্রমের ৯ শিশুকে নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। মাস তিনেক হল ওই আশ্রমে ৯ শিশুর খোঁজ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তাদের অভিভাবকেরা। ছেলেমেয়েদের সঙ্গে দেখা করানোর আর্জি নিয়ে আগেই জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। জেলাশাসক আশ্বাস দিয়েছিলেন, দেখা করানোর ব্যবস্থা কর হবে। কিন্তু, সেই ব্যবস্থা হয়নি। ফলে, ওই ৯ শিশুর অভিভাবকদের মধ্যে নানা রকম আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের অবশ্য দাবি, আশঙ্কার কিছু নেই। ৯ শিশু এখন রয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার এক আশ্রমে। খুব শীঘ্রই তাদের অভিভাবকদের সেখানে নিয়ে গিয়ে ছেলেমেয়েদের সঙ্গে দেখা করানো হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত বলেন, “অভিভাবকদের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ওই আশ্রমে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।”
শালবনির পাথর কুমকুমি এলাকার গোয়ালডিহিতে ‘চুনী কোটাল আদর্শ আদিবাসী আশ্রম ও হস্টেল’-এ ২৩৮ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এদের বেশির ভাগই জঙ্গলমহল এলাকার। অভিযোগ, এই আশ্রমেই ভর্তি করানো হয়েছিল ওই ৯ শিশুকে। শুরুতে অভিভাবকদের সঙ্গে তাদের নিয়মিত দেখাও হত। কিন্তু, ৩ মাস ধরে গৌরাঙ্গ নায়েক-সহ ৯ শিশুর দেখা পাচ্ছেন না তাদের অভিভাবকেরা। গৌরাঙ্গর বাবা শ্রীমন্তবাবু বলেন, “ছেলে কোথায় আছে তা-ই জানি না। ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ৭ মাস আগে গোয়ালডিহির ওই আশ্রমে ভর্তি করি। শুরুতে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে যেতাম। কিন্তু, পুজোর আগে থেকেই আর দেখা পাচ্ছি না। ওখানে গেলেই বলা হচ্ছে, অন্য আশ্রমে আছে।” তাঁর কথায়, “ছেলেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার আগে আমাদের কাছে কিছু জানতে চাওয়া হয়নি। জানানোও হয়নি। ছেলে ভাল আছে বলে শুনছি। কিন্তু, চোখে না দেখলে বুঝতে পারছি না।” এর আগে অভিভাবকেরা দল বেঁধে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁকে লিখিত অভিযোগপত্রও দেন। তখনই জেলাশাসক তাঁদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, ছেলেমেয়েদের সঙ্গে দেখা করানোর ব্যবস্থা করা হবে। শালবনির আশ্রমটি পরিচালনা করেন চুনী কোটালের দাদা শঙ্কর কোটাল। তাঁর বক্তব্য, “প্রশাসনের নির্দেশেই ৯ জন শিশুকে অন্য আশ্রমে পাঠানো হয়েছে।” সোমবারই এ ব্যাপারে জেলাশাসকের দফতরে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ছিলেন অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রণব ঘোষ। সিদ্ধান্ত হয়েছে, খুব শীঘ্রই ৯ শিশুর অভিভাবকদের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার আশ্রমে নিয়ে যাওয়া হবে। |
|
|
|
|
|