গোঘাট ১ বিডিও জয়ন্ত মণ্ডল বলেন, “শ্যাওড়া এলাকায় লাগাতার অশান্তির জেরে একশো দিনের কাজ করা যাচ্ছে না। এই প্রকল্পের কাজে পুলিশি নিরাপত্তার আর্জি জানিয়েছি।” বিডিও-র মতে, প্রতিটি ঘরে ঘরে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার না হলে উন্নয়নে সমস্যা হচ্ছে। শ্যাওড়া পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের সন্তোষ পণ্ডিত বলেন, “রাজনৈতিক সংঘর্ষ বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটছে। কোনও কাজই করা যাচ্ছে না। এ দিকে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ জমছে পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের উপরে।”
একশো দিনের কাজের প্রকল্পের নিরিখে হুগলি জেলার মান খুবই খারাপ। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ ত্বরান্বিত করতে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিনের ঘটনায় তাঁর দলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ ওঠার পরে তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন পাল বলেন, “এখানে ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিএমের যত দুষ্কৃতী ছিল সকলে এখন স্বঘোষিত ভাবে তৃণমূলের পতাকার তলায় কাজ শুরু করেছে। আমরা এ ভাবে কাউকে স্বীকৃতি দিইনি।” মনোরঞ্জনবাবুর দাবি, সোমবারের ঘটনা সিপিএমের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’-এর জের। অন্য দিকে, সিপিএমের গোঘাট জোনাল কমিটির সম্পাদক অরুণ পাত্র বলেন, “আমাদের এলাকায় এখন কোনও শক্তিই নেই। দলের কে কোথায় আছে, তারই খবর নেই। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে গ্রামের উন্নয়নে বাধা দেওয়া হচ্ছে।”
৯ ডিসেম্বর শ্যাওড়া গ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ নঈমুদ্দিন খুনের ঘটনায় যে ২৮ জনের নামে এফআইআর হয়েছিল, তাতে নাম ছিল সত্য মালিকের। তিনি গোয়ালপাড়া গ্রাম কমিটির সচিবের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিপিএম কর্মী হিসাবেই এলাকায় পরিচিত ছিলেন সত্যবাবু। ইদানীং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠতা’ বেড়েছিল তৃণমূলের সঙ্গে। সে কথা অবশ্য তৃণমূলের তরফে অস্বীকার করা হয়েছে। সোমবারের ঘটনায় প্রহৃত সত্যবাবুকে ভর্তি করা হয়েছে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে। পরে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। আরামবাগের এসডিপিও আকাশ মাগারিয়া বলেন, “শেখ নঈমুদ্দিন খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সত্য মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে।” খুনের ঘটনায় তাঁকে ‘ফাঁসানো’ হয়েছে বলে দাবি সত্যর। উদ্ধার মাসকেট। |